ডেঙ্গুতে মৃত্যু ২০০ ছুঁই ছুঁই
Published: 30th, September 2025 GMT
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনজনই বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা। এ নিয়ে এডিস মশাবাহিত এ রোগে চলতি বছর মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৯৮। এর মধ্যে চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু হলো ৭৬ জনের।
আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৫৫৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় ডেঙ্গু নিয়ে সবচেয়ে বেশি ১৩৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে। ডেঙ্গু নিয়ে সবচেয়ে কম ৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪৭ হাজার ৩৪২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে চলতি সেপ্টেম্বরেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫ হাজার ৮৬৬ জন। সেপ্টেম্বরে চলতি বছর কোনো এক মাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত জুলাই মাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৪১ জনের মৃত্যু হয়। আর আগস্টে মৃত্যু হয়েছিল ৩৯ জনের।
ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে বরিশাল বিভাগে। এ সংখ্যা ১৩ হাজার ৩৪৭। এর মধ্যে ৭ হাজার ২১৬ জন রোগী বরগুনা জেলার।
ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি—৯৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। মৃত্যুর সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বরিশাল বিভাগ। এ সংখ্যা ৩২।
দেশে ২০০০ সালে যখন নতুন করে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, তখন তা ছিল মূলত রাজধানীকেন্দ্রিক। কিন্তু দিন দিন এটা ছড়িয়ে গেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। গত বছর থেকেই ডেঙ্গু ঢাকার বাইরে ছড়িয়েছে ব্যাপক হারে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ঢাকার বাইরে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৭৪১ জন। আর ঢাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৬০১।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বর শ ল ব ভ গ জন র গ হয় ছ ন সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
আইপিএল থেকে নিলাম বাদ দিন, লিগ চলুক ৬ মাস—বললেন দুবারের চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলোয়াড় কেনার নিলামপদ্ধতি বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পা। তাঁর মতে, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটিতে ড্রাফট ব্যবস্থা চালু করা উচিত। সঙ্গে খেলোয়াড় অদলবদলের জন্য সারা বছর চলুক ট্রেড উইন্ডো।
এমনকি আড়াই মাসের বদলে বছরের ছয় মাস ধরে আইপিএল হওয়া উচিত বলেও মনে করেন দুবার আইপিএল ট্রফি জেতা এই ক্রিকেটার। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এ ভাবনার কথা জানান উথাপ্পা।
২০০৮ সালে শুরুর আসর থেকে ১৮ বছর ধরে আইপিএলে খেলোয়াড় কেনার জন্য নিলামের আয়োজন করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে নিলামের আগে দলগুলোর মধ্যে খেলোয়াড় অদলবদলের ট্রেড উইন্ডোও চালু আছে।
উথাপ্পার মতে, ‘নিলামপদ্ধতি টুর্নামেন্টের প্রচারণা ও উত্তাপ বৃদ্ধির জন্য সহায়ক, কিন্তু সেটি নতুন উদ্যোগের সঙ্গে বেশি মানানসই, তারা (কর্তৃপক্ষ) এটিকে স্টার্ট-আপ পর্যায়ের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে না। এটা হতবাক করার মতো। আপনি বিশ্বের প্রধান ক্রিকেট লীগ। এখন পরিণত হয়েছেন। সময় সামনে এগিয়ে যাওয়ার। নিলাম বন্ধ করুন। সারা বছর ধরে ট্রেড উইন্ডো খোলা রাখুন। একটি ড্রাফট রাখুন এবং নিলাম থেকে মুক্তি নিন। ঈশ্বরের দোহাই, নিলাম থেকে মুক্তি নিন। যখন খেলতাম, তখনো আমি এই কথা বলেছি।’
২০১৪ আইপিএলে অরেঞ্জ ক্যাপ জেতেন রবিন উথাপ্পা