এশিয়া কাপের ফাইনাল হয়ে গেছে পাঁচ দিন হলো, ট্রফি-নাটক এখনো চলছে। আর সেই ট্রফি নিয়ে ভারত-পাকিস্তান বিতর্কও থামার কোনো লক্ষণ নেই। সেই বিতর্কের আগুনে এবার নতুন করে ঘি ঢেলেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলী।

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি মহসিন নাকভিকে তিনি অনুরোধ করেছেন, যদি সূর্যকুমার যাদবের দল তাঁর হাত থেকে ট্রফি নিতে না চায়, তাহলে তিনিও যেন ট্রফিটি কোনোভাবেই ভারতকে না দেন। ভারত টি-টোয়েন্টির ১ নম্বর দল হলেও তাদের আচরণ তৃতীয় শ্রেণির বলে মন্তব্য করেছেন বাসিত।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নাটকীয়ভাবে শেষ হয়েছিল আট দলের এশিয়া কাপ। ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারায় ভারত। কিন্তু টুর্নামেন্টজুড়ে ভারত-পাকিস্তান যে রেষারেষি দেখা গেছে, সেটা বজায় ছিল ফাইনাল শেষেও। ভারতীয় দল পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভির হাত থেকে ট্রফি নিতে আপত্তি জানায়।

আরও পড়ুনযে শর্তে সূর্যকুমারদের ট্রফি ফিরিয়ে দেবেন নাকভি৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নাকভিও অন্য কারও মাধ্যমে ট্রফি দিতে রাজি হননি। ফলে ভারতকে ট্রফি না দিয়েই নাকভি দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে যান। এই ঘটনায় ফাইনাল শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানও শুরু হয়েছিল এক ঘণ্টা দেরিতে। যদিও এই ঘটনায় ভারতীয় দলের উদ্‌যাপনে কোনো ছেদ পড়েনি।

সূর্যকুমার যাদব ও তাঁর দল পুরো ঘটনাটি নিজেদের মতো করে কল্পিত ট্রফি নিয়ে উদ্‌যাপন করেছেন। তবে এর পর থেকে ভারতের পক্ষ থেকে বারবার নাকভির কাছে ট্রফি চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু তিনি অনড়, তাঁর হাত থেকে ট্রফি নিতে হবে, নইলে নয়।

২৮ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ট্রফি ছাড়াই উদ্‌যাপন করেন ভারতের ক্রিকেটাররা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশ সদস্যদের হেনস্তা, বিএনপির ৯ নেতাকর্মীর নামে মামলা

মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার ভেতরে মোটরসাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে পুলিশ সদস্যদের হেনস্তা করার ঘটনায় বিএনপির ৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। 

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে ঘিওর থানার এএসআই রফিকুল ইসলাম ৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে হত্যা ও হামলার ঘটনায় ৩ মামলা

ময়মনসিংহে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ২

আসামিদের সবাই মানিকগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী খন্দকার আকবর হোসেন বাবলুর অনুসারী।

ঘিওর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কহিনুর ইসলাম জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

মামলার বাদী এএসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘মারধর ও হুমকির বিষয়ে থানায় মামলা করেছি। বিষয়টি থানার ওসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। একজন পুলিশের গায়ে হাত তোলার বিষয়টি কষ্টকর ও লজ্জাজনক।’’

আসামিরা হলেন, ঘিওর সদর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মীর কাওসার, খন্দকার বিল্টু, খন্দকার সেলিম জিএস, উজ্জল হোসেন, হারেজ মিয়া, রফিকুল ইসলাম পিন্টু, রাজু খন্দকার, শহিদুল ইসলাম চান্দু ও শফিউল আলম বিল্টু। তারা সবাই জেলা ও উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আকবর হোসেন বাবলু একটি মাইক্রোবাস, ১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ঘিওর থানার ভিতরে প্রবেশ করেন। তারা যানবাহনগুলো থানার ভেতর রাখতে চাইলে দায়িত্বরত নারী কনস্টেবল আন্না আক্তার প্রথমে তাদের বাধা দেন। নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে ডিউটি অফিসার এএসআই রফিকুল ইসলামকে জানান ওই নারী কনস্টেবল। ডিউটি অফিসার বহর নিয়ে তাদের থানায় ঢোকার কারণ জানতে চাইলে আসামিরা তাকেসহ নারী কনস্টেবলকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। গালাগাল করতে নিষেধ করলে এএসআই রফিকুলকে মারধর করেন আসামিরা। খবর পেয়ে থানার পেছনে ঘিওর কলেজ মাঠে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে আসলে আসামিরা তাদের হুমকি দিয়ে চলে যান।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আকবর হোসেন বাবলু বলেন, ‘‘আমার সামনে আওয়ামী লীগের দোসর পুলিশ নেতাকর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। পুলিশ আওয়ামী লীগের দোসর বলে আমাদের থানায় ঢুকতে বাধা দিয়েছে। পুলিশকে গালাগাল অথবা গায়ে হাত দেওয়া হয়নি। বরং পুলিশই বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে।’’
 

ঢাকা/চন্দন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুলিশ সদস্যদের হেনস্তা, বিএনপির ৯ নেতাকর্মীর নামে মামলা
  • মহাকাশে অদ্ভুত গ্রহের সন্ধান
  • বিল গেটসের লাজুক আচরণ যেভাবে দূর করেন মেয়ে ফোবি গেটস
  • দুর্নীতিগ্রস্ত উপদেষ্টাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে এনসিপি