১১ বছর বয়সী ছেলেটির নাম ফাউস্তিনো ওরো। দাবায় অমিত প্রতিভাধর হওয়ায় অনেকে তাঁকে ‘চেস মেসি’ মানে ‘দাবার মেসি’ বলেও ডাকেন। ফুটবলের মেসিকে দাবায় টেনে আনার কারণও আছে। ছেলেটি যে আর্জেন্টাইন। মেসির নামের সঙ্গে মিলিয়ে কেউ কেউ তাকে ‘চেসি’ও বলেন।

গত সপ্তাহে মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত লেজেন্ডস অ্যান্ড প্রডিজিস টুর্নামেন্টে অপরাজিত (৯ খেলায় ৭.

৫ পয়েন্ট) চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিজের বয়স ক্যাটাগরিতে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে ওরো।

গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার পথে ১.৫ পয়েন্ট হাতে রেখে প্রথম নর্মটি পেয়েছে ওরো (খেতাবটি পেতে তিনটি নর্ম প্রয়োজন হয়)। ফিদের অক্টোবরের তালিকায় তাঁর জিএম রেটিং পয়েন্ট ২৫০৯। ওরো-ই দাবার ইতিহাসে অনূর্ধ্ব-১২ বছর বয়সী প্রথম খেলোয়াড়, যাঁর রেটিং ২৫০০-এর ওপরে।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অভিমন্যু মিশ্রর গড়া সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টারের রেকর্ড ভাঙতে এখন ওরোকে আগামী চার মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় নর্ম পেতে হবে। ওরোর সামনে এ সময়ে বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টও আছে—ভারতের গোয়ায় বিশ্বকাপ, গ্রিসে ইউরোপিয়ান ক্লাব কাপ এবং আর্জেন্টিনার একটি ক্লোজড টুর্নামেন্ট।

অল্প বয়সেই দাবায় নজর কেড়েছে ওরো

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র বয়স

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন দুদকের

কক্সবাজার–২ (মহেশখালী–কুতুবদিয়া) আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেনের অভিযোগে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

আক্তার হোসেন বলেন, আশেক উল্লাহ নিজের বৈধ আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ মোট ৩ কোটি ৯২ লাখ ৭৭ হাজার ১৩৯ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রেখেছেন বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। তাঁর বৈধ উৎস থেকে অর্জিত সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৬ কোটি ২৩ লাখ ৭২ হাজার ৮৭৯ টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাবেক এই সংসদ সদস্যের নামে পাঁচটি ব্যাংকের ১৪টি হিসাবে দীর্ঘ সময়ে জমা হয়েছে ৪১ কোটি ১ লাখ ১৩ হাজার ৬২৫ টাকা এবং উত্তোলন হয়েছে ৩৪ কোটি ১৫ লাখ ২৩ হাজার ৬৯৭ টাকা। মোট সন্দেহজনক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৫ কোটি ৪৬ লাখ ৩৭ হাজার ৩২২ টাকা।

দুদক সূত্র জানায়, একই অনুসন্ধানে অভিযোগ–সংশ্লিষ্ট আশেক উল্লাহ রফিকের স্ত্রী সাহেদা নাসরীনের বৈধ আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৫৭ লাখ ৫২ হাজার ৩০৬ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তাঁর নামে–বেনামে আরও সম্পদ থাকতে পারে মর্মে প্রাথমিক তথ্য পায় অনুসন্ধান টিম। এ ঘটনায় দুদক আইন, ২০০৪–এর ২৬(১) ধারায় তাঁর কাছে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ