তদন্ত না করে একজন রাজনৈতিক নেতা ও মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা নেওয়ার অভিযোগ তুলে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মো. নজরুল ইসলাম এই হুঁশিয়ারি দেন। তিনি পুলিশকে নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে সোজা পথে চলতে বলেন।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকার নবাবগঞ্জ শাখার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এক পথসভায় নজরুল ইসলাম এ কথা বলেন।

পথসভায় ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এই নেতা বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা প্রশাসনের কাছে গিয়েছিলাম, তাদের ভেরি ক্লিয়ারলি বলেছি, কোনো রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে যদি অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং তদন্ত ছাড়াই যদি আপনারা তা গ্রহণ করেন, তার কনসিকোয়েন্স (ফলাফল) কিন্তু ভালো হবে না। আমরা প্রশাসনকে বলেছিলাম, কোনো অন্যায়ের কাছে আপনারা মাথা নত করবেন না। যদি সেটা করেন, আমরা কিন্তু তা মেনে নেব না। আমরা দেখতে পেলাম রাতের অন্ধকারে একটি মহলের ইশারায় টাকার বিনিময়ে মাওলানা মোহাম্মদ আলীর মতো একজন আলেমের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেওয়া হলো।’

নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক ময়দান শান্ত আছে। শান্ত থাকতে দিন। না হলে পরিণতি ভালো হবে না। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে আপনারা যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত, তাঁদের পেছনের দরজা দিয়ে পালাতে হবে।’

নবাবগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির ইব্রাহিম খলিলের সভাপতিত্বে সমাবেশে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

করদাতা মারা গেলেও যে কারণে কর দিতে হয়, কীভাবে দেওয়া হয়

করদাতা মারা গেলেও তাঁর পক্ষে কর দিতে হয়। মৃত করদাতার পক্ষে কর দেওয়ার কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। বাধ্যবাধকতা হলো মৃত করদাতার যদি এমন কোনো সম্পদ থাকে, যেমন বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, যেখান থেকে আয় হয়। কিন্তু ওই সম্পদ তাঁর (মৃত ব্যক্তি) নামেই আছে। তাহলে ওই মৃত করদাতার ওপর কর বসবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, কয়েক হাজার এমন করদাতা আছেন। চলতি মাসের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারিত আছে।

উদাহরণ

আবদুল জলিল একজন অবসরভোগী সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। অবসর গ্রহণের পর পাওয়া টাকা ও জমানো টাকা দিয়ে রাজধানীর আশকোনা এলাকায় একটি তিনতলা বাড়ি করেছেন। নিজেই ওই ভবনের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। কিছুদিন আগে বার্ধক্যজনিত রোগে তিনি মারা গেছেন। তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী ও তাঁর তিন মেয়ে। দুই মেয়ে দেশের বাইরে থাকেন। ছোট মেয়ে ওই বাড়িতেই থাকেন।

ওই বাড়িতে ছয়টি ফ্ল্যাট। এর মধ্যে একটিতে আবদুল জলিলের ছোট মেয়ে, তাঁর মা ও পরিবার নিয়ে বাস করেন। বাকি পাঁচটি ফ্ল্যাট থেকে প্রতি মাসে বেশ ভালো অঙ্কের টাকা বাড়িভাড়া পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগপর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে আবদুল জলিল প্রতিবছর রিটার্ন দিয়ে নিয়মিত কর দিয়ে আসছিলেন। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন নিয়মিত করদাতা ছিলেন। আবদুল জলিলের পক্ষে তাঁর সম্পদ থেকে আয়ের ওপর এখন উত্তরাধিকারীদের কর দিতে হবে।

কীভাবে দেবেন

এবার দেখা যাক, এনবিআর মৃত করদাতার সম্পদ থেকে আয়ের ওপর কীভাবে কর আদায় করবে। প্রথমেই মৃত করদাতার একজন উত্তরাধিকারীকে প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করবেন কর কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট উপ–কর কমিশনার নোটিশ করে তা ওই উত্তরাধিকারকে জানাবেন। পরে ওই উত্তরাধিকারী প্রতিবছর ওই মৃত করদাতার পক্ষে রিটার্ন জমা দিয়ে নির্ধারিত কর পরিশোধ করবেন।

কেন দেবেন

মৃত ব্যক্তির নামে থাকা সম্পদ বা ব্যবসা–বাণিজ্য থেকে শুধু করযোগ্য আয় থাকলেই রিটার্ন দিয়ে কর দিতে হবে। করযোগ্য আয় না থাকলে রিটার্ন দিতে হবে না। যত দিন পর্যন্ত ওই সম্পদ তাঁর উত্তরাধিকারীদের নামে ভাগ–বাঁটোয়ারা না হবে, তত দিন মনোনীত প্রতিনিধি ওই মৃত করদাতার পক্ষে কর দিয়ে যাবেন। কোনো কারণে কর না দিলে কিংবা আয়কর অধ্যাদেশ শর্তগুলো পরিপালন না করা হলে ওই মনোনীত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পালানোর সময় আটক জনির দায় স্বীকার করে জবানবন্দি
  • প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ
  • অটোরিকশার জন্য বন্ধুকে হত্যা করে হাসপাতালে নেন তরুণ, পরে গ্রেপ্তার
  • সৌদি আরবে দুর্ঘটনার কবলে বাস: বেঁচে আছেন ভারতীয় ওমরাহযাত্রীদের একজন
  • টাইব্রেকারের ‘কালো জাদু’র অভিযোগ নাইজেরিয়ার, বিশ্বকাপ–স্বপ্ন ভেঙে চুরমার
  • ‘১৫ হাজার সেফটিপিন শাড়িতে লাগালেও, তারা খুঁত বের করবে’
  • এপস্টেইনের নথি প্রকাশের পক্ষে হঠাৎ কেন অবস্থান নিলেন ট্রাম্প
  • এশিয়ার প্রভাবশালী নারী ব্যবসায়ী কারা, কীসের ব্যবসা তাঁদের
  • করদাতা মারা গেলেও যে কারণে কর দিতে হয়, কীভাবে দেওয়া হয়
  • এবার দিনের ভোট রাতে হবে না: আমির হামজা