সংবিধান বদলের অধিকার কারো নেই: সালাহউদ্দিন
Published: 4th, October 2025 GMT
সংবিধান বদলের অধিকার কারো নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেছেন, “কোনো একটি আইন অনুযায়ী বৈধ এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ছাড়া বাংলাদেশের সংবিধানকে পরিবর্তন করার কোনো অধিকার আমাদের কারো নেই। এমনটা হলে আগামী দুই বছর বা পাঁচ বছর পরে বারবার এই প্রক্রিয়ায় আবার সংবিধান বদলের দাবি উঠবে।”
আরো পড়ুন:
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে ফারমার্স কার্ড করে দেওয়া হবে: টুকু
প্রশাসনে ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দলের লোকদের বসানো হচ্ছে: রিজভী
শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সংগঠন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির শীর্ষ নীতিনির্ধারক ফোরামের এই নেতা বলেন, “এখন কথা উঠছে যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ভিত্তিতেই নাকি আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়িত হয়ে যাচ্ছে।”
“শুধু সংবিধানের অংশটুকু বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী সংসদের প্রয়োজন এবং সংবিধান সংশোধনের নির্ধারিত প্রক্রিয়া প্রয়োজন। সেই অংশগুলোতে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী জাতীয় সংসদকেই দায়িত্ব দিতে হবে।”
সংখ্যানুপাতিক–পদ্ধতি (পিআর) নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “বাংলাদেশের ৫৬ শতাংশ মানুষ যে পিআর পদ্ধতি বোঝেই না সেই পদ্ধতি কি আমরা চাইতে পারি? সুতরাং এসব কথাবার্তা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা না করাই উচিত।”
যারা হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে—দেশের স্বার্থ, জনগণের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে, তাদের বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে সঠিক রাস্তায় ফেরত আসার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
নির্বাচন বানচালে একটি রাজনৈতিক দল কাজ করছে অভিযোগ করে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, “নির্বাচনে অস্থিরতা সৃষ্টি করা, বিলম্বিত এবং বানচাল করার জন্য যে শক্তি কাজ করছে, তার পক্ষে একটি রাজনৈতিক দল কাজ করছে। বাংলাদেশে যদি নির্বাচন বিলম্বিত হয়, তাহলে ফ্যাসিবাদের উৎপাত হবে আবার।”
কোনো রাজনৈতিক দলের অভিসন্ধির কাছে বিএনপি কোনো দিন মাথা নত করতে পারে না জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “রাষ্ট্র কোনো ছেলেখেলা নয়। ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে আমরা ছিনিমিনি খেলতে পারি না। এই রাষ্ট্রকে একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলতে দিতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দলের অভিসন্ধির কাছে আমরা কোনো দিন মাথা নত করতে পারি না। এই দেশের জনগণই হচ্ছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক।”
তিনি বলেন, “আমরা যখনই একটা বৈধ প্রক্রিয়ার কথা বলি, তখন তারা বলে জনগণের অভিপ্রায় এখানে চূড়ান্ত। হ্যাঁ জনগণের অভিপ্রায় চূড়ান্ত। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। সেই অভিপ্রায়ের মধ্য দিয়ে এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা সঠিক; কিন্তু এই অভিপ্রায়কে বাস্তবায়নের জন্য তো আমাদের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়েছে, আর্টিকেল ১০৬–এর দ্বারস্থ হতে হয়েছে। আমরা সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠন দেখেছি। উপদেষ্টাদের শপথ দেখেছি। আমরা সেটিকে বৈধ প্রক্রিয়া মনে করি।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ্ আল হারুন।
এতে বক্তব্য দেন অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণদলের সভাপতি এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ স ল হউদ দ ন ন ত ক দল প রক র য ব এনপ র জনগণ র র জন য ন র জন
এছাড়াও পড়ুন:
আহমদ রফিকের প্রয়াণে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শোক
ভাষাসংগ্রামী, লেখক ও রবীন্দ্র গবেষক আহমদ রফিকের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এক শোকবার্তায় বলেন, “তার মৃত্যুতে দেশ এক কৃতি সূর্যসন্তানকে হারাল।”
বিবৃতিতে সাইফুল হক বলেন, “সাম্যভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি নির্মাণে আহমদ রফিক গত সাত দশক ধরে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। লেখক ও রবীন্দ্র গবেষক হিসেবে তিনি খ্যাতি অর্জন করলেও, কোনো পুরস্কার বা স্বীকৃতি তাকে আদর্শচ্যুত করতে পারেনি। মানবিকতা ও নীতির প্রশ্নে তিনি ছিলেন অবিচল ও আপসহীন।”
তিনি বলেন, “স্বল্পভাষী ও অহংকারবর্জিত এই মানুষটি আগামী অনেক প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।”
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে বিবৃতিতে আহমদ রফিকের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার ও গুণমুগ্ধদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।
ঢাকা/এএএম/এসবি