কানতারা টু: ৩ দিনে আয় ২৯৯ কোটি টাকা
Published: 5th, October 2025 GMT
কন্নড় ভাষার আলোচিত সিনেমা ‘কানতারা’। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ঋষভ শেঠি পরিচালিত এই সিনেমা। মুক্তির পর বক্স অফিস দাপিয়ে বেড়ায় এটি। ১৬ কোটি রুপি বাজেটের সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী আয় করে ৪০০ কোটি রুপির বেশি।
শুধু বক্স অফিস নয়, ‘কানতারা’ সিনেমা দর্শকদেরও প্রশংসা কুড়ায়। নির্মিত হয়েছে সিনেমাটির প্রিকুয়েল। ‘কানতারা’ সিনেমার এই প্রিকুয়েলের নাম রাখা হয়েছে ‘কানতারা লিজেন্ড: চ্যাপ্টার ওয়ান’। হোম্বেল ফিল্মস প্রযোজিত সিনেমাটিতে ঋষভ শেঠির ফার্স্ট লুক দারুণ সাড়া ফেলে। গত ২ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এটি। মুক্তির পর থেকে দর্শক-সমালোচকদের ভূয়সী প্রশংসা কুড়াচ্ছে। বক্স অফিসও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সিনেমাটি।
আরো পড়ুন:
কানাডায় প্রেক্ষাগৃহে গুলি-অগ্নিসংযোগ: ভারতীয় সিনেমার প্রদর্শন বন্ধ
বক্স অফিসে ‘ওজি’ সিনেমার দাপট: কে কত টাকা পারিশ্রমিক নিলেন?
স্যাকনিল্ক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘কানতারা টু’ তিন দিনে ভারতে আয় করেছে ১৯৫.
‘কানতারা টু’ মুক্তির আগেই মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করেছে। একটি সূত্র পিঙ্কভিলাকে বলেন, “অ্যামাজন প্রাইম ‘কান্তারা: চ্যাপ্টার ১’-এর পোস্ট-থিয়েট্রিক্যাল স্ট্রিমিং রাইটস ১২৫ কোটি রুপিতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭২ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বেশি) কিনে নিয়েছে। এটি কন্নড় সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম সর্বোচ্চ চুক্তি, ‘কেজিএফ টু’-এর পরের অবস্থানে রয়েছে এটি। এই প্ল্যাটফর্মটি সব ভাষার স্ট্রিমিং রাইটস কিনেছে।”
‘কানতারা’ শব্দের অর্থ গহিন জঙ্গল। স্থানীয় গ্রামবাসীর দেবতা ‘ভূতা’-কে কেন্দ্র করে নির্মিত হয় সিনেমাটির কাহিনি। তিনটি ভিন্ন ভিন্ন সময় ধরে প্রথম পার্টে তা দেখিয়েছেন পরিচালক। পরিচালনার পাশাপাশি ‘কানতারা’ সিনেমার চিত্রনাট্য রচনা ও অভিনয়ও করেন ঋষভ শেঠি। ‘কানতারা টু’ সিনেমার চিত্রনাট্য রচনা, পরিচালনা এবং অভিনয়ও করছেন ঋষভ।
‘কানতারা’ প্রথমে কন্নড় ভাষায় নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে আরো ছয়টি ভাষায় ডাব করে প্রদর্শিত হয়। তখন শুধু নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ১৬ কোটি রুপি; সব মিলিয়ে বাজেটের অঙ্ক গিয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রায় ৩৫ কোটি। প্রিকুয়েলটি নির্মাণে এর দ্বিগুণ খরচ হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বলি মুভি রিভিউজ জানিয়েছে, সিনেমাটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১২৫ কোটি রুপি।
‘কানতারা: চ্যাপ্টার ১’ বা ‘কানতারা টু’ সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে—জয়রাম, রাকেশ পূজারি, রুক্মিণী, গুলশান প্রমুখ।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র পর চ ল ক নত র
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় মা হারানো শিশুটির কান্না থামছে না
‘রাতে হঠাৎ ঘুমঘুম চোখে কান্না শুরু করে। একবার কান্না শুরু হলে তা আর থামতেই চায় না। তখন মাঝরাতে তাকে বাইরে নিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত না ঘুমায়, ততক্ষণ নিজের সঙ্গে রাখতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে কোনোরকমে মাকে ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করি। তবে কান্না থামাতে পারছি না।’
কথাগুলো বলছিলেন এক বছরের শিশু সাফওয়ান ইসলামের বাবা মো. ইমন ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের মৌলভীপাড়া এলাকায় রেললাইনে বিকল হয়ে পড়া একটি সিএনজি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয় একটি ট্রেন। এ সময় শিশু সাফওয়ানের মা সানজিদা সুলতানা (২৫) ও নানি মাহমুদা বেগমের (৪৫) মৃত্যু হয়। এর পর থেকে সাফওয়ানকে সারাক্ষণ নিজের কাছে রাখছেন তার বাবা ইমন।
ইমনের বাড়ি সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ঘাটগড় এলাকায়। তিনি একটি রড তৈরির কারখানায় ট্রান্সপোর্ট সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত। যে জায়গাটিতে দুর্ঘটনা হয়েছিল তা ইমনের শ্বশুরবাড়ি থেকে মাত্র চার শ গজ দূরে। পুলিশ জানায়, রেলক্রসিংটি অবৈধ। ঘটনার দিন সেখানে কোনো গেটম্যানও ছিল না।
আমরা কত আনন্দ করে ছেলের জন্মদিন পালন করেছি। অথচ এক মাস না যেতেই আমার ছেলেটি তার মাকে হারাল। গোছানো সংসারটা যেন তছনছ হয়ে গেল।শিশু মো. ইমন ইসলামের বাবা।গতকাল শনিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, ইমনের বাড়িতে স্বজনদের ভিড়। এক পাশে ছেলে সাফওয়ানকে কোলে নিয়ে বসে আছেন তিনি। অনেকেই ছেলের এ অবস্থা দেখে ইমনকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিচ্ছেন। সাফওয়ান চোখ মেলে আশপাশে তাকিয়ে দেখছে। আর কিছুক্ষণ পরপরই কান্না করছে।
ইমন প্রথম আলোকে বলেন, মা মারা যাওয়ার দিন বাড়িতে অনেক লোকের ভিড় থাকায় সাফওয়ান তেমন কান্না করেনি। তবে রাত হতেই মাকে না পেয়ে কান্না শুরু করে। এর পর থেকে প্রতি রাতেই কান্না করে। দিনের বেলায় বাড়িতে মানুষের ভিড় থাকায় তেমন কান্না করে না। তবে যখন বুকের দুধ খাওয়ার সময় হয়, তখন আর কান্না থামিয়ে রাখা যায় না।
ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের মৌলভী পাড়া এলাকায়