জয়া আহসানের উপস্থিতি ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষোভ
Published: 5th, October 2025 GMT
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার আয়োজিত দুর্গাপূজার কার্নিভ্যালে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানকে অতিথি করায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। রবিবার (৫ অক্টোবর) পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। যদিও বিজেপির বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয়নি জয়াকে। এ অভিনেত্রী দুর্গাপুর ছাড়ার পর বিক্ষোভ-মানববন্ধন শুরু করে বিজেপি।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই দুর্গাপুর কার্নিভ্যাল চতুর্থ বর্ষে জাঁকজমকপূর্ণভাবেই চলছিল। দুর্গাপুরের চতুর্থ বর্ষের কার্নিভ্যালের মূল আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত হন এপার-ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। এ মঞ্চে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়ার পাশাপাশি, দর্শকদের সামনে নানা কথা তুলে ধরেন জয়া। এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু জয়া মঞ্চ ছাড়তেই বিতর্ক তুঙ্গে তোলে বিজেপি।
মঞ্চে জয়া আহসান কেন? বাংলাদেশি অভিনেত্রীকে দুর্গাপুরে কার্নিভ্যালে নিয়ে এসে মা দুর্গাকে অপমান করা হলো বলে অভিযোগ বিজেপির৷ বিক্ষোভকারীদের দাবি, “এক বাংলাদেশি নাগরিককে রাজ্য সরকারের পূজা কার্নিভ্যালের মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন ও প্রশ্নযুক্ত সিদ্ধান্ত। রাজ্যের নিজস্ব শিল্পী-সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করে বাইরে থেকে তারকা এনে গ্ল্যামার দেখানো মানে বাংলার শিল্পীদের অপমান।”
এ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ‘বাংলার গর্ব, বাংলার মঞ্চে বিদেশি কেন?’ এই স্লোগানও তোলে বিজেপি। জয়ার ছবিতে কালি মাখিয়ে সেই প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা৷ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন। জয়াকে অতিথি করার দায়ে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসকের পদত্যাগের দাবিতেও সরব হন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।
দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের দপ্তরের সামনে এবং এসডিও বাংলোর সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করে বিজেপি কর্মী ও নেতারা। বিজেপির প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির এই বিক্ষোভকে পালটা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল৷ জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কটাক্ষ করেন, বাংলার সংস্কৃতিকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে বিজেপি৷ তিনি বলেন, “শিল্পীর নিজস্ব কোনো জাত, কোনো ধর্ম, কোনো বেড়া হয় না। দুর্গাপুরের মতো শহরে জয়া আহসানের মতো শিল্পীর আগমন সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রতীক৷ এটাকে রাজনীতির রঙে রাঙানো উচিত নয়।”
নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বিজেপির উদ্দেশ্যে বলেন, “বাংলার সংস্কৃতিকে বিজেপি বারে বারেই কালিমালিপ্ত করছে। বাংলার মানুষ এর বিচার করবেন।”
ঢাকা/সুচরিতা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংক কর্মীদের মহাসড়ক অবরোধ, দীর্ঘ যানজট
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের চাকরিচ্যুত ও ওএসডি থাকা কর্মীরা। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ এলাকায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই অবরোধ করা হয়। অবরোধের কারণে সড়কে দীর্ঘ যানজট তৈরি হওয়ায় চালক ও যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা পৌনে ১১টার দিকে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের সামনে জড়ো হয়ে প্রথমে মানববন্ধন করেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের চাকরিচ্যুত ও ওএসডি থাকা কর্মীরা। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাঁরা মহাসড়কের ঢাকামুখী লেন অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে চট্টগ্রামমুখী লেনটিও অবরোধ করা হয়। এ সময় দেশের ব্যস্ততম এই মহাসড়কটির উভয় দিকে অন্তত ৩০ কিলোমিটার যানজট দেখা দেয়। বেলা একটার দিকে অবরোধ তুলে নিলে যানজট স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
অবরোধ চলাকালে বিক্ষোভকারীদের ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়। ‘চট্টগ্রাম ঐক্য মঞ্চ’–এর ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। অবরোধকারীরা জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ৪০০ কর্মকর্তাকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ৪ হাজার ৭০০ কর্মকর্তাকে ওএসডি করে কর্মস্থলে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। এতে চাকরিচ্যুত ও ওএসডি থাকা কর্মীদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহালসহ ছয় দফা দাবি মেনে না নিলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক ইসলামী ব্যাংকের পঞ্চগড় শাখার কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বৃহত্তর চট্টগ্রামের কর্মীদের ছাঁটাই করছে। এর প্রতিবাদে আজ পূর্বঘোষিত অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন। সারা দেশের সব শাখা থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রামের অধিবাসী কর্মকর্তা–কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।
মহাসড়ক অবরোধের আগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ এলাকায়