নাটোরে গণঅধিকার পরিষদের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির ৩৬ নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন।

রবিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে গণঅধিকার পরিষদ নাটোর জেলা কমিটির নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মেহেন্নিকা পারভিন, লালপুর উপজেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, একই উপজেলার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামারুজ্জামান ও অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হেলালসহ উপজেলার ৮ নম্বর দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড কমিটির ৩৬ জন নেতাকর্মী পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

আরো পড়ুন:

এনসিপির কুষ্টিয়া জেলা কমিটি থেকে দুই নেতার পদত্যাগ

টুঙ্গিপাড়ায় আ.

লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা সাবেক ইউপি সদস্যের

গণধিকার পরিষদ লালপুর উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‍“ব্যক্তিগত কারণে আমরা স্বেচ্ছায় একযোগে পদত্যাগ করেছি এবং পদত্যাগপত্র জেলা কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।”

গণঅধিকার পরিষদ নাটোর জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদ বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। সংগঠনকে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই কাজ করতে পারেন।”

ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদত য গ পদত য গ কম ট র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াত-শিবিরের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গণঅধিকার ও এনসিপি: রাশেদ

জামায়াত-শিবিরের অন্যদলে নিজেদের কর্মী যুক্ত করার রাজনীতির নীতির কারণে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে তিনি এই দাবি করেন।

আরো পড়ুন:

জামায়া‌তের বি‌ক্ষোভে নেতারা: গণহত‌্যা বন্ধ না হ‌লে প্রয়োজ‌নে ফি‌লি‌স্তি‌নে লংমার্চ

ত্রাণবাহী জাহাজে বাধা মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্যতম অপরাধ: জামায়া‌ত

রাশেদ খান লিখেছেন, “জামায়াত এবং শিবিরের অন্যদলে নিজেদের কর্মী যুক্ত করার রাজনীতির নীতি বন্ধ করতে হবে। সাম্প্রতিককালে এই নীতির কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি। তারুণ্যের এই দুই দলের পাশাপাশি বিভিন্ন দলে তাদের নিজেদের লোকও যুক্ত রেখে সেই দলগুলোকেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, দলের মধ্যে সন্দেহ-সংশয়ও বাড়িয়েছে।”

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লিখেছেন, “এমনকি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনেও পরিচয় অপ্রকাশ্য রেখে যুক্ত করার নীতির কারণে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদলে যুক্ত করার এই নীতি থেকে বাম-ডান-মধ্যপন্থী কেউই ছাড় পায়নি। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জামায়াত-শিবির তার ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা সময় উপভোগ করছে।”

জামায়াত-শিবিরের উদ্দেশ্যে তিনি লিখেছেন, “তারা যদি বাংলাদেশে মধ্যপন্থী ধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চায়, সেটাকেও সাধুবাদ জানাব। কিন্তু তাদের পুরো রাজনীতির নীতি হতে হবে প্রকাশ্যনীতি। অন্যদলে যুক্ত হয়ে সেই দলে প্রভাব বিস্তারের রাজনীতি পুরোপুরি বন্ধ না করলে পুরো দেশের সিস্টেম কলাপস করবে এবং বিরাজনীতিকরণ সৃষ্টি হবে।”

রাশেদ খান লিখেছেন, “দেশের রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এতে জামায়াত-শিবিরও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইসলামকে রাজনীতিতে হাজির করার ক্ষেত্রেও তাদের সচেতন হওয়া দরকার। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতি মধ্যপন্থী ধারায় চলছে। এই ধারার সাথে ইসলামকে যুক্ত করলে ইসলামিক দল সম্পর্কে মানুষ ভুল মেসেজ পাবে।”

তিনি লিখেছেন, “ইসলামিক রাজনীতি করলে পুরোপুরি সেটাই করা উচিত। আর মধ্যপন্থী রাজনীতি করলে, সেটাই করা উচিত। পলিটিক্যাল ইসলাম বলে কিছু নাই। ইসলাম কায়েম ও শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠানের মাঝখানে কোনো কৌশল কাজ করে না। বরং এই কৌশলের কারণে আপনি বুঝে শুনে ইসলামকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। এই ক্ষতি থেকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন, আমিন।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামায়াত-শিবিরের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গণঅধিকার ও এনসিপি: রাশেদ