হবিগঞ্জে চোরাই মুঠোফোন উদ্ধারে গিয়ে হামলার শিকার ৫ পুলিশ সদস্য
Published: 8th, October 2025 GMT
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যরা চোরাই মুঠোফোন উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন। এতে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার শিবপাশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন নবীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান (৩০), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোশারফ হোসেন (২৯), কনস্টেবল মাইনুল ইসলাম (৩২), শাহ ইমরান (২৭) ও পল্টন চন্দ্র দাশ (২৫)। তাদের প্রথমে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে কনস্টেবল শাহ ইমরানকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নবীগঞ্জ উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রুমন মিয়া (২৮) একটি চোরাই মুঠোফোন ব্যবহার করছেন বলে তথ্য পায় পুলিশ। মুঠোফোনের মালিক এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানার এসআই মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একটি দল উপজেলার শিবপাশা গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় মুঠোফোনসহ রুমন মিয়াকে আটক করা হয়।
তখন আটক রুমন উদ্ধার হওয়া মুঠোফোনটি তাঁর বলে দাবি করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে রুমনের ভাই মামুন মিয়া ও কয়েকজন নারী ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান বলে পুলিশের ভাষ্য। এতে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন।
তবে আটক হওয়া মামুন মিয়া দাবি করেন, যে মুঠোফোনটি চোরাই বলা হচ্ছে, সেটি তাঁর ভাই রুমন মিয়া কেনেন অপর এক ব্যক্তির কাছ থেকে। তাঁর ভাই এ চুরির বিষয়ে কিছুই জানেন না।
এ ঘটনার পর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামুন মিয়াসহ চারজনকে আটক করে বলে জানান নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা
বন্দরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ঘটনাকে পুঁজি করে আটক বানিজ্যের তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সোর্স আক্তার সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি আহত নূরুজ্জামান মোল্লা বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন৷ এর আগে গত বৃহস্পতিবার ( ২৫ সেপ্টম্বর) দুপুরে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ভেতরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও চিড়ইপাড়া এলাকায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন চলাচলের রাস্তা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণে বাঁধা দেয়ায় মোবারক নামে ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করেছে সোর্স আক্তার হোসেন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। বর্তমানের মামলাটি নারায়ণগঞ্জ পিবিআই'র কাছে তদন্ত করছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার ধামগড় ইউপির কামতাল ডাক সমাজ কবরস্থান হাফেজিয়া মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টম্বর) সকালে সহকারী শিক্ষক হাফেজ ফুসাইন আহাম্মেদ মাহফুজ (২৪)কে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে উত্তেজিত এলাকাবাসী।
পরবর্তীতে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জহিরুল ইসলাম ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুস ছাত্তারকে ডেকে নিয়ে একটি কক্ষে আটক করে রাখে। প্রিন্সিপাল মামলার আসামি না হওয়ায় তাকে আটক করে রাখার বিষয়টি ওই ছাত্রীর দাদা নূরুল হক সাংবাদিকদের ফোন করে জানিয়েছেন।
পরে সাংবাদিক নূরুজ্জামান মোল্লা, সাংবাদিক সানাউল্লাহ মুন্সী, মনির হোসেন ও সাংবাদিক সুমন হাসান কামতাল তদন্ত কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুস ছাত্তারকে আটকের বিষয়ে এসআই জহিরুল ইসলামের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়।
এসময় পুলিশের সোর্স আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বলে ছাত্তার মাওলানা বিষয়টি শেষ করে দেওয়া হয়েছে । এক পর্যায়ে এসআই জহিরুলের কক্ষে এবং তার সামনে এলোপাতাড়ি কিলঘুষিতে মূখে রক্তাক্ত জখম হয়। এখবর পেয়ে স্বজনরা সাংবাদিক নূরুজ্জামান মোল্লাকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
এঘটনায় সাংবাদিক নূরুজ্জামান মোল্লা বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পরবর্তীতে গত ২ অক্টোবর অভিযোগটি আমলে নিয়ে থানা মামলা রেকর্ড করেন।
এলাকাবাসী জানান, চিড়ইপাড়া কলোনীর মেইন সড়ক হইতে আমিনুল মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন চলাচলের রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণ কাজ শুরু সোর্স আক্তার।
এসময় ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের বরাত দিয়ে মোবারক হোসেন তার পরিবারের লোকজন রাস্তা দখলে বাধা দেয়ায় তাদেরকে কুপিয়ে জখম করেছে পুলিশের সোর্স আক্তার ও তার লোকজন।
এ ঘটনায় আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি নারায়ণগঞ্জ পিবিআই'র কাছে তদন্তাধীন। আক্তার পুলিশের সোর্স হিসাবে এলাকায় পরিচিত।
এখন নাগরিক টিভি সাংবাদিক পরিচয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজি প্রতারণা সহ চিড়ইপাড়া কলোনী এলাকার মাদক কারবারি নিয়ন্ত্রণ সহ নানান অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি লিয়াকত আলী বলেন, সাংবাদিক নূরুজ্জামান মোল্লা'র ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।