পাবনায় একটি আবাসিক হোটেল থেকে স্বাধীন সরকার (৪০) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে শহরের হামিদ রোডের হোটেল রয়েল প্যালেস থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

স্বাধীন সরকার সিরাজগঞ্জ সদরের কাজীপুর গজাইল গ্রামের গাজী শাজাহানের ছেলে। পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

কেরাণীগঞ্জে হাত-পা বাঁধা রিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার

কুমিল্লায় দাফনের ১৯ দিন পর স্কুলছাত্রীর লাশ উত্তোলন

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে হোটেলে থাকার জন্য রুম নেন স্বাধীন সরকার। বুধবার সকালে হোটেল বয় ডাকাডাকি করলে তার কোনো সাড়া পাননি। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় রুমের দরজা ভেঙে ফেলা হয়। এ সময় ফ্যানের সঙ্গে গামছা দিয়ে ফাঁস নেওয়া অবস্থায় দেখা যায় ওই যুবককে।

নিহতের ভায়রা ভাই শুভ্র বলেন, ‘‘তিনি আমার পাবনা শহরের বাসায় ছিলেন। হঠাৎ গতকাল দুপুরে বের হয়ে যান। সন্ধ্যায় হয়ে গেলেও ফেরেননি। পরে কল করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আজ সকালে তার মৃত্যুর খবর পাই। পারিবারিক ঝামেলার কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’’

ওসি আব্দুল সালাম বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/শাহীন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়েতে মাইক বাজানোয় কনে-মা-বাবাকে বেত্রাঘাত, জরিমানা

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিয়ে বাড়িতে মাইক বাজানোর অপরাধে বেত্রাঘাতের শিকার হলেন বিয়ের কনে ও তার মা-বাবাসহ পরিবারের সকলে। ক্ষমা চেয়েও পরিত্রাণ মেলেনি। মোটা অঙ্কের টাকাও জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার টাকা দিতে না পারায় মেয়ের জামাইয়ের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন অটোরিকশা আটকে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারটি অসহায় অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

আরো পড়ুন:

ধামরাইয়ে ৪টি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, জরিমানা

ময়মনসিংহে ক্লিনিকে অভিযানে কারাদণ্ড-জরিমানা 

বুধবার (২৬ নভেম্বর) হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সালিশে এই রায় দেওয়া হয়। 

কনের বাবা মো. শাহজাহান বলেন, ‘‘আমি গরিব মানুষ। আমার মেয়ের বিয়েতে শখ করে মাইক বাজিয়েছি। এর জন্য স্থানীয় আফছার, ছারোয়ার ও মালেক আমাদের পরিবারের সবাইকে মারধর করে। তারা এ জন্য সালিশ বাসায়। আলাউদ্দিন মাঝি, তছলিম, আনোয়ার মাঝি, সেন্টু ও রফিকসহ স্থানীয় কয়েকজন সালিশে আমাদের সবাইকে ১৫টি করে বেত্রাঘাতের রায় দেন। আমি এবং পরিবারের সবাই বার বার ক্ষমা চাওয়ার পরও তারা কর্ণপাত করেনি। সবাইকে বেত্রাঘাত করার পর তারা ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে।’’

তিনি বলেন, ‘‘জরিমানার টাকা জোগাড় করতে না পারায় আফছার আমার মেয়ের জামাইয়ের অটোরিকশা আটকে রেখেছে। সমাজে অনেকের কাছে গিয়েছি, কোনো বিচার পাইনি।’’ 

সালিশে উপস্থিত থাকা আলাউদ্দিন মাঝি বলেন, ‘‘মাইক বাজানোর বিষয়ে আফছার জিজ্ঞেস করার কারণে হট্টগোল বাধে। ওখানে আফছারের ৫০ হাজার টাকা হারিয়ে গিয়েছে। যদিও আমরা তার সঠিক প্রমাণ পাইনি। তবুও আমাদের মধ্যে একজন সালিশদার এই টাকার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩০ হাজার টাকার রায় দিয়েছেন।’’ 

বেত্রাঘাতের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘সালিশের মধ্যে মহিলাদের বেত্রাঘাত করা হয়নি। পুরুষদের করা হয়েছে। মহিলাদের শাসন করার জন্য ঘরের মুরুব্বি হিসেবে শাহাজান নামে একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনিই ঘরে নারীদের বেত্রাঘাত করেছেন।’’ 

সাগরিয়া ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘‘বিয়েতে মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আমি উভয়পক্ষকে বলেছি, আইনি ব্যবস্থা নিতে। তারা গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করায় আমি আর সেখানে থাকিনি। এরপর তারা আমাকে আর কিছু জানায়নি।’’

এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। 

ঢাকা/সুজন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ