প্রশ্ন: আমি ১৮ বছর বয়সী তরুণ। আমার গলার স্বর একদম মেয়েদের মতো। কণ্ঠস্বর অস্বাভাবিক। নাকি সুরে কথা বলতে হয়, গলা ভাঙা ভাঙা ও কণ্ঠের পিচ অনেক বেশি। আমার হাইপোথাইরয়েডিজম রয়েছে। অন্যদিকে পায়ের কিছু সমস্যা দেখে চিকিৎসকের ধারণা, ‘প্রক্সিমাল মায়োপ্যাথি’। উভয় সমস্যাই ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সে শুরু হয়েছে। কণ্ঠের কারণে আমাকে খুবই বিব্রত হতে হচ্ছে। আমি এখন কী করতে পারি?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, মাদারীপুর

আরও পড়ুনআপনার কিশোর সন্তান কি পিয়ার প্রেশারে আছে? সমাধান জেনে রাখুন২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পরামর্শ: হাইপোথাইরয়েডিজমে থাইরয়েড গ্রন্থি পর্যাপ্ত হরমোন উৎপাদন করতে পারে না। ফলে শরীরের বিপাকের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। পেশির দুর্বলতা বা প্রক্সিমাল মায়োপ্যাথিসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতাও দেখা দেয়। থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে বয়ঃসন্ধিও বিলম্বিত হতে পারে; যার ফলে কণ্ঠস্বরের পরিবর্তনসহ অন্য শারীরিক পরিবর্তনগুলো ঠিকভাবে ঘটে না।

যেহেতু আপনার সমস্যাগুলো ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সে অর্থাৎ বয়ঃসন্ধির সময়ে শুরু হয়েছে, তাই কণ্ঠস্বর অস্বাভাবিক হওয়ার পেছনে হরমোনের কারণই প্রধান বলে মনে হচ্ছে। গলার পেশির দুর্বলতাও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। আপনি একজন হরমোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আবার থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করুন। পাশাপাশি বয়ঃসন্ধির স্বাভাবিক শারীরিক পরিবর্তনগুলো আপনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ হয়েছে কি না, সেটিও চিকিৎসকের কাছে জেনে নিতে পারেন।

আরও পড়ুনবড় ট্রমার পর শিশু–কিশোরদের যেসব যত্ন নিতে হবে ২৩ জুলাই ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক র থ ইরয় ড হরম ন

এছাড়াও পড়ুন:

বাবা ডাববিক্রেতা, মা পরিচারিকা; এই অভিনেতার গল্প সিনেমাকেও হার মানায়

বলিউডের কোনো অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবনের গল্প অনেক সময় পর্দার গল্পকেও হার মানায়; বিশাল জেঠওয়া তেমনই একজন। চলতি বছর নীরজ ঘেওনের ‘হোমবাউন্ড’ সিনেমা দিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় থাকা এই অভিনেতার এক বস্তি থেকে অস্কার পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। চলতি বছর ভারত থেকে অস্কারে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ‘হোমবাউন্ড’কে; গত সপ্তাহে ওটিটিতে মুক্তির পর থেকে বাংলাদেশি দর্শকেরাও মজেছেন এই সিনেমায়। তবে অনেকেই জানেন না পর্দায় দুর্দান্ত অভিনয় করা বিশালের গল্প।

বস্তির দিনগুলো
১৯৯৪ সালের ৬ জুলাই এক গুজরাটি পরিবারে বিশালের জন্ম হয়। বাবা নরেশ জেঠওয়া ও মা প্রীতি জেঠওয়া। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা বিশাল ছোট থেকে অভাবের মধ্যে বড় হয়েছেন। জীবিকার খোঁজে বিশালের বাবা একসময় মুম্বাই পাড়ি দেন। বাণিজ্য নগরীতে এসে অকূলপাথারে পড়েছিল জেঠওয়া পরিবার। ছোটখাটো কাজকর্ম করে যা আয় হতো, তা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাই পরিবারের অন্ন সংস্থান করার জন্য মুম্বাইয়ের সড়কে ডাব বিক্রি করা শুরু করেন নরেশ। মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছিল ঘিঞ্জি বস্তিতে। ছোট থেকে অভাব নিত্যসঙ্গী হলেও লেখাপড়ার জন্য ছেলেকে উৎসাহ দিতে নরেশ ও প্রীতি।

টিভি সিরিয়ালের দৃশ্যে বিশাল জেঠওয়া। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ