চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে কৃষিজমি থেকে সুজন দেবনাথ (৩০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের মানিরাজ এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সুজন দেবনাথ ওই এলাকার মৃত খোকন দেবনাথের ছেলে।

সুজনের মা অঞ্জলী দেবনাথ বলেন, ‘‘সুজন দিনমজুরের কাজ করত। বুধবার সকালেও গাছ কাটার কাজ করেছে। দুপুরে স্থানীয় বাচ্চুর ডাকে ঘর থেকে বের হয়। পরে খবর পাই বাড়ির অদূরে কৃষিজমিতে ছেলের মরদেহ পড়ে আছে।’’

আরো পড়ুন:

পাবনায় আবাসিক হোটেল থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

কেরাণীগঞ্জে হাত-পা বাঁধা রিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার

বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ এম হারুনুর রশিদ বলেন, ‘‘সুজনের লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে। তবে, কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে জানা যায়নি।’’

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘‘ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/অমরেশ/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ র মরদ হ দ বন থ

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে বলাৎকারের অভিযোগ মাদ্রাসা শিক্ষক আটক, গণপিটুনি

সিদ্ধিরগঞ্জে দশ বছরের এক মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি প্রকাশ পেলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষক ও মাদরাসার প্রিন্সিপালকে গণপিটুনি দেয়।

বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডের জালকুড়ি ইসলামিয়া ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই মাদরাসার শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম (২৭) ভয়-ভীতি দেখিয়ে তৃতীয় তলার বাথরুমে নিয়ে দশ বছরের এক ছাত্রকে বলাৎকার করেন।

ঘটনাটি পরদিন ছাত্রটি মাদরাসার প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমানকে জানালে তিনি কাউকে কিছু না বলতে ভয় দেখান বলে অভিযোগ রয়েছে।

ঘটনাটি বুধবার রাতে স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী রাত পৌনে ৯টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক ও প্রিন্সিপালকে ধরে গণপিটুনি দেয়।

খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। এলাকাবাসী উত্তেজিত ছিল। অপ্রিতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অভিযুক্ত শিক্ষককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ