জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও জ্বালানি রূপান্তরে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরো শক্তিশালী সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘টিম ইউরোপ ইনিশিয়েটিভ–ক্লাইমেট অ্যান্ড এনার্জি’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

আরো পড়ুন:

তথ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত ঘোষণা

‘জীবন-জীবিকা রক্ষায় নদ-নদী বাঁচাতে হবে’

তিনি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য এক কঠিন বাস্তবতা। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অভিযোজন আমাদের জীবনের অংশ হলেও এখন এর প্রভাবের তীব্রতা ও ঘনত্ব আমাদের মানুষের সীমা অতিক্রম করেছে। শুধুমাত্র বাংলাদেশকে ‘সহনশীল সমাজ’ হিসেবে উপস্থাপন করা মানবাধিকারের প্রতি অবিচার।”

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “অভিযোজনই যথেষ্ট নয় যদি বৈশ্বিক নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হয়। ১.

৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্য পূরণ না হলে কেবল অভিযোজন দিয়ে বাংলাদেশ টিকে থাকতে পারবে না।”

বাংলাদেশের ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্জনের লক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি জানান, সরকারি দপ্তরে বাধ্যতামূলক সৌর প্যানেল, ছাদে সৌরবিদ্যুৎ এবং বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবনা অনুসন্ধানসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, “জ্বালানি রূপান্তরের জন্য দৃষ্টিভঙ্গি, প্রযুক্তি, অর্থায়ন ও জবাবদিহিতা প্রয়োজন। আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি, তবে ইউরোপের প্রযুক্তি হস্তান্তর ও সাশ্রয়ী অর্থায়নের সহায়তা জরুরি।”

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পানি নিরাপত্তা সংকটের কথাও তুলে ধরেন, যার মধ্যে রয়েছে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর হ্রাস ও পৃষ্ঠস্থ পানির ওপর বাড়তি চাপ। তিনি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, জলাভূমি পুনরুদ্ধার ও প্রাকৃতিক সমাধানে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লট্‌জ, ইউরোপীয় কমিশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক ও জলবায়ু অর্থায়ন পরিচালক ডায়ানা আক্কোনচিয়া বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত জোরিস ভ্যান বোমেল, ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও তরুণ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব শ জলব য ইউর প জলব য়

এছাড়াও পড়ুন:

অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিসের প্রধান হুমা খানের বিদায়ী সাক্ষাৎ

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান হুমা খান সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সন্ধ্যায় জানায়, সাক্ষাৎকালে তাঁরা ২০২৪ সালের জুলাইয়ের বিদ্রোহের পর সাম্প্রতিক ঘটনাবলি, ন্যায়বিচার, জবাবদিহি এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের আরোগ্যের বিষয়গুলো আলোচনা করেছেন। আসন্ন সাধারণ নির্বাচন এবং দেশের চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিয়েও তাঁরা মতবিনিময় করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সংকটময় সময়ে হুমা খানের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের ভূমিকা, বিশেষ করে গত বছরের জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত নৃশংসতার স্বাধীন তদন্তেরও প্রশংসা করেছেন।

তাঁরা জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালীকরণ এবং দেশে বলপূর্বক গুম এবং গোপন আটক কেন্দ্রের ঘটনা তদন্তে গুম কমিশনের কাজ সম্পর্কেও আলোচনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি–বিষয়ক সমন্বয়কারী এবং সরকারের সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ