ঝিনাইদহে চুরির অভিযোগে কিশোরের মাথার চুল কেটে দিয়ে পিটুনি
Published: 9th, October 2025 GMT
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরের মাথার চুল কেটে পিটুনি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার রুদ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর-৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই কিশোরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যায় উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের মধ্যস্থতায় ওই কিশোরকে তার বাবার হেফাজতে দেওয়া হয়।
নির্যাতনের শিকার কিশোরের বাড়ি কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার রুদ্রপুর গ্রামে। ওই কিশোরের বয়স যখন চার মাস, তখন বাবার সংসার ছেড়ে চলে যান তার মা। পরে বাবা আরেকটি বিয়ে করলে কিশোর দাদা-দাদির হেফাজতে বড় হচ্ছে।
কোটচাঁদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনায়েত আলী বলেন, দুপুরে ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে ওই ছেলেকে থানায় নিয়ে আসা হয়। রুদ্রপুর গ্রামের দুলালের বাড়িতে চুরি সন্দেহে তাকে ধরে প্রথমে মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। পরে গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা দিয়ে পেটান। দুলাল ওই ছেলের বিরুদ্ধে থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। এ জন্য বিকেলে তাকে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের হেফাজতে দেওয়া হয়।
কোটচাঁদপুর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক মোসা.
এদিকে দুপুরে ওই ছেলের মাথার চুল কেটে পিটুনি দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটিকে অনেকে ‘অমানবিক’ বলে প্রতিক্রিয়া দেখান। তবে রুদ্রপুর গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, ওই ছেলের আগে থেকেই চুরির অভ্যাস আছে। ছোটবেলা থেকে পথশিশুর মতো বড় হয়েছে। বিভিন্ন খারাপ সঙ্গে মিশে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। আগেও তার বিরুদ্ধে টাকাপয়সা ও মুঠোফোন চুরির অভিযোগ আছে।
কিশোরের বাবা প্রথম আলোকে বলেন, ছেলের বয়স যখন চার মাস, তখন তার মা সংসার ছেড়ে চলে যান। ছেলে ধীরে ধীরে বিগড়ে যায়। সে তাঁর কথা শোনে না। এমন স্বভাবের কারণে এক বছর ধরে ছেলের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ নেই। তিনি গরিব মানুষ। পুরোনো একটি রিকশা আছে। সেটা দিয়ে কোনোমতে সংসার চালান। ছেলেকে ভালো কোনো সংশোধনাগারে পাঠাবেন, তেমন আর্থিক সংগতি তাঁর নেই।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুই আট নম্বরের ম্যাচে ডি ক্লার্কের ঝড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ভারত জয়
টপ ও মিডল অর্ডারে ব্যাটিং ধস হবে। এরপর একজন হাল ধরবেন, উদ্ধার করবেন দলকে। এবারের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়মিতই দেখছে এমন কিছু। বৃহস্পতিবার সর্বশেষ ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে তো দুই ইনিংসেই এমন ছবি। বিশাখাপট্টনমের সেই ম্যাচে ভারতের আট নম্বর ব্যাটার রিচা ঘোষের ৯৪ ছাপিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার আট নম্বর নাদিন ডি ক্লার্কের ৮৪। ৫৪ বলে ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। ভারত পেয়েছে প্রথম হারের স্বাদ।
১০২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ভারত অলআউট হওয়ার আগে ২৫১ রান করতে পেরেছিল রিচার ৭৭ বলের ৯৪ রানের ইনিংসে। রান তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা ৮১ রানেই হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। এরপর ওপেনার লরা ভলভার্ট (৭৭০ ও সাতে নামা ক্লোয়ি ট্রাইওন (৪৯) রানটাকে ১৪২-এ নিয়ে যান। ভলভার্টের বিদায়ে ডি ক্লার্ক নামেন ব্যাটিংয়ে। ট্রাইওন যখন ফেরেন ৪৫.৫ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ২১১/৭।
ভারতের হয়ে আটে নেমে ৯৪ রান করেছেন রিচা ঘোষ