ইউরেনাসের চাঁদে ছিল গভীর মহাসাগর
Published: 10th, October 2025 GMT
ইউরেনাসের চাঁদ এরিয়েলের অভ্যন্তরে একটি গভীর মহাসাগর ছিল বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে, ইউরেনাসের চাঁদের কক্ষপথ একসময় অনেক প্রসারিত হয়েছিল, ফলে চাঁদের পৃষ্ঠে ফাটল ধরেছে। মহাকাশযান ভয়েজার ২–এর ধারণ করা এরিয়েল চাঁদের ছবি বিশ্লেষণ করে পুরোনো ক্রেটারের মধ্যে থাকা উপত্যকায় এই লম্বা ফাটল শনাক্ত করা হয়েছে। কম্পিউটার মডেলিংয়ে দেখা গেছে, এরিয়েলের কক্ষপথের উৎকেন্দ্রিকতা প্রায় শূন্য দশমিক শূন্য ৪। সেখানে পানির স্তর প্রায় ১৬০ কিলোমিটার বা ১০০ মাইল গভীর ছিল, যা বরফে ফাটল ধরাতে ও ভূতাত্ত্বিকভাবে চাঁদের কিছু অংশকে নতুনভাবে তৈরি করতে যথেষ্ট চাপ দিয়েছিল।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, এরিয়েল চাঁদের মসৃণ সমতলভূমি সম্ভবত ক্রায়োভলকানিজমের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল। সেখানে পানি ও অন্যান্য উদ্বায়ী পদার্থ বা কাদামিশ্রিত বরফ অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে নির্গত হয়ে নিম্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে, যা দীর্ঘ ভূতাত্ত্বিক ইতিহাসের ইঙ্গিত দেয়। এরিয়েল চাঁদের কক্ষপথ পুরোপুরি গোলাকার ছিল না। সামান্য ডিম্বাকৃতির ছিল বলে ইউরেনাসের চারপাশে প্রতিবার ভ্রমণের সময় চাঁদটির অভ্যন্তরে জোয়ার–ভাটার চাপ অনেক বেড়ে যেত।
এরিয়েল চাঁদের পৃষ্ঠে প্রাচীন ও অপেক্ষাকৃত নবীন উভয় অঞ্চল দেখা যায় বলে সেখানে কখন মহাসাগরটি বিদ্যমান ছিল, তা অনুমান করা কঠিন। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সাম্প্রতিক পৃষ্ঠ পরিবর্তন সম্ভবত গত ১০০ থেকে ২০০ কোটি বছরের মধ্যে ঘটেছে।
তখন জোয়ার–ভাটার তাপ অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। এরিয়েলের পৃষ্ঠে অ্যামোনিয়া যৌগের উপস্থিতিও শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। অ্যামোনিয়া দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। ফলে অ্যামোনিয়া সেখানকার পানির তাপমাত্রা কমিয়ে দিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটি অ্যাপ্লায়েড ফিজিকস ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানী টম নর্ডহেইম জানান, ‘আমরা প্রমাণ পাচ্ছি, ইউরেনাস সিস্টেমে দুটি মহাসাগর ছিল।’ প্ল্যানেটারি সায়েন্স ইনস্টিটিউটের অ্যালেক্স প্যাথফ বলেন, ‘যেভাবেই হোক, এরিয়েলের পৃষ্ঠে আমরা যে ফাটলগুলো দেখছি, তা তৈরি করতে একটি মহাসাগর থাকা প্রয়োজন।’
সূত্র: আর্থ ডটকম
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউর ন স র চ এর য় ল র এর য় ল চ
এছাড়াও পড়ুন:
জয়সোয়াল যেখানে ব্র্যাডম্যানের পরই
সেঞ্চুরি করে হেলমেটে চুমু দেন যশস্বী জয়সোয়াল। দুই হাত এক করে বানান ভালোবাসার প্রতীকও। এটাই তাঁর চেনা উদ্যাপন। যে উদ্যাপন আজ দেখা গেল আরও একবার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দিল্লি টেস্টে দারুণ এক সেঞ্চুরি করে নিজেকে নিয়ে গেলেন নতুন এক উচ্চতায়। যেখানে তাঁর ওপরে শুধু এমন একজন, যিনি সব সময় সবার ওপরে থাকবেন এটাই নিয়ম—ডন ব্র্যাডম্যান।
জয়সোয়ালের সেই কীর্তিটা কী, সেই গল্পে পরে আসা যাক। তার আগে দিল্লিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনটা কেমন কেটেছে ভারতের তা বলা যাক। প্রথম দিনেই ২ উইকেটে ৩১৮ রান করে ফেলা ভারত রান-পাহাড় গড়ার আশা করছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
অথচ টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর লোকেশ রাহুলের সঙ্গে জয়সোয়ালের উদ্বোধনী জুটিটা থেমেছিল মাত্র ৫৮ রানেই। জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে স্টাম্পড হয়ে রাহুল ফিরে যান মাত্র ৩৮ রানে। পুরো দিনে ক্যারিবিয়ানদের স্বস্তি বলতে ওইটুকুই।
আরও পড়ুনরিংকু সিংয়ের কাছে ৫ কোটি রুপি চাঁদা দাবি দাউদ ইব্রাহিম চক্রের২২ ঘণ্টা আগেদিনের বাকি সময়টা অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের দর্শকেরা দেখেছেন ব্যাট হাতে জয়সোয়াল ও সাই সুদর্শনের দাপটে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের অসহায় বানিয়ে ১৪৫ বলে সেঞ্চুরি পান জয়সোয়াল। ২৩ বছর বয়সী এই ওপেনারের টেস্ট ক্যারিয়ারের এটি সপ্তম সেঞ্চুরি।
বয়স ২৪ হওয়ার আগে আগে জয়সোয়ালের চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি ছিল আর মাত্র তিনজনের। সেই নামগুলো পড়লেও হয়তো বোঝা যাবে জয়সোয়াল হাঁটছেন কোন পথে—ডন ব্র্যাডম্যান (১২), শচীন টেন্ডুলকার (১১) ও গ্যারি সোবার্স (৯)।
জয়সোয়াল রেকর্ড গড়লেও সেঞ্চুরি পাননি সুদর্শন