বিজয়ের বাড়ি বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
Published: 10th, October 2025 GMT
দক্ষিণ ভারতে এখন আলোচনায় বিজয়। তবে অভিনেতা থালাপতি বিজয় নন; বরং রাজনীতিবিদ বিজয়। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক ইনিংস শুরুর আগেই নানা ঘটনায় আলোচনায় তিনি। কিছুদিন আগেই তাঁর জনসভায় পদদলিত হয়ে বহু মানুষ হতাহত হন। এ ঘটনায় বিরোধী শিবিরও ছেড়ে কথা বলেনি দক্ষিণি সুপারস্টারকে। এমন আবহেই গতকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণি তারকার বাড়িতে বোমাতঙ্ক। ই-মেইলে বাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি পেলেন থালাপতি বিজয়। খবর দ্য হিন্দুর
হুমকিতে বোমা ফেলে নেতা-অভিনেতার নীলাঙ্কারাইয়ের বাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ কথা রয়েছে। স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সেই বাড়িতেই বোমা রাখা আছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ‘বম্ব স্কোয়াড’। তবে গোটা বাংলোজুড়ে খানাতল্লাশি চালিয়েও কোনো বোমা পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ জানায়, এটা ছিল ভুয়া হুমকি। এ ঘটনা নিয়ে এখনো কোনো বক্তব্য দেননি বিজয়।
থালাপতি বিজয়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়েতে মাইক বাজানোয় কনে-মা-বাবাকে বেত্রাঘাত, জরিমানা
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিয়ে বাড়িতে মাইক বাজানোর অপরাধে বেত্রাঘাতের শিকার হলেন বিয়ের কনে ও তার মা-বাবাসহ পরিবারের সকলে। ক্ষমা চেয়েও পরিত্রাণ মেলেনি। মোটা অঙ্কের টাকাও জরিমানা করা হয়েছে।
জরিমানার টাকা দিতে না পারায় মেয়ের জামাইয়ের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন অটোরিকশা আটকে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারটি অসহায় অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
আরো পড়ুন:
ধামরাইয়ে ৪টি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, জরিমানা
ময়মনসিংহে ক্লিনিকে অভিযানে কারাদণ্ড-জরিমানা
বুধবার (২৬ নভেম্বর) হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সালিশে এই রায় দেওয়া হয়।
কনের বাবা মো. শাহজাহান বলেন, ‘‘আমি গরিব মানুষ। আমার মেয়ের বিয়েতে শখ করে মাইক বাজিয়েছি। এর জন্য স্থানীয় আফছার, ছারোয়ার ও মালেক আমাদের পরিবারের সবাইকে মারধর করে। তারা এ জন্য সালিশ বাসায়। আলাউদ্দিন মাঝি, তছলিম, আনোয়ার মাঝি, সেন্টু ও রফিকসহ স্থানীয় কয়েকজন সালিশে আমাদের সবাইকে ১৫টি করে বেত্রাঘাতের রায় দেন। আমি এবং পরিবারের সবাই বার বার ক্ষমা চাওয়ার পরও তারা কর্ণপাত করেনি। সবাইকে বেত্রাঘাত করার পর তারা ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে।’’
তিনি বলেন, ‘‘জরিমানার টাকা জোগাড় করতে না পারায় আফছার আমার মেয়ের জামাইয়ের অটোরিকশা আটকে রেখেছে। সমাজে অনেকের কাছে গিয়েছি, কোনো বিচার পাইনি।’’
সালিশে উপস্থিত থাকা আলাউদ্দিন মাঝি বলেন, ‘‘মাইক বাজানোর বিষয়ে আফছার জিজ্ঞেস করার কারণে হট্টগোল বাধে। ওখানে আফছারের ৫০ হাজার টাকা হারিয়ে গিয়েছে। যদিও আমরা তার সঠিক প্রমাণ পাইনি। তবুও আমাদের মধ্যে একজন সালিশদার এই টাকার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩০ হাজার টাকার রায় দিয়েছেন।’’
বেত্রাঘাতের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘সালিশের মধ্যে মহিলাদের বেত্রাঘাত করা হয়নি। পুরুষদের করা হয়েছে। মহিলাদের শাসন করার জন্য ঘরের মুরুব্বি হিসেবে শাহাজান নামে একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনিই ঘরে নারীদের বেত্রাঘাত করেছেন।’’
সাগরিয়া ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘‘বিয়েতে মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আমি উভয়পক্ষকে বলেছি, আইনি ব্যবস্থা নিতে। তারা গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করায় আমি আর সেখানে থাকিনি। এরপর তারা আমাকে আর কিছু জানায়নি।’’
এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ঢাকা/সুজন/বকুল