লাক্স তারকা অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। ব্যক্তিগত জীবনে সনি পোদ্দারের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন এই অভিনেত্রী। বিয়ের পর থেকে দারুণ সময় উপভোগ করছেন ‘আমার আছে জল’খ্যাত এই তারকা। 

সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বিয়ে-স্বামীকে নিয়ে মজার কিছু তথ্য জানিয়েছেন। এ আলাপচারিতায় সঞ্চালক জানান, লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মঞ্চে অভিনেত্রী সারা যাকের তোমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, বড় লোকের ছেলে না কি ভালো ছাত্র—কাকে তুমি জীবনসঙ্গী হিসেবে চাও? তুমি জবাব দিয়েছিলে, “ভালো ছাত্রকে বিয়ে করতে চাই। তোমার বর সনি পোদ্দার কতটা ভালো ছাত্র?” 

আরো পড়ুন:

ছুটোছুটির মধ্যে কাটছে মিমের পূজা

তারাদের ভার্চুয়াল কলমে বৈশাখের শুভেচ্ছা

এ প্রশ্নের জবাবে বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, “অনেক ভালো।” বলেই হাসতে থাকেন এই অভিনেত্রী। এরপর মিম বলেন, “হ্যাঁ, ও অনেক ভালো মনের মানুষ।” এরপর সঞ্চালক বলেন, “তুমি তো তাকে অনেক কষ্ট দাও।” এ কথা শুনে বিস্ময়ভরা কণ্ঠে মিম বলেন, “আমি! কী কষ্ট দিই?” জবাবে সঞ্চালিকা বলেন, ‘বেচারা! তোমার পারফেক্ট ছবি তুলতে গিয়ে লোকটি যে কত কষ্টের মধ্য দিয়ে যায়।”  

এ কথার সঙ্গে সহমত পোষণ করে মিম বলেন, “হ্যা, এটা সত্য। ওর সঙ্গে ঝগড়াটাই লাগে ছবি তোলা নিয়ে। আরো একটা কারণে ঝগড়া লাগে। দেখা গেল, ও ছবিতে নেই। কিন্তু ও যে আমার ছবি তুলল, সেটা কেন ভালো হয় না, তা নিয়েও ঝগড়া লাগে। ফ্রেমট্রেম কিছু না বুঝেই আমার কিছু ছবি তুলল, তারপর ঝগড়া লেগে যায়। কারণ ওসব ছবির একটাও সুন্দর না, একটাও ফেসবুকে পোস্ট করা যাবে না।” 

কিছুটা ব্যাখ্যা করে মিম বলেন, “এরপর দেখা যায়, ও রেগে যায়। হয়তো গরমের মধ্যে শুট করছে। ও বলে, ‘এর থেকে ভালো ছবি তুলতে পারব না।’ এ কথা বলেই ফোনটা রেখে চলে যায়।” 

কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেছিলে—“তোমাদের ভালোবাসা সমুদ্রের মতো গভীর।” আমার প্রশ্ন হলো, তোমার কোন অপূর্ণতা তিনি পূরণ করেছেন? জবাবে মিম বলেন, “আমার মা-বাবা সবকিছুর সাপোর্ট দেয়। কিন্তু ও থাকাতে আমার নিজেকে হালকা ফিল হয়। আমার মনে হয়, ও তো আছে, ও সবকিছু দেখবে। সুতরাং আমার প্রেসার কমেছে।”

এক বান্ধবীর মাধ্যমে সনি ও মিমের পরিচয়। তারপর গড়ে উঠে বন্ধুত্ব ও প্রেম। প্রায় অর্ধ যুগ সম্পর্কে থাকার পর ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর সনির সঙ্গে বাগদান সারেন। ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি, রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সনাতন ধর্মরীতি মেনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তারা। সনির বাড়ি কুমিল্লায়। পেশায় বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র ম ম বল ন

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাইয়ের হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন

জুলাই আন্দোলনের সময় রামপুরায় একটি হত্যাকাণ্ডের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি করা হয়েছিল শেখ বশিরউদ্দীনকে; এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হওয়ার সময় তা নিয়ে আলোচনাও উঠেছিল। কিন্তু এ ঘটনায় তাঁর সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ পাননি আদালত। তাই তাঁকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

ভারগো গার্মেন্টসের ‘এক্সিকিউটিভ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার’ মো. সোহান শাহ হত্যার মামলায় শেখ বশিরউদ্দীনকে অব্যাহতি দিয়ে আজ মঙ্গলবার আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জামসেদ আলম।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে দেওয়া প্রতিবদনে বলেছিলেন, ‘এ মামলার ঘটনার সঙ্গে আসামি শেখ বশিরউদ্দীনের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তাঁকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা করছি।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছান জানান, ২৪ নভেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা, র‍্যাব-৩–এর উপপরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩(ক) ধারা অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন দিয়েছিলেন।

আকিজ বশির গ্রুপের কর্ণধার শেখ বশিরউদ্দীন গত বছর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের তিন মাস পর গত বছরের নভেম্বরে এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। এর পরপরই জুলাই আন্দোলনের সময় রামপুরা থানায় করা একটি মামলায় তাঁর আসামি হওয়ার বিষয়টি আলোচনায় ওঠে।

জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই রামপুরার সিএনজি স্টেশনের সামনে গুলিতে আহত হন সোহান শাহ (৩০)। ওই বছরের ২৮ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এরপর গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর সোহানের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে ঢাকার আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। এজাহারে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করেন তিনি, এর মধ্যে ৪৯ নম্বর আসামি হিসেবে নামটি ছিল ‘শেখ বশির উদ্দিন ভূঁইয়া’। এই নামের সঙ্গে শেখ বশিরউদ্দীনের, এমনকি তাঁর বাবার নামও মিলে গিয়েছিল।

তবে মামলার বাদী সুফিয়া বেগম তখন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ তাঁর ছেলে হত্যার জন্য দায়ী। তবে আসামি কারা করেছে, তা তিনি বলতে পারছেন না।

তখন শেখ বশিরউদ্দীন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ভুল তথ্যের ভিত্তিতে হয়তো তাঁর নাম এ মামলায় দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন‘শেখ বশিরের’ বিরুদ্ধে হত্যামামলা: বাদী বললেন জানেন না, উপদেষ্টা সেখ বশির বললেন নিশ্চিত নন১১ নভেম্বর ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমাকে হারাতে জেলা বিএনপি ১০০ কোটি টাকার বাজেট করেছে, বললেন বিএনপির প্রার্থী
  • জকসু নির্বাচনের প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট স্থগিত
  • ‘শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ খতিয়ে দেখছে ভারত’
  • শাকিবের নায়িকা রহস্য
  • ওসির পদায়নও হবে লটারিতে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • চেলসির কাছে পাত্তা পেল না বার্সেলোনা
  • টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপে কারা
  • যশোর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ
  • মধ্যরাতে শিক্ষার্থীকে মেসে ডেকে নিয়ে নির্যাতন, প্রতিবাদে সহপাঠীদের অবস্থান
  • জুলাইয়ের হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন