আশুলিয়ায় সেফটিকক ট্যাংক বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ৫
Published: 11th, October 2025 GMT
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় সেফটিক ট্যাংক বিস্ফোরণ হয়ে রাব্বানী (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো পাঁচ জন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আব্দুল হান্নান।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত তিনটার দিকে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ভাদাইলের রহমতুল্লাহর টিনশেড বাড়ির সেফটিক ট্যাংক বিস্ফোরণ হলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাব্বানী রহমতুল্লাহর টিনশেড বাড়ির ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মো.
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার কাওসার আলী বলেন, “গতকাল রাত ৩টার দিকে ওই এলাকার একটি টিনশেড বাড়ির সেফটিক ট্যাংক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে। ঘটনাস্থলে বাড়ির ম্যানেজার রাব্বানী নিহত হন। আহত হন আরো পাঁচ জন। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে, বর্তমানে তারা আশঙ্কা মুক্ত।”
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, “নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
ঢাকা/সাব্বির/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়েতে মাইক বাজানোয় কনে-মা-বাবাকে বেত্রাঘাত, জরিমানা
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিয়ে বাড়িতে মাইক বাজানোর অপরাধে বেত্রাঘাতের শিকার হলেন বিয়ের কনে ও তার মা-বাবাসহ পরিবারের সকলে। ক্ষমা চেয়েও পরিত্রাণ মেলেনি। মোটা অঙ্কের টাকাও জরিমানা করা হয়েছে।
জরিমানার টাকা দিতে না পারায় মেয়ের জামাইয়ের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন অটোরিকশা আটকে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারটি অসহায় অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
আরো পড়ুন:
ধামরাইয়ে ৪টি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, জরিমানা
ময়মনসিংহে ক্লিনিকে অভিযানে কারাদণ্ড-জরিমানা
বুধবার (২৬ নভেম্বর) হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সালিশে এই রায় দেওয়া হয়।
কনের বাবা মো. শাহজাহান বলেন, ‘‘আমি গরিব মানুষ। আমার মেয়ের বিয়েতে শখ করে মাইক বাজিয়েছি। এর জন্য স্থানীয় আফছার, ছারোয়ার ও মালেক আমাদের পরিবারের সবাইকে মারধর করে। তারা এ জন্য সালিশ বাসায়। আলাউদ্দিন মাঝি, তছলিম, আনোয়ার মাঝি, সেন্টু ও রফিকসহ স্থানীয় কয়েকজন সালিশে আমাদের সবাইকে ১৫টি করে বেত্রাঘাতের রায় দেন। আমি এবং পরিবারের সবাই বার বার ক্ষমা চাওয়ার পরও তারা কর্ণপাত করেনি। সবাইকে বেত্রাঘাত করার পর তারা ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে।’’
তিনি বলেন, ‘‘জরিমানার টাকা জোগাড় করতে না পারায় আফছার আমার মেয়ের জামাইয়ের অটোরিকশা আটকে রেখেছে। সমাজে অনেকের কাছে গিয়েছি, কোনো বিচার পাইনি।’’
সালিশে উপস্থিত থাকা আলাউদ্দিন মাঝি বলেন, ‘‘মাইক বাজানোর বিষয়ে আফছার জিজ্ঞেস করার কারণে হট্টগোল বাধে। ওখানে আফছারের ৫০ হাজার টাকা হারিয়ে গিয়েছে। যদিও আমরা তার সঠিক প্রমাণ পাইনি। তবুও আমাদের মধ্যে একজন সালিশদার এই টাকার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩০ হাজার টাকার রায় দিয়েছেন।’’
বেত্রাঘাতের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘সালিশের মধ্যে মহিলাদের বেত্রাঘাত করা হয়নি। পুরুষদের করা হয়েছে। মহিলাদের শাসন করার জন্য ঘরের মুরুব্বি হিসেবে শাহাজান নামে একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনিই ঘরে নারীদের বেত্রাঘাত করেছেন।’’
সাগরিয়া ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘‘বিয়েতে মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আমি উভয়পক্ষকে বলেছি, আইনি ব্যবস্থা নিতে। তারা গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করায় আমি আর সেখানে থাকিনি। এরপর তারা আমাকে আর কিছু জানায়নি।’’
এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ঢাকা/সুজন/বকুল