বন্দরে অপহরনের ঘটনায় ২ যুবক আটক
Published: 11th, October 2025 GMT
জরুরি সেবা ৯৯৯ মাধ্যমে খবর পেয়ে প্রতারক যাত্রীকে উদ্ধারসহ ২ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো বন্দর থানার ১৯ নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ বকুলতলা এলাকার রিক্সার গ্যারেজ মালিক বাচ্চু মিয়ার ছেলে শাহরিয়ার (২৬) ও একই এলাকার শফিকুল ইসলাম মিয়ার ছেলে বাবু ইসলাম (২২)। উদ্ধার হওয়া প্রতারক যাত্রী জিনমুরাইল একই থানার ফরাজিকান্দা এলাকার বাসিন্দা।
গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতে বন্দর থানার মদনগঞ্জ বকুলতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই দুই যুবককে আটক করা হয়। আটককৃতদের শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় এদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ ও আটককৃত যুবকদের স্বজনরা জানিয়েছে, মদনগঞ্জ বকুলতলা এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে বাবু ইসলাম দীর্ঘ দিন ধরে বাচ্চু মোল্লার গ্যারেজে অটোরিক্সা চালিয়ে আসছিল। প্রতিদিনের ন্যায় গত শুক্রবার অটোরিক্সা চালক অটো নিয়ে কাজের উদ্দেশ্য বের হয়।
এ সুবাদে ওই দিন রাতে বন্দর থানার ফরাজিকান্দা এলাকার বাসিন্দা পরিচয়দানকারি যুবক জিনমুরাইল ও অজ্ঞাতনামা এক যুবক যাত্রী হয়ে অটোরিক্সা উঠে। পরে জিনমুরাইল তার সাথে থাকা অজ্ঞাত নামা যাত্রী ২/৩ ঘন্টা অটোরিক্সাতে ঘুরাঘুরি করে অটোরিক্সা ভাড়া না দিয়ে অজ্ঞাত নামা যাত্রী কৌশলে অটোরিক্সা থেকে নেমে পরেট পালিয়ে যায়।
ওই সময় অটোরিক্সা চালক গাড়ীতে থাকা যাত্রী জিনমুরাইলের কাছ থেকে গাড়ী ভাড়া চাইলে এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ড হয়৷ পরে এক পর্যায়ে অটো চালক বিষয়টি গ্যারেজ মালিককে জানালে খবর পেয়ে গ্যারেজ মালিকের ছেলে শাহরিয়ার ঘটনাস্থলে আসে।
ওই সুযোগে পলাতক যাত্রী জরুরী সেবা ৯৯৯ মাধ্যমে মিথ্যা অপহরণের ঘটনা সাজিয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রতারক যাত্রীকে উদ্ধারসহ অটোচালক ও গ্যারেজ মালিকের ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অপহরণ এল ক র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসী ছিনতাই, ব্লেড জনী গ্রেপ্তার : হ্যান্ডকাপ উদ্ধার
বন্দরে পুলিশের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হ্যান্ডকাফসহ আসামী পলায়নের ঘটনায় ছিনিয়ে নেওয়া হ্যান্ডকাপটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ তানভির হাসান জনী ওরফে ব্লেড জনী (৪২)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধৃত সন্ত্রাসী তানভির হাসান জনী ওরফে ব্লেড জনী বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ফরাজিকান্দা কবরস্থান রোড এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেন মিয়ার ছেলে।
ধৃতকে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে বন্দর থানার রুজুকৃত ১০(১০)২৫ নং মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ গত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে বন্দর থানার ফরাজিকান্দা কবরস্থান রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া হ্যান্ডকাপটি উদ্ধারসহ ওই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
এর আগে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) রাতে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদী এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে প্রেমিক যুগল বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদী এলাকায় ঘুরতে আসে।
ওই সময় বন্দর থানার শাহীমসজিদ এলাকার শেখ শাহীন ওরফে রিং শাহীনের সন্ত্রাসী ছেলে ও একাধিক মামলার পলাতক আসামী থানার তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী কাটা সিফাত ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা উল্লেখিত প্রেমিক যুগলদের আটক করে নগদ টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়।
এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ড হলে স্থানীয় জনতা সন্ত্রাসী কাটা সিফাতকে আটক করে পুলিশে সংবাদ দেয়। পরে খবর পেয়ে মদনগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আটককৃত সন্ত্রাসীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে থানার দিকে যাওয়ার পথে উৎপেতে থাকা আটককৃত তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী কাটা সিফাত বাহিনী সদস্যরা পুলিশের গাড়ীতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে পুলিশের এসআই জামাল উদ্দিন (৪২) কনস্টেবল মোবারক (৪৮) ও শিহাব (৩৫)কে বেদম ভাবে পিটিয়ে আটককৃত সন্ত্রাসী কাটা সিফাতকে পুলিশের হেফজত থেকে হ্যান্ডকাপসহ ছিনিয়ে নেয়৷
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী গণমাধ্যমকে জানান, পুলিশ আক্রান্তের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী ব্লেড জনীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সাথে ছিনিয়ে নেওয়া হ্যান্ডকাপটি উদ্ধার করা হয়। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।