বাবার সঙ্গে গরু চড়াতে গিয়ে নিখোঁজ, জঙ্গল মিলল হুজাইফার মরদেহ
Published: 11th, October 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে জঙ্গল থেকে হুজাইফা (৯) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের চাওবন শিরারমার চালা এলাকার জঙ্গলে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত হুজাইফা চাওবন গ্রামের হারুন রসীদের ছেলে।
আরো পড়ুন:
পুকুরপাড়ে পড়ে ছিল নারী গ্রাম পুলিশ সদস্যের মরদেহ
একই ওড়নায় ঝুলছিল স্বামী-স্ত্রীর লাশ
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে হুজাইফা তার বাবার সঙ্গে গরু চড়াতে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে বাবার কাছে বাড়ি আসার কথা বলে বিদায় নিয়ে আসলেও সে বাড়ি ফেরেনি। দুপুরে হারুন রসীদ বাড়ি ফিরে ছেলে ফেরেনি জানার পরে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বেলা ৩টার দিকে বাড়ির পাশের জঙ্গলে শিশুটির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবু বলেন, “হুজাইফা সকালে তার বাবার সঙ্গে গরু চরাতে বের হয়েছিল। পরে জঙ্গলে তার মরদেহ পাওয়া যায়। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।”
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাজুল ইসলাম বলেন, “স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাক ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/রফিক/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ র মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়েতে মাইক বাজানোয় কনে-মা-বাবাকে বেত্রাঘাত, জরিমানা
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিয়ে বাড়িতে মাইক বাজানোর অপরাধে বেত্রাঘাতের শিকার হলেন বিয়ের কনে ও তার মা-বাবাসহ পরিবারের সকলে। ক্ষমা চেয়েও পরিত্রাণ মেলেনি। মোটা অঙ্কের টাকাও জরিমানা করা হয়েছে।
জরিমানার টাকা দিতে না পারায় মেয়ের জামাইয়ের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন অটোরিকশা আটকে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারটি অসহায় অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
আরো পড়ুন:
ধামরাইয়ে ৪টি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, জরিমানা
ময়মনসিংহে ক্লিনিকে অভিযানে কারাদণ্ড-জরিমানা
বুধবার (২৬ নভেম্বর) হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সালিশে এই রায় দেওয়া হয়।
কনের বাবা মো. শাহজাহান বলেন, ‘‘আমি গরিব মানুষ। আমার মেয়ের বিয়েতে শখ করে মাইক বাজিয়েছি। এর জন্য স্থানীয় আফছার, ছারোয়ার ও মালেক আমাদের পরিবারের সবাইকে মারধর করে। তারা এ জন্য সালিশ বাসায়। আলাউদ্দিন মাঝি, তছলিম, আনোয়ার মাঝি, সেন্টু ও রফিকসহ স্থানীয় কয়েকজন সালিশে আমাদের সবাইকে ১৫টি করে বেত্রাঘাতের রায় দেন। আমি এবং পরিবারের সবাই বার বার ক্ষমা চাওয়ার পরও তারা কর্ণপাত করেনি। সবাইকে বেত্রাঘাত করার পর তারা ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে।’’
তিনি বলেন, ‘‘জরিমানার টাকা জোগাড় করতে না পারায় আফছার আমার মেয়ের জামাইয়ের অটোরিকশা আটকে রেখেছে। সমাজে অনেকের কাছে গিয়েছি, কোনো বিচার পাইনি।’’
সালিশে উপস্থিত থাকা আলাউদ্দিন মাঝি বলেন, ‘‘মাইক বাজানোর বিষয়ে আফছার জিজ্ঞেস করার কারণে হট্টগোল বাধে। ওখানে আফছারের ৫০ হাজার টাকা হারিয়ে গিয়েছে। যদিও আমরা তার সঠিক প্রমাণ পাইনি। তবুও আমাদের মধ্যে একজন সালিশদার এই টাকার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩০ হাজার টাকার রায় দিয়েছেন।’’
বেত্রাঘাতের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘সালিশের মধ্যে মহিলাদের বেত্রাঘাত করা হয়নি। পুরুষদের করা হয়েছে। মহিলাদের শাসন করার জন্য ঘরের মুরুব্বি হিসেবে শাহাজান নামে একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনিই ঘরে নারীদের বেত্রাঘাত করেছেন।’’
সাগরিয়া ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘‘বিয়েতে মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আমি উভয়পক্ষকে বলেছি, আইনি ব্যবস্থা নিতে। তারা গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করায় আমি আর সেখানে থাকিনি। এরপর তারা আমাকে আর কিছু জানায়নি।’’
এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ঢাকা/সুজন/বকুল