নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের নির্বাচন ২০ ডিসেম্বর
Published: 12th, October 2025 GMT
ঐহিত্যবাহী নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেড এর পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন আগামী ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেডের নির্বাচন পরিচালনা কমিশনের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম সানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশনের সভায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
এতে ১০ নভেম্বর রাত ৮টার মধ্যে (৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) সদস্যদের যাবতীয় বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী ১১ নভেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে, ১৩ নভেম্বর হতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত খসড়া ভোটার তালিকার উপর আপত্তি জানানো যাবে, ১৭ নভেম্বর খসড়া ভোটার তালিকার উপর আপত্তির শুনানি ও নিষ্পত্তি, ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে, ১৯ ও ২০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র বিতরণ, ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা, ২৩ নভেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ, ২৪ নভেম্বর মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল, ২৬ নভেম্বর আপিল শুনানি ও বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ, ২৭ ও ২৮ নভেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা যাবে, ২৯ নভেম্বর ব্যালট ক্রমিক নাম্বারসহ চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে এবং ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) সকাল ৯টা হতে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিনই ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
কমিশনের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম সানির সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, কমিশনের সদস্য মো: নবী হোসেন, আলহাজ্ব মো: আলী হায়দার, কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান। উল্লেখ্য, সভাপতি পদে ১জন, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ১জন, সহ-সভাপতি পদে ১জন এবং পরিচালক পদে ৮জন সর্বমোট ১১টি পদে নির্বাচন হবে।
প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। নির্বাচনে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে আলহাজ¦ মো: জাকির হোসেন এডভোকেট, সদস্য হিসেবে আলহাজ¦ জি এম হায়দার আলী বাবলু ও শংকর চন্দ্র সাহা দায়িত্ব পালন করবেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ ত ড স ম বর ম বর ম প রক শ
এছাড়াও পড়ুন:
সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় গর্ভধারিণী মাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালো কুলাঙ্গার সন্তান
পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার ঘৃণ্য উদ্দেশ্য ও সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় নিজের গর্ভধারিণী মাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর অভিযোগ উঠেছে এক কুলাঙ্গার সন্তানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই সন্তানের নাম আবুল বাশার জনি।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ নগর খাঁনপুর এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত আলহাজ্ব আবু তাহের, সাহেবের দোকানপাট ও বাড়িঘর অন্যান্য সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন। মরহুম আবু তাহের সাহেবের মৃত্যুর পর আইনগতভাবে তাঁর স্ত্রী এবং ৩ সন্তান সেই সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবেন। আবুল বাশার জনি হচ্ছে দ্বিতীয় সন্তান।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জনি দীর্ঘদিন ধরে জোর করে পুরো সম্পত্তি নিজের দখলে রাখার লক্ষ্যে, নিজের নামে লিখে নিতে তার মায়ের উপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন। মা তাতে রাজি না হওয়ায় তিনি এই চরম পদক্ষেপ নেন।
গত ৫ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ চতুর্থ অতিরিক্ত সহকারী জজ আদালতে জনির পক্ষে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে তিনি তার মায়ের বিরুদ্ধে 'সম্পত্তির অধিকার নিয়ে মিথ্যা দাবি' এবং 'জালিয়াতির' অভিযোগ এনেছেন। এই মামলার মাধ্যমেই ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর আইনি নোটিশ ধরিয়ে দেন জনি।
আদালতে হাজির হয়ে অভিযুক্ত মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, "আমি জন্ম দিয়েছি, কোলে পিঠে করে মানুষ করেছি। আজ সে শুধুমাত্র সম্পত্তির জন্য আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়াল। এই সম্পত্তির উপর আমার ও তার বাকি ২ ভাই-বোনের হক রয়েছে। আমি কল্পনাও করতে পারিনি, আমার নিজের ছেলে আমাকে এভাবে অপমান করবে।"
বৃদ্ধা জানান, তার স্বামী বেঁচে থাকা অবস্থায়ই সম্পত্তি বন্টনে একটি অসিয়তনামা করে যান,কিন্তু জনি একাধিকবার পারিবারিক বৈঠকে বাবার ওসীয়ত নামা মানতে রাজি হয়নি, বিগত ১ আগষ্ট তারিখে ১১ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার জনাব অহিদুল ইসলাম ছক্কুর কার্যালয়ে, কমিশনারের তত্তাবদানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে নন জুডিশিয়ান স্ট্যাম্পের মাধ্যমে পারিবারিক বন্টক নামা করাহয়।
ওই বিচারকে উপেক্ষা করে, জনি তার মা এবং ভাই -বোনকে চাপ সৃষ্টি করছেন। এতে তার মা নিজেকে সম্পূর্ণ অসহায় এবং তার জীবন নিয়ে আশংকাবোধ করছেন।
এলাকাবাসী এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনির এক প্রতিবেশী বলেন, "আমরা জনির মা-কে বহু বছর ধরে চিনি। তিনি অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ এবং সহজ-সরল মানুষ। জনি যে এমন কাণ্ড করতে পারে, তা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল। সম্পত্তির লোভে এমন জঘন্য কাজ সমাজে উদাহরণ হয়ে থাকবে।"
বাদীপক্ষের আইনজীবী এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে, মায়ের পক্ষে আইনি লড়াই পরিচালনার জন্য স্থানীয় একটি মানবাধিকার সংগঠন এগিয়ে এসেছে। তারা এই মামলাটিকে সন্তানের হাতে পিতা-মাতার অধিকার লঙ্ঘনের একটি গুরুতর দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এই ঘৃণ্য চেষ্টার বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবেন এবং সমাজে এমন সন্তানের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাবেন।