দেড়যুগের বেরোবি: শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা-প্রাপ্তি
Published: 12th, October 2025 GMT
প্রতিষ্ঠার পর কেটে গেছে দেড়যুগ। সময়ের স্রোতে ১৭ পেরিয়ে ১৮-তে পদার্পণ করছে উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছয়টি অনুষদের ২২টি বিভাগে অন্তত ৮ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। এছাড়াও ২০৫ জন শিক্ষকের পাশাপাশি রয়েছেন ৬২৪ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
রংপুরে অঞ্চলের মানুষের আন্দোলন ফসল এই ৭৫ একর জায়গা বিস্তৃত এ বিদ্যাপীঠটি বরাবরই বঞ্ছনার শিকার। অবাসন, ক্লাসরুমসহ নানা যেন লেগেই আছে এখানে। এখানে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে বিভেদ অনেক। রাইজিংবিডির কাছে সেসব কথাই জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
ক্লাস থেকে ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন করানোর অভিযোগ
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বাবাকে বাঁচাতে চান হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী
প্রত্যাশা অপূর্ণ হলেও স্বপ্ন অনেক
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় উত্তরবঙ্গের গর্ব ও জ্ঞানের আলোকশিখা। তবুও আমাদের প্রাপ্তি এখনো অসম্পূর্ণ। আমরা পেয়েছি শিক্ষা ও জ্ঞানের আলো। আধুনিক ভবন, দক্ষ শিক্ষক ও প্রাণবন্ত ক্যাম্পাস জীবন এবং বর্তমানে যাতায়াতের ভোগান্তি থেকে মুক্তি। কিন্তু অবকাঠামো, গবেষণা ও সুযোগের দিক থেকে এখনো পিছিয়ে আছি।
আজো অনেক প্রত্যাশা অপূর্ণ হলেও আমাদের স্বপ্ন অনেক। সেসব স্বপ্ন একদিন বাস্তবায়ন হবে, এমন একটি সময়ের অপেক্ষা করছি।
(লেখক: মিতানুর মুক্তা, শিক্ষার্থী, জেন্ডার অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ)
সংকট কাটিয়ে বেরোবি হোক বিশ্বমানের
এই বিশেষ দিনটি শুধু একটি ক্যালেন্ডারের তারিখ নয়, এটি মুক্তচিন্তা, জ্ঞানচর্চা ও সৃজনশীলতার এক আনন্দময় উদযাপন। জুলাই অভুত্থানের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই যথোপযুক্ত শিক্ষা, গবেষণার ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত আবাসন বা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। বিশ্ববিদ্যালয়ের দিবসে আমরা চাই, এর যথোপযুক্ত সমাধান। আমাদের প্রত্যাশা, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বমানের হোক।
(লেখক: আহসান হাবিব, শিক্ষার্থী, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ)
গবেষণার নতুন দিগন্ত খুলেছে বেরোবি
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে শোকাবহ অথচ অনুপ্রেরণামূলক অধ্যায়। তিনি আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন—ন্যায় ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণশক্তি।
তবুও আশার আলো জ্বলছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেরোবির শিক্ষকমণ্ডলী ও শিক্ষার্থীরা বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন—যা গবেষণার নতুন দিগন্ত খুলেছে। অনার্স পর্যায়ে গবেষণা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাস্টার্সে সম্মানী ভাতা প্রদানও তরুণ গবেষকদের উৎসাহিত করছে।
(লেখক: রিফাত রাফি, শিক্ষার্থী, ইলেক্টিকেল ইলেকট্রনিকস ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ)
বাজেট বৈষম্য দুরীভূত হোক
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রত্যাশা ছিল মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি বাস্তব জীবনের দক্ষতা অর্জন। প্রাপ্তি হিসাবে যা পেয়েছি, তা খুবই ক্ষীণ। প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরে পদার্পণ করলেও প্রতিবার বাজেট বৈষ্যামের জন্য আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায়। অনন্যা বিশ্ববিদ্যালয় তুলনায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট অনেক কম। আমরা চাই, এ বাজেট বৈষম্য দুর হোক। এগিয়ে যাক সবুজ সমারোহে ঘেরা ৭৫ একরের ক্যাম্পাস।
(লেখক: জাহেদুল ইসলাম, শিক্ষার্থী, ভূগোল ও পরিবেশবিগ্গান বিভাগ)
অবাসন সংকটের সমাধান হোক
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নামই আমাদের মনে জাগায় নারী শিক্ষার আলোকবর্তিকা বেগম রোকেয়ার কথা। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের জন্য মাত্র একটি হল এবং ছেলেদের জন্য দুটি, যা দিন দিন বাড়তে থাকা শিক্ষার্থীর তুলনায় অত্যন্ত সীমিত। অনেক শিক্ষার্থী বাধ্য হয়ে বাইরে মেসে থাকেন। যেখানে নিরাপত্তা, পরিবেশ ও খরচ- সবদিক থেকেই চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ বছরের পথচলায় এটি একটি বড় অপূর্ণতা।
আমার প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত মেয়েদের অসমাপ্ত হল নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করবে এবং নতুন হল নির্মাণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও স্থায়ী আবাসনের নিশ্চয়তা দেবে।
(লেখক: তাসনিম তাবাস্সুম, শিক্ষার্থী, রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগ)
শ্রেণিকক্ষের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা সংস্কৃতির অবসান হোক
১৭ বছর অতিক্রম করার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। যেমন- বেশিরভাগ বিভাগে ২-৩টা করে ক্লাস রুম রয়েছে। ফলে একটি ব্যাচের ক্লাস চললে অন্য ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়। এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এছাড়াও রয়েছে আবাসন সংকট। তাছাড়া আমাদের ক্যাম্পাসে কোনো অডিটোরিয়াম নেই। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি এসব সমস্যার নিরসন চাই।
(লেখক: মোছা.
শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.মো. শওকাত আলী বলেন, “মাস্টারপ্লান অনুযায়ী মেগা প্রজেক্টের কাজ শুরু করব। রিসার্চ ইনিস্টিউটেট যে অসমাপ্ত কাজ আছে, সেটাও শুরু করব। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”
ঢাকা/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব গম র ক য় র জন য আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
দেড়যুগের বেরোবি: শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা-প্রাপ্তি
প্রতিষ্ঠার পর কেটে গেছে দেড়যুগ। সময়ের স্রোতে ১৭ পেরিয়ে ১৮-তে পদার্পণ করছে উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছয়টি অনুষদের ২২টি বিভাগে অন্তত ৮ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। এছাড়াও ২০৫ জন শিক্ষকের পাশাপাশি রয়েছেন ৬২৪ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
রংপুরে অঞ্চলের মানুষের আন্দোলন ফসল এই ৭৫ একর জায়গা বিস্তৃত এ বিদ্যাপীঠটি বরাবরই বঞ্ছনার শিকার। অবাসন, ক্লাসরুমসহ নানা যেন লেগেই আছে এখানে। এখানে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে বিভেদ অনেক। রাইজিংবিডির কাছে সেসব কথাই জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
ক্লাস থেকে ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন করানোর অভিযোগ
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বাবাকে বাঁচাতে চান হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী
প্রত্যাশা অপূর্ণ হলেও স্বপ্ন অনেক
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় উত্তরবঙ্গের গর্ব ও জ্ঞানের আলোকশিখা। তবুও আমাদের প্রাপ্তি এখনো অসম্পূর্ণ। আমরা পেয়েছি শিক্ষা ও জ্ঞানের আলো। আধুনিক ভবন, দক্ষ শিক্ষক ও প্রাণবন্ত ক্যাম্পাস জীবন এবং বর্তমানে যাতায়াতের ভোগান্তি থেকে মুক্তি। কিন্তু অবকাঠামো, গবেষণা ও সুযোগের দিক থেকে এখনো পিছিয়ে আছি।
আজো অনেক প্রত্যাশা অপূর্ণ হলেও আমাদের স্বপ্ন অনেক। সেসব স্বপ্ন একদিন বাস্তবায়ন হবে, এমন একটি সময়ের অপেক্ষা করছি।
(লেখক: মিতানুর মুক্তা, শিক্ষার্থী, জেন্ডার অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ)
সংকট কাটিয়ে বেরোবি হোক বিশ্বমানের
এই বিশেষ দিনটি শুধু একটি ক্যালেন্ডারের তারিখ নয়, এটি মুক্তচিন্তা, জ্ঞানচর্চা ও সৃজনশীলতার এক আনন্দময় উদযাপন। জুলাই অভুত্থানের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই যথোপযুক্ত শিক্ষা, গবেষণার ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত আবাসন বা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। বিশ্ববিদ্যালয়ের দিবসে আমরা চাই, এর যথোপযুক্ত সমাধান। আমাদের প্রত্যাশা, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বমানের হোক।
(লেখক: আহসান হাবিব, শিক্ষার্থী, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ)
গবেষণার নতুন দিগন্ত খুলেছে বেরোবি
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে শোকাবহ অথচ অনুপ্রেরণামূলক অধ্যায়। তিনি আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন—ন্যায় ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণশক্তি।
তবুও আশার আলো জ্বলছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেরোবির শিক্ষকমণ্ডলী ও শিক্ষার্থীরা বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন—যা গবেষণার নতুন দিগন্ত খুলেছে। অনার্স পর্যায়ে গবেষণা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাস্টার্সে সম্মানী ভাতা প্রদানও তরুণ গবেষকদের উৎসাহিত করছে।
(লেখক: রিফাত রাফি, শিক্ষার্থী, ইলেক্টিকেল ইলেকট্রনিকস ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ)
বাজেট বৈষম্য দুরীভূত হোক
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রত্যাশা ছিল মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি বাস্তব জীবনের দক্ষতা অর্জন। প্রাপ্তি হিসাবে যা পেয়েছি, তা খুবই ক্ষীণ। প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরে পদার্পণ করলেও প্রতিবার বাজেট বৈষ্যামের জন্য আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায়। অনন্যা বিশ্ববিদ্যালয় তুলনায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট অনেক কম। আমরা চাই, এ বাজেট বৈষম্য দুর হোক। এগিয়ে যাক সবুজ সমারোহে ঘেরা ৭৫ একরের ক্যাম্পাস।
(লেখক: জাহেদুল ইসলাম, শিক্ষার্থী, ভূগোল ও পরিবেশবিগ্গান বিভাগ)
অবাসন সংকটের সমাধান হোক
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নামই আমাদের মনে জাগায় নারী শিক্ষার আলোকবর্তিকা বেগম রোকেয়ার কথা। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের জন্য মাত্র একটি হল এবং ছেলেদের জন্য দুটি, যা দিন দিন বাড়তে থাকা শিক্ষার্থীর তুলনায় অত্যন্ত সীমিত। অনেক শিক্ষার্থী বাধ্য হয়ে বাইরে মেসে থাকেন। যেখানে নিরাপত্তা, পরিবেশ ও খরচ- সবদিক থেকেই চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ বছরের পথচলায় এটি একটি বড় অপূর্ণতা।
আমার প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত মেয়েদের অসমাপ্ত হল নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করবে এবং নতুন হল নির্মাণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও স্থায়ী আবাসনের নিশ্চয়তা দেবে।
(লেখক: তাসনিম তাবাস্সুম, শিক্ষার্থী, রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগ)
শ্রেণিকক্ষের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা সংস্কৃতির অবসান হোক
১৭ বছর অতিক্রম করার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। যেমন- বেশিরভাগ বিভাগে ২-৩টা করে ক্লাস রুম রয়েছে। ফলে একটি ব্যাচের ক্লাস চললে অন্য ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়। এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এছাড়াও রয়েছে আবাসন সংকট। তাছাড়া আমাদের ক্যাম্পাসে কোনো অডিটোরিয়াম নেই। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি এসব সমস্যার নিরসন চাই।
(লেখক: মোছা. আয়েশা সিদ্দিকা, শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ)
শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.মো. শওকাত আলী বলেন, “মাস্টারপ্লান অনুযায়ী মেগা প্রজেক্টের কাজ শুরু করব। রিসার্চ ইনিস্টিউটেট যে অসমাপ্ত কাজ আছে, সেটাও শুরু করব। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”
ঢাকা/মেহেদী