নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ট্রেনের ধাক্কায় রিয়াজুল মোল্যা (২৫) নামের এক তরুণ মারা গেছেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার কালনা-কামঠানা এলাকায় ঢাকা-বেনাপোল রেললাইনের পাশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
রিয়াজুল উপজেলার কুমোরকান্দা গ্রামের মৃত ফজলুল মোল্যার ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে কামঠানা এলাকায় স্থানীয় কয়েকজন দেখেন, এক তরুণ কাঁদতে কাঁদতে রেললাইনের দিকে যাচ্ছেন। পরে তিনি রেললাইনের ওপর বসে পড়েন। এ সময় বেনাপোল থেকে ঢাকাগামী রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস দ্রুতগতিতে এগিয়ে আসছিল। স্থানীয় লোকজন চেষ্টা করেও ওই তরুণকে রেললাইন থেকে সরাতে পারেননি। মুহূর্তের মধ্যে দ্রুতগতির ট্রেনের ধাক্কায় তিনি ছিটকে পাশের খাদে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয় লোকজন জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন এবং রেলওয়ে পুলিশকে জানান।

গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইল প্রথমবারের মতো রেলসেবার আওতায় আসে। পদ্মা রেল লিঙ্ক প্রকল্পের আওতায় নড়াইল অংশে আছে ২৮ কিলোমিটার রেলপথ। নড়াইলে রেললাইনে গতকাল প্রথমবারের মতো কেউ দুর্ঘটনায় মারা গেল।

খুলনা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম খান বলেন, খবর পেয়ে খুলনা থেকে রেলওয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। লাশের সুরতহাল শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু 

দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। 

রবিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঢাকার আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। মাসব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এর আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশুকে বিনামূল্যে একটি ডোজ ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে।

আরো পড়ুন:

শতাধিক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি গুজব

দুই দিন পিছিয়ে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর ১৭ অক্টোবর

জন্মসনদ না থাকলেও শিশুরা এই টিকা পাবে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে টিকাটি, যা সরকার পেয়েছে আন্তর্জাতিক টিকাবিষয়ক সংস্থা গ্যাভির সহায়তায়।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানান, টিকাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত এবং নিরাপদ। নেপাল, পাকিস্তানসহ আরো আটটি দেশে এই টিকা ব্যবহৃত হয়েছে এবং কোথাও বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্যাম্পেইনের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি বা সমমান পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এক ডোজ করে টিকা দেওয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাদান চলবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী বাকি শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়া হবে। শহরের পথশিশুদের টিকাদানে সহায়তা করবে বিভিন্ন এনজিও।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরইমধ্যে প্রায় ১ কোটি ৬৮ লাখ শিশু নিবন্ধন করেছে। নিবন্ধন চলমান রয়েছে। যেসব শিশুর জন্মসনদ নেই, তাদেরও টিকার জন্য নিবন্ধন করা যাবে। এর জন্য নিকটস্থ টিকাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

অভিভাবকরা https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv ওয়েবসাইটে গিয়ে ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। ১ আগস্ট থেকে নিবন্ধন শুরু হয়েছে এবং নিবন্ধনের পর জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে সরাসরি ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করা যাবে।

ইপিআই (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) প্রোগ্রামের ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, “১২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনের প্রথম ১০ দিন দেশের স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোতে ক্যাম্প করে এবং পরবর্তী ৮ দিন ইপিআই সেন্টারে এই টিকা দেওয়া হবে।”

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শূন্য সুখের শহর
  • দেশব্যাপী টাইফয়েডের টিকাদান শুরু
  • দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু 
  • আলহামদুলিল্লাহ, আমার জীবনের সেরা দিন: ফারহান