বাংলা গানের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র খুরশীদ আলম। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে তিনি উপহার দিয়েছেন চার শতাধিক কালজয়ী গান। সম্প্রতি এই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী জানিয়েছেন—তার মতে, এই দেশ বহু শিল্পীকে নষ্ট করেছে। 

রাহাত সাইফুলের সঞ্চালনায় ‘রাইজিংবিডি স্পেশাল’ অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে খুরশীদ আলম বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, এই দেশ বহু শিল্পীকে নষ্ট করেছে।” 

আরো পড়ুন:

অরিজিতের সঙ্গে দ্বন্দ্ব, ভুল স্বীকার করলেন সালমান

সারজিস, সম্ভবত তোমার ঘুম কম হচ্ছে: প্রিন্স মাহমুদ

ব্যাখ্যা করে খুরশীদ আলম বলেন, “এই দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব বহু শিল্পীকে ভুলভাবে ব্যবহার করেছে। যখন তাদের প্রয়োজন হয়েছে, শিল্পীদের কাছে টেনেছে; আর দরকার ফুরোলেই ফেলে দিয়েছে। কিছু শিল্পী রাজনীতিতে গিয়ে সফল হয়েছেন, নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন—তবে আমার মনে হয়, শিল্পীদের সরাসরি রাজনীতিতে না যাওয়াই ভালো। গানই আমার পলিটিক্স, গানই আমার সব।” 

বর্তমান সংগীতজগতের হিংসা-বিদ্বেষের প্রসঙ্গে খুরশীদ আলম বলেন, “গানবাজনা এমন একটা জায়গা, যেখানে একজনের উন্নতি আরেকজন সহ্য করতে পারে না। আমাদের সময়েও প্রতিযোগিতা ছিল। কিন্তু এতটা প্রকাশ্য বা ন্যাকা ধরনের ছিল না।” 

স্মৃতিচারণ করে খুরশীদ আলম বলেন, “আমাদের সময়ে সবাই মিলে কাজ করতাম—হারলে-জিতলেও একসঙ্গে। তখনকার গীতিকাররাও আলোচনা করে ঠিক করতেন, কোন শিল্পীর কণ্ঠে গানটি ভালো হবে। এখন দেখা যায়—গায়কই গীতিকার, গায়কই সুরকার। অবশ্যই ভালো কাজ হয়। কিন্তু আমি মনে করি, পরামর্শ নেওয়া খুব দরকার।” 

সংগীতের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও শৃঙ্খলার জায়গা থেকেই আজও স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না খুরশীদ আলম। 

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও সংগীতের ইতিহাসে খুরশীদ আলমের কণ্ঠে অমর হয়ে আছে অসংখ্য গান। এ তালিকায় রয়েছে—‘মাগো মা ওগো মা’, ‘চুমকি চলেছে একা পথে’, ‘যদি বউ সাজো গো’, ‘চুপি চুপি বলো কেউ জেনে যাবে’, ‘চুরি করেছো আমার মনটা’ প্রভৃতি।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এই দ শ

এছাড়াও পড়ুন:

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটপূর্ণ বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানান, খালেদা জিয়া দুই দিন ধরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা গুরুতর। নয়াপল্টনে দোয়ার আয়োজনে মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। প্রায় ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি এর আগে লন্ডন গিয়েছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ