শিক্ষকদের এভাবে পেটানো জাতির জন্য লজ্জাজনক
Published: 13th, October 2025 GMT
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘একটা নতুন দেশ গড়তে যাচ্ছি আমরা। এত মানুষ রক্ত দিয়েছেন, তারপরও অপমানিত হওয়ার জন্য নয়। শিক্ষক কেন, একটা সাধারণ মানুষকেও রাস্তার মধ্যে কুকুরের মতো পেটাবেন, এই রকম দেশ চাই না।’
আজ সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীদের তিন দফা দাবিতে চলা অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে এ কথাগুলো বলেন মাহমুদুর রহমান।
নিজের রাজনৈতিক লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘দেশ আমরা বদলাব বলে লড়াই করছি। এখনো যে লড়াই করছি, তা কোনো দলের পরিবর্তে দল কিংবা মানুষের পরিবর্তে মানুষকে ক্ষমতায় বসানোর লড়াই নয়। আমরা সমগ্র মানুষ, ২০ কোটি মানুষের ভাগ্য বদলাবার লড়াই করি।’
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষক–কর্মচারীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটার সমালোচনা করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রী সাহেবরা প্রতিদিন কে কতক্ষণ লেট করে অফিসে আসেন, সেই হিসাব তো চাইনি। তাহলে ৫ মিনিটের মধ্যে শিক্ষকদের লাঠিপেটা করা আর যা–ই হোক, মানুষের কাজ তো হতে পারে না। এটা এই জাতির জন্য একটা কলঙ্ক।’
দুই দিন পার হলেও আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সঙ্গে সরকারের কোনো প্রতিনিধি যোগাযোগ না করার সমালোচনা করেন মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার জন্য যে ভাতা দেওয়া হয়, তা দিয়ে একেবারে গ্রাম এলাকাতেও একটা বাসা পাওয়া যায় না।’
শিক্ষকদের দাবি মানা না হলে রাজনৈতিক দলগুলোও শিক্ষকদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেবে বলে জানান মাহমুদুর রহমান। এ সময় তিনি গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি দলের পক্ষ থেকে শিক্ষক–কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের এই আন্দোলনের সঙ্গে আমরা আছি।’
শিক্ষক–কর্মচারীদের আন্দোলনের সফলতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘এমন একটি সরকার চাই, যে সরকার সত্যি সত্যি জনগণের কল্যাণে কাজ করবে। আজকের লড়াই শুধু শিক্ষকদের নয়, এই লড়াই শিক্ষকদের মুক্তির লড়াই। শিক্ষাকে উন্নত করার লড়াই।’
এর আগে বিকেলে শিক্ষক–কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী, খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় বাসের ধাক্কায় দুজনের মৃত্যু
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার হুগুলিয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ইট ভাঙার ট্রাক্টরে বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন—কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ককড়িকান্দি গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৪৫) এবং একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হুগুলিয়া মার্কাজ মসজিদ এলাকায় মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ইট ভাঙার ট্রাক্টরকে পিছন দিক থেকে ধাক্কা দেয় স্টার লাইন পরিবহনের একটি বাস। ট্রাক্টরটি সড়কের পাশে উল্টে পড়ে। ঘটনাস্থলেই ট্রাক্টরে থাকা দুজনের মৃত্যু হয়।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেছেন, “নিহত একজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। বাসটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে। মরদেহ দুটি পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।”
ঢাকা/রুবেল/রফিক