আমাকে মনোনয়ন দেওয়ায় এক শতাংশ চোর-ডাকাত নাখোশ: ভিপি জয়নাল
Published: 7th, November 2025 GMT
ফেনী-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ও দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল) বলেছেন, “আমাকে মনোনয়ন দেওয়ায় ৯৯ শতাংশ মানুষ খুশি হলেও এক শতাংশ চোর-ডাকাত নাখোশ হয়েছে। দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত অমান্য করার শক্তি কারো নেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে আজ পর্যন্ত ফেনীকে আমি কখনো ছেড়ে যাইনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ফেনীর মানুষের পাশে থাকব।”
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে ফেনী শহরের সদর হাসপাতাল মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে, সড়ক পথে ঢাকা থেকে ফেনীতে ফেরার সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দত্তসার দিঘি এলাকায় ফুলেল শুভেচ্ছা ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাকে বরণ করে নেন দলীয় নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে ছাদখোলা গাড়িতে উঠে হাত নেড়ে স্থানীয়দের শুভেচ্ছা জানান তিনি।
আরো পড়ুন:
সংবিধান ও আইন অনুযায়ী সনদ বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ বিএনপি
ঐকমত্য কমিশন কী হলো না হলো কিছু আসে যায় না: আমীর খসরু
ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, “দলের ভেতরের বিভেদ ভুলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। দলীয় ঐক্যই পারে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে।”
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, সদর উপজেলা আহ্বায়ক ফজলুর রহমান বকুল, সদস্য সচিব আমান উদ্দিন কায়সার সাব্বির, পৌর আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন বাবুল, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন খন্দকার, সদস্য সচিব নঈম উল্লাহ চৌধুরী বরাত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাঈদুর রহমান জুয়েল, সদস্য সচিব এস এম কায়সার এলিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাহ উদ্দিন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, “মোটরসাইকেল শোডাউন ও পথসভা সম্পর্কে আমাদের দলীয় কোনো বক্তব্য নেই। এটা সংসদ সদস্য প্রার্থী (ভিপি জয়নাল) বলতে পারবেন। তিনি মনোনয়ন পেয়েছেন, শোডাউন ও পথসভা করেছেন, মানুষ তাকে বরণ করেছে এটাতো খুশির কথা।"
৯৯ শতাংশ খুশি ও এক শতাংশ নাখোশ ভিপি জয়নালের এই মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা আমি বলতে পারব না, এটা যুবদলের নাসির খন্দকারকে জিজ্ঞেস করেন।”
ঢাকা/সাহাব/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র উদ দ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মহাসড়কের একাংশ বন্ধ করে বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচনী সভা
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মহাসড়কের একাংশ বন্ধ করে নির্বাচনী পথসভা করেছেন বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থী নুরুল আমিন। আজ বুধবার বেলা আড়াইটায় উপজেলা সদরের পথচারী–সেতুর দক্ষিণ পাশে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে এই পথসভা শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে চারটায় শেষ হয়। এতে যানজটে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও চালকেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পথসভার কারণে চট্টগ্রামমুখী লেনে যান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে ওই সময়ে মহাসড়কে ঢাকামুখী লেন দিয়ে চট্টগ্রামমুখী গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করে পুলিশ। তবে দুই লেনের গাড়ি এক লেন দিয়ে চলাচল করায় সড়কে গাড়ির চাপ বাড়ে। এতে যান চলাচলে ধীরগতি দেখা দেয়। এ কারণে সড়কে উত্তর দিকের অছি মিয়া সেতু থেকে দক্ষিণ দিকের ডাকবাংলা এলাকা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
মহাসড়কে আটকে থাকা ঢাকামুখী লেনে কাঠবাহী একটি ট্রাকের চালক মো. শহিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজনৈতিক সভার জন্য যানজটে আমি প্রায় ৩০ মিনিট একই জায়গায় আটকে ছিলাম। মহাসড়ক বন্ধ করে দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি কাম্য হতে পারে না।’
মহাসড়কের একাংশ বন্ধ করে নির্বাচনী পথসভা করার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রার্থী নুরুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ আমরা মিরসরাই পথসভার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছি। তবে পথসভায় অতিরিক্ত জনসমাগম হওয়ায় অল্প কিছু সময়ের জন্য সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। এ জন্য সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সংসদ সদস্য প্রার্থী নুরুল আমিনের পথসভার জন্য আমাদের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। আমাদের বলেছিলেন, তাঁরা ফুটপাতে সভা করবেন। কিন্তু লোকজন বেশি হওয়ায় মহাসড়কের একাংশ বন্ধ হলে আমরা ঢাকামুখী লেন দিয়ে দুই পাশের গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। এতে পাঁচ থেকে সাত মিনিটের জন্য যানজট তৈরি হলেও বড় কোনো সংকট হয়নি।’
আতিকুর রহমান বলেন, ‘সামনে মহাসড়কে রাজনৈতিক সভা–সমাবেশ না করে কোনো মাঠে করতে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আমরা পরামর্শ করব।’
পথসভায় যা বললেন নুরুল আমিনপথসভায় নুরুল আমিন মহাসড়কের এক পাশে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ী ও সাধারণ পথচারীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রার্থী ঘোষণার আগপর্যন্ত মিরসরাইয়ে বিএনপিতে আমরা হয়তো কিছুটা বিভক্ত ছিলাম। এখন আমরা ধানের শীষের জন্য একসঙ্গে লড়ব। আজ থেকে প্রত্যেকের পরিবারে, বাড়িতে ও আশপাশের মানুষদের জনে জনে ধানের শীষ মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাতে হবে।’
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব গাজী নিজাম উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সরোয়ার উদ্দিন প্রমুখ।