আনিসুল ইসলাম সানির পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
Published: 11th, November 2025 GMT
ন্যায় ও গণতন্ত্রের বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রণীত “রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা” কর্মসূচি নারায়ণগঞ্জের ১৪ নং ওয়ার্ডে জনসাধারণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম আহ্ববায়ক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনিসুল ইসলাম সানির পক্ষে ১৪ নং ওয়ার্ড জাসাস এই লিফলেট বিতরণ করে।
লিফলেট বিতরণকালে জাসাস নেতৃবৃন্দ বলেন, “৩১ দফা হলো গণমানুষের চুক্তিপত্র। এতে আছে ন্যায়, উন্নয়ন ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা। আমরা এই বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি ঘরে ঘরে, কারণ বিএনপি বিশ্বাস করে গণতন্ত্রই জনগণের আসল শক্তি। অধিকার প্রতিষ্ঠার এই পথ থেমে থাকবে না যতদিন না সত্যিকার জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।” বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি দেশের জনগণের মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার রূপরেখা। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে ন্যায়, সমতা ও উন্নয়নভিত্তিক একটি রাষ্ট্র কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাসাসের সহ-সভাপতি এনামুল হক খান, আহ্বায়ক বুলবুল রাজা মিঠু, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ হারুন অর রশিদ, মোঃ আশরাফুজ্জামান ইভান, সদস্য সচিব বদিউজ্জামান ইমন, সদস্য এইচ.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র জন ত ব এনপ ল ফল ট ব ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন একটি রাজনৈতিক দল: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ও রাকসুর সাবেক ভিপি রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন একটি রাজনৈতিক দল। গণতন্ত্র আর বিএনপি হলো অবিভাজ্য একটি বিষয়। বহুদলীয় গণতন্ত্র আর জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান অবিভাজ্য একটি সংকল্প। এটাকে কখনো খণ্ডিত করা যায় না।”
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) টিএসসিসি ভবনে শাখা ছাত্রদলের আয়োজনে ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ এর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
ডাকসু-জাকসুর ভিপি-জিএস-এজিএসরা পূর্বে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন: নাছির
সাংবাদিক শামছুলের বিরুদ্ধে করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জিডি প্রত্যাহার দাবি
তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের প্রশ্নে এরশাদের সঙ্গে যেমন কোনো আপোষ করেনি, তেমন রক্তচোষা হাসিনার সঙ্গেও কোনো আপোষ করেনি খালেদা জিয়া। সেই প্রেরণা নিয়ে আমরা কাজ করছি। ৭ নভেম্বরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েই ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সে (শেখ হাসিনা) পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তাই ৭ নভেম্বর অল্প পরিসরে বলা যায় না।”
তিনি আরো বলেন, “৭ নভেম্বরেই আমরা সত্যিকারের স্বাধীনতা পেয়েছি। কারণ স্বাধীনতার একজন তূর্যবাদক লাগে, যিনি নির্ভয়ে সাহসিকতার সঙ্গে স্বাধীনতার যুদ্ধ পরিচালনা করেন। ৭১ সালে নির্দ্বিধায় কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়া বলেছিলেন, ‘আমি জিয়া বলছি, আমি স্বাধীনতার ঘোষণা করছি।’ এরই মাধ্যমে তিনি স্বাধীনিতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং ঠিক একইভাবে ৭ নভেম্বরও একই ব্যাক্তি, আবারো রেডিওতে ভেসে উঠল- ‘আমি মেজর জিয়া বলছি’ বলে। ৭ নভেম্বরের অবদানের মূল নায়ক জিয়াউর রহমান।”
রিজভী বলেন, “রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সহাবস্থান তৈরি হয়েছে, যা গত ফ্যাসিবাদ আমলে ছিল না। ফ্যাসিবাদ যেখানে জন্মলাভ করে এবং বিকাশ লাভ করে, সেখানে গণতন্ত্রের নূন্যতম যায়গা থাকে না। ফ্যাসিবাদের ছোবলে যখন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, নির্বাচন কমিশন, সংবাদপত্র এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা আক্রান্ত হয়, তখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও আক্রান্ত হয়।”
রিজভী আরো বলেন, “শেখ হাসিনারটা একনায়কতন্ত্র শাসন নয়, সেটা তার থেকেও খারাপ অর্থাৎ ফ্যাসিবাদী শাসন ছিল। সে সময় ক্যাম্পাসে কোনো সহাবস্থান ছিল না। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারেনি। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্লাসরুম, লাইব্রেরিতে নির্বিঘ্নে যেতে পারেনি। সেই পরিস্থিতি ছাত্রদলকে ১৫-১৬ বছর অতিক্রম করতে হয়েছে।”
রাবি ছাত্রদের সভাপতি সুলতান আহমদ রাহীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
রাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সরদার জহুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক মামুনুর রশীদ, ফোকলোর বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বাবু, শিক্ষক ফোরামের সভাপতি আব্দুল আলিম, জিয়া পরিষদের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী