আগাম জাতের আলু চাষে ব্যস্ত হাকিমপুরের কৃষক
Published: 11th, November 2025 GMT
দিনাজপুরের হাকিমপুরে আগাম জাতের আলু রোপণকে কেন্দ্র করে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। আমন ধান কাটার পর ফাঁকা জমিতে অ্যাস্টেরিক, কার্ডিনাল ও স্বল্পমেয়াদী শাটাল জাতের আলুর বীজ রোপণের কাজ চলছে।
মৌসুমের শুরুতে আলুর ভালো দামের প্রত্যাশা থাকলেও সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের বাড়তি ব্যয় তাদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
উপজেলার খট্টামাধবপাড়া, ইসবপুর, বোয়ালদাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠজুড়ে হাল চাষ, আগাছা পরিষ্কার, গোবর ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ, বেড তৈরি ও হিমাগার থেকে আনা বীজ রোপণে কৃষকদের ব্যাপক কর্মব্যস্ততা। শীতের আগমনী বার্তায় কৃষিজমিতে যেন উৎসবের আমেজ।
খট্টামাধবপাড়ার কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমন ধান কাটার পরপরই আলুর জমি প্রস্তুত শুরু করেছি। হাল চাষ থেকে শুরু করে বীজ আনা, সব মিলিয়ে এখন সবচেয়ে ব্যস্ত সময়। এক বিঘায় খরচ ৪০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আগাম আলু ৫০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যেই বাজারে বিক্রি করা যায় কিন্তু বর্তমান বাজারদর কম। রপ্তানির সুযোগ থাকলে কৃষকেরা বেশি লাভবান হতো।”
ইসবপুরের কৃষক মোজাফফর হোসেন জানান, আগাম আলুর দামে লাভ বেশি থাকায় অ্যাস্টেরিক, কার্ডিনাল ও শাটাল জাতের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। এসব আলুর উৎপাদন প্রতি বিঘায় ৪০ থেকে ৫০ মণ পর্যন্ত হয়।
মাধবপাড়ার কৃষক আজিজার রহমান বলেন, “বীজ আলুর দাম কম থাকায় স্বস্তি মিললেও সার ও কীটনাশকের মূল্যবৃদ্ধি হিসাব বদলে দিয়েছে। বাজারদর না বাড়লে লোকসান অনিবার্য।”
এ মৌসুমে শ্রমিকরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমির বিভিন্ন ধাপে তাদের কাজ চলছে। স্থানীয় শ্রমিক রেজাউল করিম জানান, আগাম আলুর মৌসুমে কাজ বেশি থাকে, আয়ও ভালো হয়।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, “আগাম আলু চাষে কৃষকদের প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলনের আশা করা যাচ্ছে। চলতি বছর উপজেলায় ১ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, এরইমধ্যে ৬০ হেক্টরে বীজ রোপণ সম্পন্ন হয়েছে।”
ঢাকা/মোসলেম/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আগাম জাতের আলু চাষে ব্যস্ত হাকিমপুরের কৃষক
দিনাজপুরের হাকিমপুরে আগাম জাতের আলু রোপণকে কেন্দ্র করে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। আমন ধান কাটার পর ফাঁকা জমিতে অ্যাস্টেরিক, কার্ডিনাল ও স্বল্পমেয়াদী শাটাল জাতের আলুর বীজ রোপণের কাজ চলছে।
মৌসুমের শুরুতে আলুর ভালো দামের প্রত্যাশা থাকলেও সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের বাড়তি ব্যয় তাদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
উপজেলার খট্টামাধবপাড়া, ইসবপুর, বোয়ালদাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠজুড়ে হাল চাষ, আগাছা পরিষ্কার, গোবর ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ, বেড তৈরি ও হিমাগার থেকে আনা বীজ রোপণে কৃষকদের ব্যাপক কর্মব্যস্ততা। শীতের আগমনী বার্তায় কৃষিজমিতে যেন উৎসবের আমেজ।
খট্টামাধবপাড়ার কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমন ধান কাটার পরপরই আলুর জমি প্রস্তুত শুরু করেছি। হাল চাষ থেকে শুরু করে বীজ আনা, সব মিলিয়ে এখন সবচেয়ে ব্যস্ত সময়। এক বিঘায় খরচ ৪০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আগাম আলু ৫০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যেই বাজারে বিক্রি করা যায় কিন্তু বর্তমান বাজারদর কম। রপ্তানির সুযোগ থাকলে কৃষকেরা বেশি লাভবান হতো।”
ইসবপুরের কৃষক মোজাফফর হোসেন জানান, আগাম আলুর দামে লাভ বেশি থাকায় অ্যাস্টেরিক, কার্ডিনাল ও শাটাল জাতের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। এসব আলুর উৎপাদন প্রতি বিঘায় ৪০ থেকে ৫০ মণ পর্যন্ত হয়।
মাধবপাড়ার কৃষক আজিজার রহমান বলেন, “বীজ আলুর দাম কম থাকায় স্বস্তি মিললেও সার ও কীটনাশকের মূল্যবৃদ্ধি হিসাব বদলে দিয়েছে। বাজারদর না বাড়লে লোকসান অনিবার্য।”
এ মৌসুমে শ্রমিকরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমির বিভিন্ন ধাপে তাদের কাজ চলছে। স্থানীয় শ্রমিক রেজাউল করিম জানান, আগাম আলুর মৌসুমে কাজ বেশি থাকে, আয়ও ভালো হয়।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, “আগাম আলু চাষে কৃষকদের প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলনের আশা করা যাচ্ছে। চলতি বছর উপজেলায় ১ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, এরইমধ্যে ৬০ হেক্টরে বীজ রোপণ সম্পন্ন হয়েছে।”
ঢাকা/মোসলেম/এস