চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কংক্রিটবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বারইয়ারহাট পৌর বাজারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ওই লেন দিয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে মহাসড়কে ওই স্থানে যানজট দেখা দিয়েছে।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বারইয়ারহাট পৌরবাজারের পিকআপচালক মো.

নুর উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, দুপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকের ওপর উল্টে যায় ট্রাকটি। এ সময় ট্রাকে থাকা কংক্রিট পুরো রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর চালক ট্রাকটি রেখেই সেখান থেকে চলে যান। পরে ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা এসে বন্ধ হয়ে যাওয়া লেনের পাশে ঢাকামুখী লেন দিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করেন। তবে গাড়ি বেশি হওয়ায় যানজট দেখা দেয়।

জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে থাকা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পাশের বিকল্প সড়কে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। দ্রুত সড়কে ছড়িয়ে পড়া কংক্রিট ও গাড়িটি উদ্ধারে কাজ করছি।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে জমি দখলে নিতে প্রতিবেশী গাছ কেটে দিয়েছেন, অভিযোগ কৃষকের

মাত্র চার–পাঁচ দিন পরই খেজুরের গাছগুলোর থেকে রস আহরণ শুরু হতো, যা থেকে তৈরি হতো খেজুরের গুড়। হতদরিদ্র কৃষক আবদুল মজিদ সেভাবেই খেজুরগাছগুলো তৈরি করেছেন। গত বছর এসব গাছের রস থেকে ২০ হাজার টাকা মূল্যের গুড় বিক্রি করেছেন তিনি। এবারও একই আশা ছিল তাঁর।

তবে গতকাল সোমবার সকালে প্রতিবেশী মোজাফ্ফর হোসেন জমিটির দখল নিতে গাছগুলোর মাথা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ কৃষক আবদুল মজিদের। তাঁর দাবি, ১৪ শতাংশ জমিতে থাকা প্রায় ৪০টি খেজুরগাছ ও ৫০টি কলাগাছ কেটে দেওয়া হয়েছে। জমির মালিকানা নিয়ে মামলা চলমান থাকায় নিজের দখলে নিতে তাঁর প্রতিবেশী কাজটি করেছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ফাদিলপুর গ্রামে।

আবদুল মজিদের অভিযোগ, আরএস রেকর্ডের সময় মোজাফ্ফর হোসেন উপস্থিত থেকে তাঁদের জমিগুলোর জরিপকাজে সহযোগিতা করেন। সে সময় সুযোগমতো এই ৩২ শতাংশ জমি তিনি নিজের নামে রেকর্ড করে নেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে তাঁরা রেকর্ড সংশোধনের জন্য ঝিনাইদহ আদালতে একটি মামলা করেন। মামলাটি চলছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে মোজাফ্ফর হোসেন দাবি করেন, তিনি এই জমি কিনেছেন। দলিল আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাঁর কাছ থেকে জমি কেনা হয়েছে, তিনি দাঁড়িয়ে থেকে রেকর্ড করে দিয়েছেন। এভাবে জমি ক্রয়-বিক্রয় হয় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে হবে না কেন? আর গাছগুলো কাটার বিষয়ে বলেন, জমি দখলে নিতে হলে এ ছাড়া তাঁর উপায় ছিল না।

এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, এখন পর্যন্ত অভিযোগ নিয়ে থানায় কেউ আসেননি। তবে এলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ