সন্ত্রাসীদের এসএমজি দিয়ে ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের
Published: 11th, November 2025 GMT
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের এসএমজি দিয়ে ব্রাশফায়ারের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ।
চট্টগ্রাম নগরে একের পর এক প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
রুয়েট নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
যানবাহন ভাড়া দেওয়ার আগে যাচাই করুন: ডিএমপি কমিশনার
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ওয়্যারলেস বার্তায় টহল ও থানা পুলিশকে একযোগে মৌখিকভাবে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
সিএমপি সূত্র জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত কয়েক দফা পৃথক নির্দেশনাতেই কমিশনার এই নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ৫ নভেম্বর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন খোন্দকারাবাদ এলাকায় চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগে গুলিতে নিহত হন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলা। ওই ঘটনায় বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহও আহত হন।
কমিশনারের বেতার বার্তায় এ আদেশের কথা নিশ্চিত করে কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কমিশনার মহোদয় বলেছেন, শটগান হবে না, চায়না রাইফেলও বাদ, এখন এসএমজি ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে।
এছাড়া কমিশনারের বার্তায় টহল টিমগুলোকে এসএমজি ছাড়াও শিশা শটগান, দুটি গ্যাস গান এবং টিম ইনচার্জদের নাইন এমএম পিস্তল বহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থায়ী চেকপোস্ট বাড়িয়ে সাতটি থেকে ১৩টি করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
বার্তায় তিনি পুলিশ সদস্যদের আত্মরক্ষার অধিকার ও দণ্ডবিধির বিধান স্মরণ করিয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, সব দায়-দায়িত্ব তিনি নিজে গ্রহণ করবেন।
বেতার বার্তার সত্যতা নিশ্চিত করে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, “অস্ত্রধারীদের দেখামাত্র গুলি করে হত্যার স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি। আশা করছি, আমার অধীনস্ত বাহিনী এই আদেশ পালন করবেন। চট্টগ্রাম নগরকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হতে দিতে পারি না।”
তিনি বলেন, “যেভাবে জনসংযোগে ঢুকে প্রকাশ্য গুলি চালিয়ে একজনকে হত্যা করা হয়েছে এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। একটি নগরে পুলিশ থাকবে, আবার সেই নগরের মানুষ নিরাপত্তাহীন থাকবে- সেটা হতে পারে না।”
“এজন্য আজ থেকে টহল পুলিশের কাছ থেকে শটগান ও চায়না রাইফেল প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এর পরিবর্তে চায়না অটোমোটিভ সাব মেশিন গান বহন করবে। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দেখলেই গুলি করবে। পাশাপাশি চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে,” যোগ করেন কমিশনার।
ঢাকা/রেজাউল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সন ত র স দ র স এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র ব্রাশফায়ারের নির্দেশ চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনারের
সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র সাবমেশিনগান (এসএমজি) থেকে ব্রাশফায়ার করার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মৌখিকভাবে নিজস্ব বেতার বার্তায় তিনি থানা ও টহল পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে এ নির্দেশনা দেন। বেতার বার্তায় পুলিশ কমিশনার বলেন,‘শটগান হবে না, চায়না রাইফেলও বাদ, এখন এসএমজি ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে।’
বেতার বার্তায় যেকোনো পরিস্থিতি এবং নাশকতা এড়াতে টহল টিমগুলোকে এসএমজি ছাড়াও শটগান, দুইটি গ্যাসগান এবং টিম ইনচার্জকে নাইন এমএম পিস্তল বহন করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া স্থায়ী চেকপোস্ট ৭টি থেকে বাড়িয়ে ১৩টি করতে নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার। সব দায় কমিশনার বহন করবেন বলে জানান।
জানতে চাইলে বিষয়টি স্বীকার করেন নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। তিনি সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাইরে থেকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এসে নগরবাসীকে গুলি করে চলে যাবে, তা হতে পারে না। এ জন্য সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র এসএমজি দিয়ে ব্রাশফায়ার করার নির্দেশ দিয়েছি। দেখামাত্র ব্রাশফায়ার নিরস্ত্র জনসাধারণের জন্য নয়। যার হাতে অস্ত্র নেই, তার ওপর তো আর এসএমজি ইউজ করব না।’
এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ সংগঠন। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠন অরাজকতা করতে রাস্তায় নামলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। গুলি চালানো হবে না। গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হবে। পাঠানো হবে আদালতে।’
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসী সরোয়ার বাবলা হত্যায় জড়িত কয়েকজন আসামিকে এর আগে আমরা ধরে দিয়েছিলাম। কিন্তু বেশি দিন তাঁরা কারাগারে থাকেননি। কয়েক সপ্তাহ পর জামিনে বেরিয়ে আসেন।’
গত বুধবার সন্ধ্যায় নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলীর খন্দকারপাড়া এলাকায় চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগের বহরে গুলিতে তিনিসহ পাঁচজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে মারা যান জনসংযোগের বহরে থাকা ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন। পুলিশ জানায়, সরোয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্র, হত্যাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে।
ওই ঘটনা নিয়ে যখন নগরজুড়ে মাতামাতি, তখন শুক্রবার নগরের হালিশহর মাইজপাড়া এলাকায় মো. আকবর নামের এক ব্যক্তিকে রাস্তায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মাদকের মামলা রয়েছে।
এর আগে ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে গত ২৭ অক্টোবর নগরের বাকলিয়া বগার বিলের মুখ এলাকায় ছাত্রদলের কর্মী মো. সাজ্জাদকে (২২) গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০ জন।