ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি পেলেন ঢাবির ৫০ শিক্ষার্থী
Published: 12th, January 2025 GMT
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকে ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি লাভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৫০ জন মেধাবী শিক্ষার্থী। সদাচরণ, ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতি এবং লেখাপড়ায় সন্তোষজনক ফলাফলের জন্য তাদের এই বৃত্তি প্রদান করা হয়।
সম্প্রতি নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের ট্রাস্টি ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আবুল কালাম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল এফ মেসবাহ উদ্দিন ইকো স্বাগত বক্তব্য দেন। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৃত্তিপ্রাপ্তদের উদ্দেশে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, প্রবাস জীবনে অনেক ব্যস্ততা ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইবৃন্দ এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি যে ভালোবাসা ও মমতা দেখিয়েছেন, তা
সত্যিই প্রশংসনীয়। এই বৃত্তিপ্রদান কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অ্যালামনাইদের সেতুবন্ধন সৃষ্টিতেও এ ধরনের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি উল্লেখ
করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাইদের প্রতি আহ্বান জানান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব