নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি ৯১ জন আইন কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে সকল আইন কর্মকর্তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) দিনব্যাপী নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির তৃতীয় তলায় সকল সরকারি আইন কর্মকর্তাদের নিয়ে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্টিত হয়।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকিরের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাছানুল ইসলাম, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের ডেপুটি এ্যাটর্ণী জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান ও আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান।

কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভাকেট খোরশেদ আলম মোল্লা ও জিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আবুল কালাম আজাদ সহ সকল অতিরিক্ত পিপি, সহকারী পিপি, অতিরিক্ত জিপি, সহকারী জিপি।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্টের পর সারাদেশের সবগুলো জেলা আদালতে সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হলেও কোথাও সরকারি আইন কর্মকর্তাদের এখন পর্যন্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়নি। নারায়ণগঞ্জেই প্রথম এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছেন সরকারি আইনজীবীরা তাদের নিজ উদ্যোগে।

এর আগে গত ২৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীন আদালতে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৯১ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ।

উপ-সলিসিটর (জিপি-পিপি) মো.

মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত নোটিশে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জ জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীন আদালতে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পূর্বে নিয়োগকৃত সকল আইন কর্মকর্তার নিয়োগাদেশ বাতিলক্রমে তাঁদেরকে স্ব স্ব পদের দায়িত্ব হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে নোটিশে উল্লেখিত আইজীবীগণকে তাঁদের পেশাগত দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সততা সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জ জেলার জেলা ও দায়রা জজ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট-এর প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে সাময়িকভাবে নিয়োগ করা হলো।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালততের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, সরকারী কৌঁশুলী (জিপি) পদে অ্যাডভোকেট খন্দকার আবুল কালাম আজাদ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদে অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা নিয়োগ পান।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অতিরিক্ত সরকারি কৌঁশুল পদে নিয়াগ পান সুলতানা নাজনীন, বোরহান উদ্দিন সরকার, মোহাম্মদ ওয়াসিম কাজী, মোঃ শাহজাদান দেওয়ান, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর দেওয়ান, মাসুদা আক্তার, জাহিদুল ইসলাম মুক্তা, নুরুন নাহার মায়া।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সহকারি সরকারি কৌশলী পদে নিয়োগ পেয়েছেন মোহাম্মদ মানিক মিয়া, এস এম সায়েম রানা, মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন রেজা, মোহাম্মদ শরাফত আলী মিয়া, মোহাম্মদ বাছেদ মিয়া, রফিকুল ইসলাম আনু, ফাতিমা খাতুন, মোঃ আকলাস ভূঁইয়া, মোহাম্মদ আয়াতুল বোরহান, মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন মিয়া।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন, মোহাম্মদ আজিজুর রহমান মোল্লা, খন্দকার আজিজুল হক হান্টু, ফাতেমা মাসুদ, সৈয়দ মশিউর রহমান শাহীন, মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, সীমা সিদ্দিকী, মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন টুটুল, সুমন মিয়া, এস এম মাহমুদুল হক আলমগীর, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ আনোয়ারুল আলম রিপন, আজিজ আল মামুন, হামিদা খাতুন লিজা, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মাসুম, ইসরাফিল, মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম টিটু, মাসুদা বেগম শম্পা, মোহাম্মদ ইকবাল মানিক, মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মল্লিক।

যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আসমা হলেন বিথী, আমেনা আক্তার শিল্পী, মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান বাবলু, মোহাম্মদ সাজেকুল ইসলাম মোল্লা, মোহাম্মদ জামান হোসেন, মোহাম্মদ নয়ন ঢালী, জিয়াউল আহমেদ ভূইয়া জিয়া, মোহাম্মদ সারোয়ার জাহান, নুরুল কাদের সোহাগ, হাফিজুর রহমান মাসুদ, মোহাম্মদ গোলাম হোসেন, শামীমা নাজনীন, আল আমিন সাউদ, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন সরকার, তমিজ উদ্দিন আহমদ, মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার, আক্তার হোসেন, মাসুদুর রহমান, আদনান মোল্লা, ফারহানা ফাল্গুনী, মোহাম্মদ আল-আমিন।

চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান কাজী রাশিদা আক্তার শাহীন, মোহাম্মদ নুরুল আমিন মাসুম, এসএম তারিকুল ইসলাম বুলবুল, জুবের আলম জীবন, মোঃ শাহ আলম শামীম, মোহাম্মদ ফজলুর রহমান ফাহিম, মোঃ আহসান হাবীব ভূইয়া গোলাপ, মোহাম্মদ ইসমাইল ভূইয়া, মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া, মোঃ হুমায়ুন কোভিদ হৃদয়, মোস্তাফিজুর রহমান শুক্কুর মাহমুদ, মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী আজ্জম, মোহাম্মদ ইমরান হাসান, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মিয়া, মোহাম্মদ কাইয়ুম মন্ডল, মোহাম্মদ ফারুক মিয়া, ফাতেমা আক্তার সুইটি, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ওমর ফারুক, গোলাম সারোয়ার বিশ্বাস, তেহেসিন হাসান দিপু, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মোহাম্মদ আকতার হোসেন, টুটুল সুলতানা, দিপু আহমেদ।
 

উৎস: Narayanganj Times

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আড়াইহাজারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কমিটি গঠন
  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
  • ইসলামী আন্দোলনের বাবুরাইল ইউনিট কমিটি গঠন
  • পরিবার নিয়ে চীন ভ্রমণে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা
  • নারায়ণগঞ্জে ফ্যাসিবাদদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে : আবদুল্লাহ
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
  • নারায়ণগঞ্জে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি গ্রহন
  • রূপগঞ্জে সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত