সোনারগাঁয়ে হাটবাজারে কমেছে সবজির দাম, স্বস্তিতে ক্রেতা
Published: 12th, January 2025 GMT
সোনারগাঁয়ের হাটবাজারে শীতকালীন সবজির সরবারহ বাড়ায় শাক-সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। গত নভেম্বর মাসের তুলনায় ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে থেকে প্রতিটি সবজির দাম কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে। আগের তুলনায় দাম কমতে থাকায় ক্রেতারাও স্বস্তিতে রয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে এখন শীতকালীন সবজি ভরপুর, দামেও এসেছে কিছুটা স্বস্তি। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়ায়।
সরেজমিনে উপজেলার কাঁচা বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, বাজারে শীতকালীন তরকারির পসরা সাজিয়ে বসেন পাইকারি ও খুচরা দোকানিরা।বাজারে শীতের সবজির দাম তুলামূলকভাবে কমেছে গত ২০ দিনের মধ্যে। নানা পদের কাঁচা শাক-সবজির বাজারদর ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে নেমে এসেছে।
খুচরা বাজারে মানভেদে ফুলকপি ১৫-২০ টাকা,পাতাকপি ২৫-৩৫ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা, শিমপ্রতি কেজি ৪০-৬০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৫০ -৭০ টাকা। মিষ্টিকুমড়া ৪০- ৫০ টাকা, লাউ ৫০-৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৭০ টাকা দরে টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ধনেপাতা প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা,পেঁপে ৪০ টাকা কেজি, বরবটি ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা,শালগম প্রতি কেজি ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ পাইকারি কেজি ৫০ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। শীতে এখন বাজারে মিলছে বাহারি রকমের শাক।
কলমি শাক আঁটি প্রতি ২০ টাকা, ডাঁটাশাক ৩০ টাকায়,লাউশাক ৩০, লালশাক ১৫ টাকা আঁটি, এবং মুলাশাক ১০ টাকা আঁটিতে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিছু কিছু শাক-সবজির দাম প্রতি কেজি ৫০থেকে ৬০ টাকা ও কমে গেছে তাই বিক্রয় বেড়েছে। গত মাসের তুলনায় এ মাসে সবজির দাম অনেক কম।
ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী শাকসবজি পাচ্ছে কম দামে। অনেক সবজি ব্যবসায়ী কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি কিনে বিক্রয় করি। এত করে কিছুটা লাভ ব্যবসায়ীদের বেশি হয়।
মোগরাপাড়া বাজারে শাক-সবজি ক্রয় করতে আসা আরমান হোসেন বলেন, আগের তুলনায় এখন আমরা কম দামে সবজি পাচ্ছি। বর্তমানে শীতকালীন সবজির দাম অনেক কম, বিশেষ করে মাঝখানে যে ঊর্ধ্বগতি ছিল তার তুলনায় কম। তবে শীতকাল হিসেবে আরেকটু কম হলে ভালো হতো।
সনমান্দী বাজারে শাক-সবজি ক্রয় করতে আসা সজীব বলেন, এই দেশে কোনো জিনিসের দাম বাড়লে সেটা আর সহজে কমে না। বরং দিন দিন বাড়তে থাকে। কিন্তু আমাদের আয় তো সেভাবে বাড়ে না। ফলে, আয়ের সঙ্গে মিল রেখে চলতে গিয়ে মাছ-মাংস খাওয়া কমিয়ে দিতে হচ্ছে।
তবে এ বছর সবজির দাম কিছুটা কম আছে। সোনারগাঁয়ে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হলে দাম আরো কমবে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।
উৎস: Narayanganj Times
এছাড়াও পড়ুন:
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬: সূচি ও ভেন্যু ঘোষণা
নারী ক্রিকেটের বৈশ্বিক মঞ্চে আবারও আলো ছড়াতে প্রস্তুত হচ্ছে ইংল্যান্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এবং ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) যৌথভাবে ঘোষণা করেছে ২০২৬ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়সূচি ও ভেন্যুর তালিকা। ১২ জুন শুরু হয়ে এই ক্রিকেট উৎসব চলবে ৫ জুলাই পর্যন্ত, যার সমাপ্তি ঘটবে ঐতিহ্যবাহী লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে জমকালো ফাইনালের মাধ্যমে।
এই আসরে প্রথমবারের মতো ১২টি দল অংশ নিচ্ছে, যারা দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মোট ৩৩টি ম্যাচে। ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য ২৪ দিনের রোমাঞ্চকর এক প্রতিযোগিতা অপেক্ষা করছে।
টুর্নামেন্টের সূচি উন্মোচনের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয় লর্ডসে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, ইসিবি প্রধান রিচার্ড গুল্ড, ইংল্যান্ড নারী দলের কোচ চার্লট এডওয়ার্ডস এবং বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার।
বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে সাতটি ঐতিহাসিক ও আধুনিক ভেন্যুতে— লর্ডস (লন্ডন), ওল্ড ট্রাফোর্ড (ম্যানচেস্টার), হেডিংলি (লিডস), এজবাস্টন (বার্মিংহাম), হ্যাম্পশায়ার বোল (সাউদাম্পটন), দ্য ওভাল (লন্ডন) এবং ব্রিস্টল।
আরো পড়ুন:
স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সুপার সিক্স অনুর্ধ্ব-১৯ মেয়েরা
অস্ট্রেলিয়াকে নাড়িয়ে দিয়েও বাংলাদেশের হৃদয় ভাঙা হার
আগামী আসরে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দল: স্বাগতিক ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। বাকি চারটি দল আসবে কোয়ালিফায়ার পর্ব পেরিয়ে, যেখানে বাংলাদেশসহ আরও বেশ কিছু দলকে লড়াই করতে হবে মূলপর্বে জায়গা পাওয়ার জন্য।
আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ এক বার্তায় জানান, “২০১৭ সালে নারী ক্রিকেট ইতিহাসে যে অধ্যায় লর্ডসে রচিত হয়েছিল, এবার আমরা সেই আবহে ফিরে যেতে চাই। ২০২৮ সালের অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির দিকেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
ইসিবি প্রধান রিচার্ড গুল্ড বলেন, “আমরা গর্বিত যে বিশ্বের সেরা কয়েকটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারছি। নারী ক্রিকেটকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আর লর্ডসে ফাইনাল আয়োজন—এটা প্রতিটি ক্রিকেটারের স্বপ্নপূরণের এক সম্ভাবনা।”
ঢাকা/আমিনুল