ঐতিহ্য রক্ষায় কাজ করছেন কিযী তাহনিন
Published: 13th, January 2025 GMT
ইউনেস্কো ঢাকার সংস্কৃতি প্রধান কিযী তাহনিন। কিযী তাহ্নিনের জন্ম ১৩ জানুয়ারি, ঢাকায়। তিনি ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি সম্পন্ন করেন। ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগ পেয়ে অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপরে অস্ট্রেলিয়ার মোনাস ইউনিভার্সিটি থেকে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সাস্টেনিবিলিটি বিষয়ে আরেকটি মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রির প্রচার ও প্রসারে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের হয়ে বিদেশেও প্রতিনিধিত্ব করছেন কিযী।
১৭ অক্টোবর ২০২৪- এ প্রথমবারের মতন পালিত হয় ‘বিশ্ব অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দিবস ’ এ দিনকে সামনে রেখে ৭ ও ১৮ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী দক্ষিণ কোরিয়ার জিওনজুতে আয়োজন করা করা হয় অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিশ্ব ফোরাম ‘ওয়ার্ল্ড ফোরাম ফর ইন্ট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ’।এটি আয়োজন করে কোরিয়া হেরিটেজ সার্ভিস এবং সংগঠিত করে ইউনেস্কো- ICHCAP । অষ্টমবারের মতন ওয়ার্ল্ড ফোরাম অনুষ্ঠিত এই ফোরামে ১৪টি দেশের প্রায় ৩০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে ছিলেন একাডেমিক, অমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিশেষজ্ঞ এবং ইউনেস্কো, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংগঠনের প্রতিনিধি। বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন কিযী।
তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘আমাকে এ ফোরামে আমন্ত্রণ জানানো হয় একজন প্যানেলিস্ট হিসেবে। যেখানে বাংলাদেশে অভিবাসন এবং সংস্কৃতি সংরক্ষণের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়, বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা জানানো হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের কেস স্টাডির উপর মতামত ও প্রশ্ন করার জন্য আমাকে একটি সেশনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে আমার কাজের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার যে প্রচেষ্টা সেটি এ ধরণের বিশ্ব ফোরামে প্রকাশের সুযোগ একটি সম্মান ও আনন্দের ঘটনাই বটে।’’
২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স এন্ড ট্রেড এবং এবিসি চ্যানেল কিযী তাহনিনকে নিয়ে একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করে। ‘স্টোরি অফ মাই লাইফ' নামের ওই প্রামাণ্য চলচ্চিত্র থেকে জানা যায়, কিযী মানুষ সম্পর্কে এবং তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে ভালোবাসেন। তিনি মনে করেন, ঐতিহ্য মানেই স্থাপনা নয়, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি আরও ব্যাপক বিষয়। যেমন গান, অভিব্যক্তি, হস্তশিল্প, রিকশা পেইন্টিং সবকিছু মিলেই সংস্কৃতি।
তিনি মনে করেন সংস্কতি ছাড়া কোনো স্থায়ী উন্নয়ন অর্জন করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের মানুষ তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধারণ করে, ভালোবাসে এবং এগিয়ে নিতে চায়। আমি চাই না বাংলাদেশের কোনো সংস্কৃতি কোনোদিন হারিয়ে যাক।’’
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।