সাগর-রুনি হত্যা মামলায় ইকবাল সোবহানের বক্তব্য নিয়েছে টাস্কফোর্স
Published: 13th, January 2025 GMT
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় সাবেক সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর বক্তব্য নিয়েছেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা। আজ সোমবার তাঁকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কার্যালয়ে ডাকা হয়।
পিবিআই সূত্র জানায়, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্স আজ সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিএফইউজের (বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন) সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে রাজধানীর পিবিআই কার্যালয়ে ডাকে। সেখানে দুই-আড়াই ঘণ্টা ধরে তাঁর বক্তব্য নেওয়া হয়। এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর এটিএন বাংলার চেয়ারম্যানকে মাহফুজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা।
আজ এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান ও পিবিআইয়ের প্রধান মো.
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় এই সাংবাদিক দম্পতি নৃশংসভাবে খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।
ওই হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছিলেন। প্রথমে এই মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। গত বছরের ৪ নভেম্বর র্যাবের হাত থেকে পিবিআই ওই মামলা তদন্তের দায়িত্ব বুঝে নেয়।
এর আগে গত বছরের ২৩ অক্টোবর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তে চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। টাস্কফোর্সকে এই হত্যা মামলার তদন্ত ছয় মাসের মধ্যে শেষ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
টাস্কফোর্সে পিবিআইয়ের প্রধান ছাড়া অন্য তিন সদস্য হলেন পুলিশ সদর দপ্তর ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ থেকে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক পদমর্যাদার একজন করে দুজন এবং র্যাব থেকে পরিচালক পদমর্যাদার একজন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাদারীপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডিসি প্রত্যাহার
মাদারীপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুজনের প্রত্যাহারের আদেশ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরো পড়ুন:
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ফের এক মাস বাড়ল
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরো গভীর বাণিজ্য সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ
মাদারীপুরের ডিসি মোছা. ইয়াসমিন আক্তারকে প্রত্যাহার করে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্ম সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডিসি মো. আব্দুস সামাদকে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব করা হয়েছে। এই পরিবর্তন সম্পর্কেও মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
ডিসি পদে সাধারণত উপ-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
চলতি বছরের ২০ মার্চ সরকারের এক প্রজ্ঞাপনে উপ-সচিব পদমর্যাদার অনেক কর্মকর্তাকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কিছু ডিসির নতুন পদায়ন করে বা পদোন্নতি দিয়ে তাদের জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
ঢাকা/এএএম/রাসেল