বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় ২৭ শিক্ষার্থীকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। 

সোমবার (১৩ জানুয়ারী) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. বজলুর রহমান মোল্যা ২৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী হলে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে সম্পৃক্ত থাকায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে হলের লেভেল-১ এর সেমিস্টার-২, লেভেল-২ এর সেমিস্টার-২ এবং মাস্টার্সের একজন শিক্ষার্থী রয়েছে।”

এ বিষয়ে বাকৃবি সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

মো. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, “সোহরাওয়ার্দী হলের ঘটনায় ৫২ জন শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৭ জন সোহরাওয়ার্দী হলের এবং বাকিরা অন্য হলের। কিন্তু তারা সোহরাওয়ার্দী হলে থাকে।”

তিনি বলেন, “সোহরাওয়ার্দী হলের ২৭ জনকে হল থেকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। যারা এ হলের ছাত্র না, কিন্তু অবৈধভাবে থাকে এবং এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।”

প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. বজলুর রহমান মোল্যা বলেন, “র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় হল থেকে ২৭ শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে। তবে আপাতত তাদের একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে না। এ নিয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে অধিকতর শাস্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে পাঠানো হবে।”

গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ডেকে ২০ জন নবীন শিক্ষার্থীকে ‘নিয়ম’ শেখানোর নামে মানসিক নির্যাতন ও গালিগালাজ করা হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ‘গেস্টরুম’ কার্যক্রম শেষ হয়।

এমন মানসিক চাপ ও অপমানজনক পরিস্থিতিতে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী মাথা ঘুরে পড়ে যান। পরে তাকে হলের মধ্যেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

ঢাকা/মাহমুদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি নেতাকে মারধর: খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি কারাগারে

খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন হাসান আল মামুন। খুলনা মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে আদালত চত্বরে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম ও পচা আম নিক্ষেপ করেন। তার শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। পরে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেন সেনা সদস্যরা। 

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম বলেন, মামলাটিতে উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রোববার খুলনা মহানগর দায়রা জজ  আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি মামুন নিজেই
ফখরুল আলমকে বেদম মারধর করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন ফখরুল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ