ইকবাল সোবহান চৌধুরীর বক্তব্য নিয়েছে টাস্কফোর্স
Published: 13th, January 2025 GMT
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা ও সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর বক্তব্য নিয়েছে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্স।
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান কার্যালয়ে ডেকে তাঁর বক্তব্য নেওয়া হয়।
টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান ও পিবিআই প্রধান মোস্তফা কামাল সমকালকে বলেন, সাগর–রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। এজন্য সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, আরও অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ইকবাল সোবহান চৌধুরীর বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনার পর তিনি এ নিয়ে অনেক বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি সাংবাদিক নেতা ছিলেন। ঘটনাটির ব্যাপারে তাঁর কাছে এমন কোনো তথ্য থাকতে পারে, যা তদন্তে সহায়ক হবে। এ কারণেই তাঁর বক্তব্য নিয়েছেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা। এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পিবিআই প্রধান বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই আমরা একটি ঘোষণা দেব যে, সাগর–রুনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কারও কাছে কোনো তথ্য থাকলে তিনি যেন আমাদের জানান। এজন্য ফোন নম্বর দেওয়া থাকবে। যে কেউ পরিচয় প্রকাশ করে বা গোপন রেখে তথ্য দিতে পারবেন। এর মাধ্যমে অজানা তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।
পিবিআই সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে সোমবার সকালে পিবিআই কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে তাঁর বক্তব্য নেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা।
এর আগে গত বছরের ২৩ অক্টোবর সাগর–রুনি হত্যা মামলার তদন্তে চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ছয় মাসের মধ্যে টাস্কফোর্সকে তদন্ত শেষ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। টাস্কফোর্সে পিবিআই প্রধান ছাড়াও রয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তর ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একজন করে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক এবং র্যাব থেকে পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন সাগর–রুনি। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক এবং রুনি এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন। ওই ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। থানা পুলিশের পর মামলার তদন্ত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তবে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল ডিবি ব্যর্থতা স্বীকার করলে আদালত র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। সর্বশেষ গত বছরের ৪ নভেম্বর মামলা পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৫০ পেরোনো নারীর খাদ্যাভ্যাস যেমন হতে হবে
জীবনের পাঁচটি দশক পেরিয়ে আসা একজন নারীর সামনে জীবনটা দেখা দেয় এক ভিন্ন রূপে। শারীরিক পরিবর্তন তো ঘটেই, মনের জগতেও ঘটে অদলবদল। অনেকের ধারণা, এই বয়সে এসে খাবারদাবারের প্রতি তেমন গুরুত্ব না দিলেও চলে। বাস্তবতা হলো, এই বয়সে দেহের চাই আরও বেশি যত্ন, আরও বেশি মনোযোগ। সুস্থ থাকতে বিশেষ কিছু পুষ্টি উপাদান যেমন প্রয়োজন, তেমনি নির্দিষ্ট ধরনের খাবার বাদ দেওয়াও জরুরি। পরিবারের ৫০ পেরোনো নারীর সুস্থতা নিশ্চিত করতে সেসব দেখভালের দায়িত্ব নিতে হবে বাকিদেরও।
এই বয়সে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির ঝুঁকিতে থাকেন একজন নারী। ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় ক্ষয়ে যায়, ভেঙে যায় সহজেই। পড়ে গেলে তো ভাঙেই, জোরে টান লাগলেও হাড় ভেঙে যেতে পারে কারও কারও। টাঙ্গাইলের সরকারি কুমুদিনী কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রধান শম্পা শারমিন খান বলেন, ‘৫০ পেরোনোর পর একজন নারীর ক্যালসিয়ামের চাহিদা বাড়ে। হাড়ক্ষয়ের ঝুঁকি এড়াতে এই বয়সেও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে রোজ। পরিবারের খুদে সদস্যটির জন্য যেমন, তেমনি বয়োজ্যেষ্ঠ নারীর জন্যও রোজ এক গ্লাস দুধ বরাদ্দ রাখতে হবে। এই ক্যালসিয়ামকে পুরোপুরিভাবে দেহের কাজে লাগাতে প্রয়োজন ভিটামিন ডি। সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে।’
ক্যালসিয়ামের বিকল্প নেই
এক গ্লাস দুধ কিংবা তা দিয়ে তৈরি খাবার খেতে পারেন রোজ। দই বা লাচ্ছি খেতে পারেন। কাঁটাসহ ছোট মাছ খেতে পারলে তা থেকেও ক্যালসিয়াম মিলবে। গাঢ় সবুজ রঙের শাকসবজি, যেমন পালংশাক, ব্রকলি ও কাঠবাদামেও পাবেন কিছুটা ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়ামের উপকার পেতে অবশ্যই ভিটামিন ডি চাই। এর জন্য রোজ রোদে সময় কাটানোর অভ্যাস করুন। দেহের বেশ খানিকটা অংশে প্রতিদিন রোদ লাগান, অন্তত ২০ মিনিট ধরে।
রোজ দুধ খেলে শরীর ভালো থাকবে