সমুদ্র থেকে ভেসে আসছে ছোট আকারের সাদা ও ধূসর রঙের বল। এ কারণে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ৯টি সৈকত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সৈকতগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

নর্দান বিচ কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা সৈকতে ভেসে আসা বস্তুগুলো নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছে।

বল আকৃতির ওই বর্জ্যগুলোর বেশির ভাগই আকারে মার্বেলের সমান। তবে কয়েকটি কিছুটা বড় বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

সোনালি রঙের বালু আর স্বচ্ছ পানির কারণে সিডনির সৈকতগুলোর খ্যাতি জগৎজোড়া।

যে সৈকতগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো ম্যানলি, ডি হোয়াই, লং রিফ, কুইন্সক্লিফ, ফ্রেশওয়াটার, নর্থ অ্যান্ড সাউথ কার্ল কার্ল, নর্থ স্টেইনি ও নর্থ নারাবিন সৈকত। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভ্রমণকারী ও স্নানপিপাসুদের এই সৈকতগুলো এড়িয়ে চলতে এবং ভেসে আসা বর্জ্যের স্পর্শ থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য ভেসে আসা বর্জ্যগুলোর নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনসৈকতে ‘রহস্যময়’ কালো বল১৮ অক্টোবর ২০২৪

এর আগে গত বছর অক্টোবরে সিডনির বিখ্যাত বন্ডি সৈকতসহ আরও কয়েকটি সৈকতে কয়েক হাজার কালো রঙের রহস্যময় বল ভেসে এসেছিল।

পরে পরীক্ষায় জানা যায়, ফ্যাটি অ্যাসিড থেকে ওই বলগুলো তৈরি হয়েছে। প্রসাধনী ও পরিষ্কারক পণ্যে এ ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চুল, উচ্ছিষ্ট খাবার ও অন্যান্য উপাদান। বর্জ্যপানিতে এসব উপাদান মিলেমিশে কালো রঙের বলের আকার নিয়েছিল।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ