চারপাশের প্রায় সবকিছু পুড়ে ছাই। তার মধ্যে অবশিষ্ট রয়েছে কিছু স্ট্রাকচার। পোড়া স্থানে পড়ে থাকা কয়লার ওপরে অস্কার পুরস্কারের একটি ট্রফি। এই ট্রফির গোড়ার দিকটা পুড়ে গেলেও অক্ষত অগ্রভাগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি স্থিরচিত্রে এই দৃশ্য দেখা যায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ে গেছে একরের পর একর ভূমি। সর্বগ্রাসী দাবানলে পুড়ে গেছে গাছপালা, ঘরবাড়ি। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি হলিউডের তাবড় তাবড় তারকাদের বাড়িও ভস্মীভূত হয়েছে। অনেকে দাবি করেছেন, এই দাবানলেই পুড়েছে অস্কারের ট্রফিটি। ভাইরাল ছবিটি কোনো তারকার পুড়ে যাওয়া বাড়ি থেকে তোলা।

ইটালিয়ান-আমেরিকান অভিনেত্রী ইসাবেলা রোসেলিনির মতো তারকারাও ছবিটি নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ার শেয়ার করেছেন। বাংলাদেশ-ভারতের অনেকে এটি শেয়ার করেছেন। ছবিটি দেখে চলচ্চিত্রপ্রেমীরা ব্যথিত। পাশাপাশি নেটিজেনরাও বিশ্বাস করছেন চলমান দাবানলেই পুড়েছে অস্কার ট্রফিটি। কিন্তু সত্যি কি দাবানলে এই ট্রফি পড়েছে? নাকি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে ছবিটি তৈরি করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে?

আরো পড়ুন:

চুলের জেলের পেছনে খরচ কমান, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরকে মেল গিবসন

গায়ক স্যাম মুর মারা গেছেন

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ভাইরাল ছবিটির সত্যতা জানতে অস্কার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সংবাদমাধ্যমটিও এ ছবির সত্যতা যেমন নিশ্চিত করতে পারেনি; তেমনি একাডেমি কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে নিশ্চিয়তা দিতে পারেনি।

অ্যাকাডেমি (অস্কার) কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র গোল্ড ডার্বিকে বলেন, “যেকোনো অস্কার বিজয়ীর ট্রফি আগুনে পুড়ে থাকলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। এটি প্রতিস্থাপন করতে পারলে আমরাও খুশি হব।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের

গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।

মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।

সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।

এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।

মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।

এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ