সত্যি কি দাবানলে পুড়েছে অস্কারের ট্রফি?
Published: 14th, January 2025 GMT
চারপাশের প্রায় সবকিছু পুড়ে ছাই। তার মধ্যে অবশিষ্ট রয়েছে কিছু স্ট্রাকচার। পোড়া স্থানে পড়ে থাকা কয়লার ওপরে অস্কার পুরস্কারের একটি ট্রফি। এই ট্রফির গোড়ার দিকটা পুড়ে গেলেও অক্ষত অগ্রভাগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি স্থিরচিত্রে এই দৃশ্য দেখা যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ে গেছে একরের পর একর ভূমি। সর্বগ্রাসী দাবানলে পুড়ে গেছে গাছপালা, ঘরবাড়ি। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি হলিউডের তাবড় তাবড় তারকাদের বাড়িও ভস্মীভূত হয়েছে। অনেকে দাবি করেছেন, এই দাবানলেই পুড়েছে অস্কারের ট্রফিটি। ভাইরাল ছবিটি কোনো তারকার পুড়ে যাওয়া বাড়ি থেকে তোলা।
ইটালিয়ান-আমেরিকান অভিনেত্রী ইসাবেলা রোসেলিনির মতো তারকারাও ছবিটি নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ার শেয়ার করেছেন। বাংলাদেশ-ভারতের অনেকে এটি শেয়ার করেছেন। ছবিটি দেখে চলচ্চিত্রপ্রেমীরা ব্যথিত। পাশাপাশি নেটিজেনরাও বিশ্বাস করছেন চলমান দাবানলেই পুড়েছে অস্কার ট্রফিটি। কিন্তু সত্যি কি দাবানলে এই ট্রফি পড়েছে? নাকি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে ছবিটি তৈরি করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে?
আরো পড়ুন:
চুলের জেলের পেছনে খরচ কমান, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরকে মেল গিবসন
গায়ক স্যাম মুর মারা গেছেন
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ভাইরাল ছবিটির সত্যতা জানতে অস্কার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সংবাদমাধ্যমটিও এ ছবির সত্যতা যেমন নিশ্চিত করতে পারেনি; তেমনি একাডেমি কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে নিশ্চিয়তা দিতে পারেনি।
অ্যাকাডেমি (অস্কার) কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র গোল্ড ডার্বিকে বলেন, “যেকোনো অস্কার বিজয়ীর ট্রফি আগুনে পুড়ে থাকলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। এটি প্রতিস্থাপন করতে পারলে আমরাও খুশি হব।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা
খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন।
দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।
দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”
ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত। তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা