Samakal:
2025-06-16@08:30:49 GMT

মহাসড়কের বিভাজকে শাকসবজি চাষ

Published: 14th, January 2025 GMT

মহাসড়কের বিভাজকে শাকসবজি চাষ

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভাজকের মির্জাপুর উপজেলার বড় একটি অংশে শাকসবজি চাষ করেছেন স্থানীয়রা। আগে এসব স্থানে ছিল বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা। শাকসবজি চাষে উপকৃত হচ্ছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি মহাসড়ক বিভাজকের সৌন্দর্যও বাড়ছে।
মির্জাপুর বাইপাস বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশ, বাওয়ার কুমারজানী, দেওহাটা, ধেরুয়াসহ একটি বড় অংশে মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় শাকসবজি চাষ করা হয়েছে। ভূমিহীন ও উৎসাহী কিছু মানুষ মহাসড়কের বিভাজক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে মরিচ, মুলা, পালংশাক, লালশাক, মিষ্টিকুমড়া, লাউ, শিম, ঢ্যাঁড়শ, ধনেপাতা, মিষ্টি আলুসহ শীতকালীন বিভিন্ন সবজির চাষ করেছেন।
বিভিন্ন জাতের রং-বেরঙের এসব শাকসবজি মহাসড়কের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। শাকসবজি চাষ করে নিজেদের সংসারের সবজির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সবজি বিক্রি করে বাড়তি রোজগারও করছেন চাষিরা। তাদের এই উদ্যোগে খুশি উপজেলা কৃষি অফিসও। তারা বলছে, কৃষকের তালিকা করে সবজির বীজ সরবরাহসহ চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সবজি চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহাসড়কের বিভাজকের মাটি উর্বর। বৃষ্টির পানি জমে না বলে এখানে শাকসবজি ভালো হচ্ছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের বাসিন্দা মাসুদুর রহমান রঞ্জু। তাঁর বাড়ির পাশে মহাসড়কের বিভাজকে দীর্ঘদিন ধরে শাকসবজি চাষ করছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাড়ির কাছে মহাসড়কের বিভাজকে খালি জায়গা। এখানকার মাটি উর্বর। বৃষ্টির পানি জমে থাকে না। তাই তিনি শখ করে এখানে শাকসবজি চাষ করেন। তাঁকে দেখে আরও অনেকেই শাকসবজি চাষে এগিয়ে এসেছেন। এখানে চাষ করা শাকসবজিতে তাঁর সংসারের চাহিদা পূরণ হয়। প্রতিবেশীরাও এ শাকসবজি তুলে নেন। তবে তিনি শাকসবজি বিক্রি করেন না। নিজে খান এবং প্রতিবেশীদেরও দেন। তাঁর আগ্রহ দেখে কৃষি অফিস তাঁকে বীজ, সার দিয়ে সহায়তা করে। 
তবে মহাসড়কের বিভাজকে শাকসবজি চাষ করার সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। তারা বলছেন, এখানে চাষাবাদ করার সময় কেউ অসতর্ক হয়ে রাস্তা পারাপার হতে গেলে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে। তখন তো দোষ হবে গাড়িচালকের।
এ ব্যাপারে কথা হয় মির্জাপুর সড়ক ও জনপথ অফিসের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, এলাকার মানুষ মহাসড়কের বিভাজকের খালি জায়গা পেয়ে শাকসবজি চাষ করছেন। এটি মহাসড়কের 
জন্য কোনো ক্ষতিকর নয়। তবে তারা যেন সবজি গাছের মাচা না দেন সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। শাকসবজি চাষ 
করতে গিয়ে কেউ যেন দুর্ঘটনার শিকার না হন, সেদিকেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘মহাসড়কের বিভাজকের দীর্ঘ অংশজুড়ে বিভিন্ন জাতের শাকসবজির চাষ করছেন কিছু উৎসাহী মানুষ। আমরা এরই মধ্যে এ কৃষকদের তালিকা তৈরি করার পরিকল্পনা করছি। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাদের সবজির বীজ সরবরাহ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক চ ষ কর সবজ র করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক

গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।

ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন। 

লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।

ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।

ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।

ঢাকা/রফিক/টিপু  

সম্পর্কিত নিবন্ধ