Samakal:
2025-05-01@07:44:22 GMT

মহাসড়কের বিভাজকে শাকসবজি চাষ

Published: 14th, January 2025 GMT

মহাসড়কের বিভাজকে শাকসবজি চাষ

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভাজকের মির্জাপুর উপজেলার বড় একটি অংশে শাকসবজি চাষ করেছেন স্থানীয়রা। আগে এসব স্থানে ছিল বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা। শাকসবজি চাষে উপকৃত হচ্ছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি মহাসড়ক বিভাজকের সৌন্দর্যও বাড়ছে।
মির্জাপুর বাইপাস বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশ, বাওয়ার কুমারজানী, দেওহাটা, ধেরুয়াসহ একটি বড় অংশে মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় শাকসবজি চাষ করা হয়েছে। ভূমিহীন ও উৎসাহী কিছু মানুষ মহাসড়কের বিভাজক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে মরিচ, মুলা, পালংশাক, লালশাক, মিষ্টিকুমড়া, লাউ, শিম, ঢ্যাঁড়শ, ধনেপাতা, মিষ্টি আলুসহ শীতকালীন বিভিন্ন সবজির চাষ করেছেন।
বিভিন্ন জাতের রং-বেরঙের এসব শাকসবজি মহাসড়কের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। শাকসবজি চাষ করে নিজেদের সংসারের সবজির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সবজি বিক্রি করে বাড়তি রোজগারও করছেন চাষিরা। তাদের এই উদ্যোগে খুশি উপজেলা কৃষি অফিসও। তারা বলছে, কৃষকের তালিকা করে সবজির বীজ সরবরাহসহ চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সবজি চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহাসড়কের বিভাজকের মাটি উর্বর। বৃষ্টির পানি জমে না বলে এখানে শাকসবজি ভালো হচ্ছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের বাসিন্দা মাসুদুর রহমান রঞ্জু। তাঁর বাড়ির পাশে মহাসড়কের বিভাজকে দীর্ঘদিন ধরে শাকসবজি চাষ করছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাড়ির কাছে মহাসড়কের বিভাজকে খালি জায়গা। এখানকার মাটি উর্বর। বৃষ্টির পানি জমে থাকে না। তাই তিনি শখ করে এখানে শাকসবজি চাষ করেন। তাঁকে দেখে আরও অনেকেই শাকসবজি চাষে এগিয়ে এসেছেন। এখানে চাষ করা শাকসবজিতে তাঁর সংসারের চাহিদা পূরণ হয়। প্রতিবেশীরাও এ শাকসবজি তুলে নেন। তবে তিনি শাকসবজি বিক্রি করেন না। নিজে খান এবং প্রতিবেশীদেরও দেন। তাঁর আগ্রহ দেখে কৃষি অফিস তাঁকে বীজ, সার দিয়ে সহায়তা করে। 
তবে মহাসড়কের বিভাজকে শাকসবজি চাষ করার সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। তারা বলছেন, এখানে চাষাবাদ করার সময় কেউ অসতর্ক হয়ে রাস্তা পারাপার হতে গেলে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে। তখন তো দোষ হবে গাড়িচালকের।
এ ব্যাপারে কথা হয় মির্জাপুর সড়ক ও জনপথ অফিসের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, এলাকার মানুষ মহাসড়কের বিভাজকের খালি জায়গা পেয়ে শাকসবজি চাষ করছেন। এটি মহাসড়কের 
জন্য কোনো ক্ষতিকর নয়। তবে তারা যেন সবজি গাছের মাচা না দেন সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। শাকসবজি চাষ 
করতে গিয়ে কেউ যেন দুর্ঘটনার শিকার না হন, সেদিকেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘মহাসড়কের বিভাজকের দীর্ঘ অংশজুড়ে বিভিন্ন জাতের শাকসবজির চাষ করছেন কিছু উৎসাহী মানুষ। আমরা এরই মধ্যে এ কৃষকদের তালিকা তৈরি করার পরিকল্পনা করছি। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাদের সবজির বীজ সরবরাহ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক চ ষ কর সবজ র করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

‘দাগি’ সিনেমা দেখতে টাঙ্গাইলে অস্থায়ী হল তৈরি করছেন নিশো ভক্তরা

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নেই কোনো সিনেমা হল। তাই প্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো অভিনীত সিনেমা দেখার তীব্র আগ্রহ ও ভালোবাসায় আবারো অস্থায়ী সিনেমা হল তৈরি করছেন তার স্থানীয় ভক্তরা। সেখানে এবার প্রদর্শিত হবে নিশো অভিনীত বহুল আলোচিত সিনেমা ‘দাগি’। ভক্তদের ভালোবাসার টানে নিজ এলাকায় যাবেন আফরান নিশো।

শুক্রবার (২ মে) থেকে ভূঞাপুর স্বাধীনতা কমপ্লেক্সের দোতলায় ৭ দিনব্যাপী প্রদর্শিত হবে আফরান নিশো অভিনীত ‘দাগি’ সিনেমা। প্রতি টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। প্রতিদিন ৪টি করে শো চলবে। প্রথম শো শুরু হবে বিকেল ৪টা থেকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার স্বাধীনতা কমপ্লেক্সে অস্থায়ী সিনেমা হল নির্মাণে কাজ করছেন একদল যুবক। জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোকে ভালোবেসে গত বছর ‘সুরঙ্গ’ সিনেমার জন্য অস্থায়ী হল নির্মাণ করেছিলেন তারা। এবারো সেই ভালোবাসা থেকেই ‘দাগি’ সিনেমা প্রদর্শনের জন্য নির্মাণ করছেন প্রেক্ষাগৃহ।

আরো পড়ুন:

প্রযোজক তার সঙ্গে রাত কাটাতে বলেন: অঞ্জনা

নায়ক রুবেলের মৃত্যু গুজব: সোহেল রানার হুঁশিয়ারি

নিশো ভক্ত তন্ময় বলেন, “আফরান নিশো আমাদের এলাকার সন্তান। তার জন্য আমাদের অগাধ ভালোবাসা। তার অভিনীত সিনেমা ‘দাগি’ দেখার জন্য এখানে যে কর্মযজ্ঞ চলছে, সেটা সেই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। ভূঞাপুরের মানুষ যেন নিশো ভাইয়ের সিনেমা দেখতে পারেন, তার জন্যই এই আয়োজন। আমরা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছি সিনেমাটি দেখার জন্য।”

বিশেষ চমক হলো— এই আয়োজনে অংশ নিতে নিজ এলাকাতেই যাবেন আফরান নিশো। প্রিয় নায়কের আগমন আর সিনেমা প্রদর্শনকে ঘিরে ইতোমধ্যে উৎসাহের জোয়ার বইছে ভূঞাপুরে।

ভক্তদের আয়োজনে নির্মিত অস্থায়ী এই সিনেমা হলটি তৈরি হচ্ছে ভূঞাপুর স্বাধীনতা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে। বিশাল স্ক্রিন ও উন্নত সাউন্ড সিস্টেমসহ আধুনিক সুবিধার এই আয়োজন স্থানীয়দের মাঝে এক ভিন্ন আবেগ সৃষ্টি করেছে।

আয়োজক কমিটির সদস্য হাদী চকদার বলেন, “ভূঞাপুরে স্থায়ী হল না থাকলেও আমরা চেয়েছি নিশো ভাইয়ের ‘দাগি’ সিনেমাটি সবাই মিলে একসঙ্গে দেখতে। তিনি আমাদের গর্ব, আমাদের এলাকার সন্তান। তাই এবারো আমরা তাকে দাওয়াত দিয়েছি এবং তিনি আসছেন। এটা আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি।”

ভক্তদের আয়োজনে একজন অভিনয়শিল্পীর সরাসরি অংশগ্রহণ, অস্থায়ী হলেও একটি হল নির্মাণ এবং সিনেমা দেখার এই উৎসব— ভূঞাপুরে যেন নতুন করে সিনেমাপ্রেমের আলো জ্বেলে দিচ্ছে।

গত কয়েক বছর ধরে ঈদকে কেন্দ্র করে নির্মিত সিনেমাগুলো নিয়েই অধিক আলোচনা ও সমালোচনা দেখা যাচ্ছে। ঈদুল ফিতরে বেশ কটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম আফরান নিশো অভিনীত ‘দাগি’ সিনেমা। শিহাব শাহীন পরিচালিত এ সিনেমায় নিশোর বিপরীতে অভিনয় করেছেন তমা মির্জা।

ঢাকা/কাওছার/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ