২৩ বিচারকের জন্য এজলাস ১৫টি, কার্যক্রমে স্থবিরতা
Published: 16th, January 2025 GMT
শরীয়তপুরে আদালতে এজলাস সংকটে ব্যাহত হচ্ছে বিচারিক কার্যক্রম। ২৩ বিচারকের বিপরীতে এজলাস আছে ১৫টি। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিজস্ব ভবন না থাকায় জেলা প্রশাসনের ছয়টি আলাদা ভবনে ভাগাভাগি করে চলছে বিচারকাজ। এজলাস আর অফিস কক্ষ সংকটে দিন দিন বাড়ছে মামলাজট। এ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন বিচারপ্রার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা। বরাদ্দ পেলে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ১৯৯৪ সালে নির্মাণ করা হয়েছে চার তলা বিশিষ্ট শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবন। এ ভবনে বিচারকদের জন্য এজলাস সংকুলান না হওয়ায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একটি ভবন এবং নারী ও শিশু আদলতসহ অপর তিনটি টিনশেড ভবনে চলছে কার্যক্রম।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, একই কক্ষের মধ্যে একদিকে চলছে বিচারকাজ; অন্যদিকে চলছে সেরেস্তা, কম্পিউটার অপারেটর ও রেজিস্ট্রারদের দাপ্তরিক কার্যক্রম। একজন বিচারকের কাজ শেষ হলে একই স্থানে শুরু হচ্ছে অন্য বিচারকের কাজ।
শরীয়তপুরে আদালতে প্রতিদিন অন্তত ৮০ থেকে ১০০টি মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তি হচ্ছে।
শরীয়তপুর জেলা জজ আদালতের নাজির মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেছেন, “নারী ও শিশু আদালত বসছে ভাঙাচোরা টিনশেড ভবনে। ছয় জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টিনশেড ভবনের এজলাস শেয়ার করে কাজ করছেন। এতে নথিপত্র খুঁজে পাওয়ার পাশাপাশি বিচারের কাজে বিঘ্ন ঘটছে। নতুন একটি ভবন নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হলেও ভবন এখনো কেন হচ্ছে না, তা আমাদের জানা নেই। সরকারের এমন গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরের কাজ সঠিক ও সুন্দরভাবে করার জন্য দ্রুত ভবন নির্মাণের অনুরোধ জানাই।”
শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি হানিফ মিয়া বলেছেন, “জরাজীর্ণ ভবনে বিচারপ্রার্থীদের সেবা দেওয়ার জন্য নেই পর্যাপ্ত কক্ষ। বিচারকরা পান না চাহিদামতো এজলাস। কক্ষের স্বল্পতা ও জায়গা ছোট হওয়ায় আইনজীবীসহ বিচারপ্রার্থীরা স্বস্তি বোধ করছেন না। দ্রুত ভবন নির্মাণের দাবি জানায় জেলা আইনজীবী সমিতি।”
শরীয়তপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.
ঢাকা/আকাশ/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভবন ন র ম ণ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে আইনি নোটিশ
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল বা রিভিউ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে মো. ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশ এবং তাকে শপথ পড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান এ নোটিশ পাঠান।
সোমবার তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত রোববার বিকেলে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে রোববার রাতেই নির্বাচন কমিশন ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে সংশোধনী গেজেট প্রকাশ করেছে।
তিনি জানান, দুই বাসিন্দার পক্ষে রোববার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু একই দিন রাতেই নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নোটিশদাতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আইনজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে দ্রুততার সঙ্গে এই রায় দেওয়া হয়েছে। আমরা ধারণা করেছিলাম, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ট্রাইব্যুনালের রায় চ্যালেঞ্জ করবে। কিন্তু তা করা হয়নি। বরং, আইন উপদেষ্টার মন্তব্য অনুযায়ী, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত না নিয়েই সংশোধনী গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ট্রাইব্যুনাল এমন কোনো আদেশ দিতে পারে না যার কার্যকারিতা নেই। এখানে মেয়রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং অধ্যাদেশের মাধ্যমে মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছিল।
জানা যায়, ঢাকার কাকরাইলের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. মামুনুর রশিদের পক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, যুগ্ম জেলা জজ মো. নুরুল ইসলাম ও মো. ইশরাক হোসেনের কাছে আইনি নোটিশটা পাঠানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন এবং বিএনপি নেতা মো. ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন।