ইংলিশ ব্যাটার ডেভিড মালানের ক্রিকেট ক্যারিয়ার প্রায় ১৯ বছরের। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের জার্সিতে তিন ফরম্যাটে খেলেছেন তিনি। তবে অধ্যায়টা সংক্ষিপ্ত। ২০১৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত সাড়ে চার বছরে টেস্ট খেলেছেন ২২টি। চার বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মাঠে নেমেছেন ৩০বার। আন্তর্জাতিক টি-২০ই খেলেছেন বেশি। সেটাও ছয় বছরে ৬২টি। 

ক্যারিয়ারের বাকি সময়টা ইংল্যান্ডের ঘরোয়া লিগ, বিদেশি ঘরোয়া লিগ ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কাটিয়েছেন তিনি। বিপিএলেই যেমন পাঁচবার খেলতে এসেছেন তিনি। এবার ফরচুন বরিশালে খেলছেন। আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে খেলেছেন ৩৭ বছর বয়সী এই ব্যাটার। পিএসএলে খেলেছেন দুই দলে। 

শুধু বিপিএল বা পিএসএল নয় ডেভিড মালান বাংলাদেশের ৫০ ওভারের ঘরোয়া ক্রিকেট ডিপিএলেও খেলেছেন। অনেক পুরনো কথা হলেও সেসব মনে আছে তার। বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতি তাই কৃতজ্ঞ বলে জানিয়েছেন ইংলিশ এই ক্রিকেটার। জানিয়েছেন, বাংলাদেশের মতো কঠিন কন্ডিশনে খেলে অনেক দিক থেকে উন্নতি হয়েছে তার। 

চট্টগ্রামে শনিবার ফরচুন বরিশালের অনুশীলনে এসে মালান বলেন, ‘ক্রিকেটীয় দিক থেকে বাংলাদেশ সবসময়ই দারুণ জায়গা। আমি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলেছি। হয়তো ১১-১২ বছর হয়ে গেছে। একইভাবে পিএসএল আমার খেলায় উন্নতি করতে সহায়তা করেছে। এসব কন্ডিশন কঠিন। বিপিএল, ডিপিএল; বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ভিন্ন কন্ডিশনে খেলে দ্রুত এবং সহজে উন্নতি করা যায়।’

এবারের বিপিএলের উইকেট ভালো। এটা ধরে রাখা সম্ভব হলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে উন্নতি হবে বলেও মন্তব্য করেন মালান, ‘বিপিএল খুব ভালো হচ্ছে। আগের ম্যাচগুলো খেলতে না পেরে হতাশ। সিলেটের উইকেট খুবই ভালো ছিল। চট্টগ্রামের উইকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা। আশা করি এটা ধরে রাখা হবে। এতে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দেরই উন্নতি হবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

বারসিকের গবেষণা: রাজশাহীর ৯৯ ভাগ দোকানেই মিলছে নিষিদ্ধ কীটনাশক

রাজশাহীর ৯৯ ভাগ কীটনাশকের দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে নিষিদ্ধ কীটনাশক ও বালাইনাশক। সরকার নিষিদ্ধ করে রাখলেও নানা নামে এসব কীটনাশক বাজারজাত করা হচ্ছে। ফলে পরিবেশ, প্রকৃতি ও জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। শতকরা ৯৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ ব্যবহারকারীই জানেন না এগুলো নিষিদ্ধ এবং বিপজ্জনক।

চলতি বছর রাজশাহীতে ‘জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ক মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধানমূলক সমীক্ষা’ শীর্ষক এক গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে। সমীক্ষাটি করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক। 

বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে রাজশাহী নগরের একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজশাহীর আটটি উপজেলার ১৯টি কৃষিপ্রধান গ্রামাঞ্চলে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ, ভুক্তভোগীদের কেস স্টাডি, স্থানীয় কীটনাশক ডিলার, দোকানদার, পরিবেশক এবং উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে সমীক্ষাটি করা হয়েছে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করে শতকরা ৬৮ শতাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর কীটনাশকের ৯৯ ভাগ দোকানেই দেশে নিষিদ্ধ কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন নামে। এসব নাম দেখে বোঝার উপায় নেই এটি নিষিদ্ধ, বোতলের গায়ে নিচের দিকে জেনেরিক নাম খুব ছোট করে লেখা থাকে। 

বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ যেসব কীটনাশক এখনো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো হলো- জিরো হার্ব ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট), ফুরাডান ৫জি (কার্বোরাইল), এরোক্সান ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট), গ্যাস ট্যাবলেট (অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড), কার্বোফোরান ৩ জিএসিআই (কার্বোফোরান), ইঁদুর মারা বিষ (বডিফ্যাকোয়াম) ও তালাফ ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট)। এই প্যারাকোয়াট বা ঘাস মারা বিষ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অনেকে এগুলো আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে পান করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে কিডনি নষ্ট হয়ে তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাজারে অহরহ এসব নিষিদ্ধ কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু সরকারের কোনো তদারকি নেই। এসব নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করে কৃষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। নিষিদ্ধ কীটনাশক কীভাবে বাজারে বিক্রি হয়, কৃষি বিভাগের দায়িত্ব কী সে বিষয়েও সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রশ্ন তোলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নিষিদ্ধ কিছু কীটনাশকও আনা হয়। এগুলো যে দোকান থেকে কেনা হয়েছে তার রশিদও দেখানো হয়। এসব দেখিয়ে বারসিকের নির্বাহী পরিচালক পাভেল পার্থ বলেন, “এগুলো তো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। আমরা কিনেছি। রশিদও আছে। এগুলো নিষিদ্ধ। আমরা এগুলো হাজির করতে বাধ্য হয়েছি। এই গবেষণা একটি ফৌজদারি অপরাধকে খুঁজে পেয়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে নিষিদ্ধ কীটনাশকের ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধ করা,  কীটনাশক আইন ও বিধি প্রয়োগ করা, কীটনাশক সম্পর্কিত স্বাস্থ্য তথ্য নিবন্ধন করা, কীটনাশকের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের জন্য তহবিল গঠন করার সুপারিশ করা হয়।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বারসিকের গবেষণা: রাজশাহীর ৯৯ ভাগ দোকানেই মিলছে নিষিদ্ধ কীটনাশক