রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চিহ্নের রজতজয়ন্তী উৎসব ২০২৫ পালিত হয়েছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) উৎসবটি শুরু হয়।

উদ্বোধনের সময় জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয় ও চিহ্নের পতাকা উত্তোলন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল প্রীতি সমাবেশ ও প্রাতঃরাশ। পরে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক কবি জুলফিকার মতিন। স্বাগত বক্তব্য দেন চিহ্নের প্রধান অধ্যাপক শহীদ ইকবাল।

কবি জুলফিকার মতিন বলেন, “আজ চিহ্নের ২৫ বছর পুর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপী রজতজয়ন্তী উৎসবের সূচনা। একবিংশ শতাব্দীর এক-চতুর্থাংশ শেষ হলো এবং এভাবেই চিহ্ন শিল্প ও সাহিত্যে মানুষের জীবনে জড়িয়ে থাকবে। শিল্প সাহিত্যকে আমরা কখনো আমাদের জীবন থেকে আলাদা করতে পারব না।”

অনুষ্ঠানটির প্রথম অধিবেশনের বিষয় ছিল ‘লেখকের গল্প: মাটির ও রক্তের কর্কশ শব্দ’। এতে শেখ নাজমুল হাছানের সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে ছিলেন, আকিমুন রহমান, আহমদ বশীর, শরীফ আতিক-উজ-জামান, পাভেল চৌধুরী, আবু হেনা মোস্তফা এনাম, মোজাফফর হোসেন, শিবলী মোকতাদির প্রমুখ।

দ্বিতীয় অধিবেশনের বিষয় ছিল ‘কবিতার গল্প: কবির অবিনশ্বর আকাঙ্ক্ষা’। আবুল ফজলের সঞ্চালনায় এতে আলোচক ছিলেন, জিল্লুর রহমান, গোলাম কিবরিয়া পিনু, সৈকত হাবিব, ইউসুফ মুহাম্মদ, কুমার দীপ, শামিম হোসেন, আহমেদ মেহেদী হাসান নীল প্রমুখ।

তৃতীয় অধিবেশনের বিষয় ছিল ‘২৫ বছরের চিহ্ন: আর কতোটা দূর’। নাজমুল হাসানের সঞ্চালনায় এতে আলোচক ছিলেন, রাজা সহিদুল আসলাম, মনিরুল মনির, সাব্বির রেজা, সাদ্দাম হুসাইন, সুমন সিকদার, রফিক সানি, সুমন আচার্য প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের অতিথিদের ক্রেস্ট প্রদান করে সম্মাননা জানানো হয়। 

২০০১ সালের এপ্রিলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শহীদ ইকবালের সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশিত হয় ‘চিহ্ন’, যা ছোট কাগজের চেতনাকে ধারণ করে। ‘চিত্তের প্রসারতা, মস্তিষ্কের মুক্তি’ স্লোগান নিয়ে পত্রিকাটি নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে প্রায় ২ দশক ধরে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

রাজধানীর বাংলা মোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শিশুসাহিত্যিক অমিত কুমার কুণ্ডুর শিশুতোষ ছড়ার বই ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিল বইটির প্রকাশনা সংস্থা পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড।

শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দন্ত্যস রওশন, লোকসংস্কৃতিবিদ তপন বাগচী, শিশুসাহিত্যিক সঙ্গীতা ইমাম, কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার। অনুষ্ঠানে বক্তারা বইটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

আরো পড়ুন:

নদী স্মৃতিনির্ভর সংকলন গ্রন্থ ‘আমার নদী’ প্রকাশিত 

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

প্রধান অতিথির আলোচনায় রফিকুর রশীদ বলেন, “১২৪টি ফলের ওপর লেখা এই বইয়ের ছড়াগুলো কেবল পাঠকের রসাস্বাদনই করাবে না, শিশু শিক্ষামূলক এই ছড়াগুলো রসোত্তীর্ণও বটে।”

তিনি দেশের প্রকাশকদের অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়ে বলেন,“প্রকাশকদের বেশি বেশি এরকম প্রকাশনা উৎসব আয়োজন করা উচিত।”

বইটির ব্যতিক্রমী আকৃতির দিকে ইঙ্গিত করে দন্ত্যস রওশন বলেন, “পাঠক তৈরির প্রয়াসেই পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এমন ক্ষুদ্রাকৃতির ও নতুন নতুন সাইজের বইয়ের ধারণা বাজারে আনছে। এটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।”

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, “শিক্ষার দুটো দিক রয়েছ।একটি হলো ট্রাডিশনাল, যা আমরা পড়েছি, আপনারাও পড়েন। আরেকটি  হলো জাঁ জ্যাক রুশোর পদ্ধতি। তিনি বলেছে, প্রকৃতির সঙ্গে শেখা।রবীন্দ্রনাথ যা বিশ্বভারতীর মাধ্যমে করিয়ে দেখিয়েছেন।অমিত কুমার কুণ্ডুর ছড়ার বইটি সে রকমই।এর মাধ্যমে প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করবে শিশুরা ও ওরা শিখবে। এরকম বই প্রকাশ করার জন্য প্রকাশকে ধন্যবাদ। আমাদের প্রকাশকদের এ ধরনের বই বেশি বেশি করতে হবে।”

কাঁচামিঠে ফলের ছড়া বইটির পাতায় পাতায় দেশি-বিদেশি বিচিত্র ফলের পরিচয়, পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা নান্দনিক অলংকরণে ছন্দে-ছড়ায় তুলে ধরা হয়েছে। বইটি থেকে ছড়া আবৃত্তি করে বাচিক শিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা।

অনুষ্ঠান শেষে ছিল মৌসুমী ফল দিয়ে অতিথিদের অ্যাপায়নের ব্যবস্থা।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চুয়েটে দিনভর তারুণ্যের ‘তর্ক-যুদ্ধ’
  • ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
  • জুলাইয়ের ১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় উৎসব
  • ১৬ কোটি টাকায় সারা দেশে ফুটবলের তিন টুর্নামেন্ট
  • দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
  • ভৌতিক গল্প নিয়ে কানাডায় নুহাশ
  • তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন