Samakal:
2025-11-03@08:33:37 GMT

শরীরের ভাষা পড়ে মানুষ বুঝুন

Published: 18th, January 2025 GMT

শরীরের ভাষা পড়ে মানুষ বুঝুন

জেমস বর্গ। দীর্ঘদিন কাজ করছেন শরীরের ভাষা নিয়ে। তাঁর মতে, মানুষ অভিব্যক্তির ৯৩ শতাংশই শরীরী ভাষা দিয়ে প্রকাশ করতে সক্ষম। মাত্র ৭ শতাংশের জন্য তাকে শাব্দিক ভাষা ব্যবহার করতে হয়। এ শরীরী ভাষা দিয়েই আমরা বুঝতে পারি কার মনের অবস্থা কেমন, শরীরের অবস্থা কেমন। বাক্‌প্রতিবন্ধীদের কথা যদি বলতে হয়, তবে ওদের মুখ থেকে শব্দটি বেরোয় না। যেটি বেরোয়, সেটি বোঝার সাধ্য কার? তাদের অঙ্গভঙ্গি দেখেই বোঝা যায় তারা কী বলতে চায়। সারাদিন বাইরে ঘুরে ঘুরে বাড়িতে ফিরলে মা যেমন সন্তানের চেহারার দিকে তাকিয়েই বুঝতে পারেন, সারাদিন কিছু খায়নি। সম্পর্কোন্নয়নের জন্য এই শরীরী ভাষা জানাটা ভীষণ জরুরি। 
যদি থেমে যায় কিংবা সরে যায় দূরে: কেউ যখন আপনার কাছে আসবে তাকে ভালোমতো পর্যবেক্ষণ করুন। আপনি যদি তার কাছাকাছি যেতে চান, তবে নিজেও খানিকটা এগিয়ে যান। যদি দেখেন আপনার সঙ্গী ওখানে থেমে গেছে কিংবা দূরে সরে গেছে, তবে বুঝতে হবে সে আপনার কাছাকাছি আসতে চাইছে না। যদি আপনার কাছে একটু একটু করে এগিয়ে আসে, বুঝতে হবে সে আপনাকে পছন্দ করে।
মাথা নাড়ানোর ভঙ্গি: সঙ্গীর মাথা নাড়ানো দেখেও বোঝা যায় অনেক কিছু। কারও প্রতি সহানুভূতি, রাগ, অভিমান প্রকাশ করা যায় কেবল মাথা নাড়িয়েই। কেউ মাথা নিচু করে থাকলে বুঝতে হবে আপনার কাছ থেকে কিছু লুকাতে চাইছে বা সে লজ্জিত; অথবা সে আপনাকে সম্মান দেখাচ্ছে। আপনি যদি বস হন, তবে আপনার সামনে অধস্তন কেউ যদি মাথা উঁচু করে থাকে, বুঝতে হবে সে আপনাকে তোয়াক্কা করে না।
মনের কথা চোখে: কেউ মিথ্যা বলছে কিনা, নার্ভাস কিনা বোঝা যায় চোখের দিকে তাকালে। আমাদের অনেক আবেগ আছে, যা চোখ দিয়েই বোঝা যায়। বলা যায়, মনের কথাগুলোই চোখ বলে দেয়। 
অনুকরণের ভাষা: খেয়াল করে দেখুন তো কেউ আপনাকে অনুকরণ করছে কিনা? এই অনুকরণের ভাষা কথায় হতে পারে, কাজে হতে পারে, অঙ্গভঙ্গিতেও হতে পারে। যদি বুঝতে পারেন কেউ আপনাকে অনুকরণ করছে, তবে সে আপনার কাছাকাছি আসতে চায়। 
কেউ কিছু লুকোচ্ছে?: খেয়াল করুন, কেউ আপনার সামনে এসে নার্ভাস বা বিচলিত হয়ে পড়ছে কিনা। এটি বোঝা যাবে তার কথা বলার ভঙ্গিতে। গলার স্বরে। তার চোখের ভ্রু দেখেও বোঝা যায়। 
যেভাবে বদলাবেন: নিজের শরীরের ভাষা বোঝার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চর্চা করা। ধরা যাক, আজ সারাদিন আপনি যাদের সঙ্গে কাটিয়েছেন, তাদের সঙ্গে কীভাবে কথা বলেছেন কিংবা তাদের সঙ্গে আপনার শরীরের অঙ্গভঙ্গি কেমন ছিল, সেটি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আবার করুন। u

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আপন র ক ছ আপন ক

এছাড়াও পড়ুন:

শত্রুতার জেরে সাত গরুকে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ, মারা গেছে ৩টি

গোপালগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তিনটি গরু হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আরো চারটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ফলে দুই কৃষক পরিবারের অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। গত শনিবার (১ নভেম্বর) মধ্যরাতে সদর উপজেলার সিংগারকুল পূর্বপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কীভাবে গরুগুলো মারা গেছে তা খতিয়ে দেখতে নমুনা সংগ্রহ করেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। পুলিশ বলছে, তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।

আরো পড়ুন:

‎নামাজরত বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ৩ পুলিশ আহত

গাইবান্ধায় ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা: মামলা দায়ের 

এলাকাসাসী জানান, সিংগারকুল পূর্বপাড়া গ্রামের দুই ভাই মো. রাসুল গাজী ও হাসিব গাজী কৃষি কাজ করে সংসার চালান। তারা খামার করে কয়েকটি গরু লালন-পালন করছেন। শনিবার মধ্যরাত সাড়ে ১২টার দিকে গরুর গোঙানির শব্দ শুনে পাশের বাড়ির এক আত্মীয় ছুটে গিয়ে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন দুই ভাইকে। তারা স্থানীয় পশু চিকিৎসককে খবর দেন। সকাল হওয়ার আগেই তিনটি গরু মারা যায়। একই গোয়াল ঘরে থাকা একটি বড় ষাঁড়, একটি বাছুর ও অপর গোয়ালে থাকা দুটি ষাঁড় এখনো অসুস্থ। 

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মো. রাসুল গাজী জানান, শত্রুতা করেই খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাদের গরুগুলোকে হত্যা করা হয়েছে। রাতেই টের পেয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও বাঁচানো যায়নি গরুগুলো। দুই ভাইয়ের আরো চারটি গরু অসুস্থ রয়েছে। এতে তাদের অন্তত ৫-৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। 

তিনি জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

কারা তাদের গরু হত্যা করেছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাসুল গাজী বলেন, “ঘর থেকে বের হয়ে কয়েকজনকে দৌঁড়ে যেতে দেখেছি। তাদের চেহারা দেখতে পারিনি। ফলে কাউকে চিনতে পারিনি।” 

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হাসিব গাজী বলেন, ‍“কারো সঙ্গে আমাদের শত্রুতা থাকতেই পারে। এই অবলা পশুগুলো কার কী ক্ষতি করেছে। কোন অপরাধে এদের হত্যা করা হলো। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

এলাকাবাসী মো. ইমদাদ শেখ বলেন, “গত শনিবার রাতে বৃষ্টি হয়। এই সুযোগে গরুগুলোকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা চাই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।”

গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোবিন্দ চন্দ্র সর্দার বলেন, “সিংগারকুল পূর্বপাড়া গ্রামে কয়েকটি গরুকে বিষ খাওয়ানো হয় এমন খবর পেয়ে সকালে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান। তিনি অসুস্থ গরুগুলোকে চিকিৎসা দেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পয়জনজনিত কারণেই গরুগুলো মারা গেছে। মারা যাওয়া গরুর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই গরু তিনটির মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে তদন্ত শুরু করি। মারা যাওয়া গোরুগুলোর নমুনা সংগ্রহ ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/বাদল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ