মুন্সীগঞ্জে পরিবেশ আইন অমান্য করায় দুই সিমেন্ট কোম্পানিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আওতাধীন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান এ অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সদর উপজেলার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকায় স্ক্যান ও মেট্রোসেম সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।

পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন না থাকায় ও খোলা অবস্থায় কাঁচামাল ও নির্মাণ সামগ্রী রাখায় মেট্রোসেম সিমেন্ট ফ্যাক্টরিকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ১৫ ধারা এবং বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০২২ এর ১৭ বিধি মতে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ২৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড করা হয়।

খোলা অবস্থায় কাঁচামাল ও নির্মাণ সামগ্রী রাখায় স্ক্যান সিমেন্ট ফ্যাক্টরিকে বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০২২ এর ১৭ বিধি মতে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট পরিচালিত মোবাইল কোর্ট।

এছাড়া, তিন মাসের মধ্যে বায়ু দূষণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়। কোম্পানির পক্ষে সংশ্লিষ্ট জেনারেল ম্যানেজারকে এই দণ্ড আরোপ করা হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো.

সানোয়ার হোসেন ও মুন্সীগঞ্জ থানা ও পুলিশ লাইনের দুটি পুলিশ দল।

পরিবেশের ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারী জাকির হোসেন বলেন, ‘‘পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন না থাকায়, খোলা অবস্থায় কাঁচামাল ও নির্মাণ সামগ্রী রাখায় মেট্রোসেম ও স্ক্যান সিমেন্ট কোম্পানিকে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট।’’

ঢাকা/রতন/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন পর ব শ পর ব শ র

এছাড়াও পড়ুন:

আইপিএলে আরও ম্যাচ বাড়ানোর পরিকল্পনা

আইপিএলে আরও ১০ থেকে ২০ ম্যাচ বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে আইসিসি ও বিসিসিআই-এর সঙ্গে আলোচনাও করছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ ও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা। তবে সবটাই সম্প্রচার স্বত্বের আগ্রহের ওপর নির্ভর করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আইপিএল এখন ১০ দলের লড়াই। ২০২২ সালে দুটি নতুন ফ্রাঞ্চাইজি আনা হয়। গুজরাট ও লক্ষ্নৌ আসায় প্রতি মৌসুমে ৭৪ ম্যাচের টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আইপিএল কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা ছিল ২০২৫ মৌসুম থেকে ম্যাচ বাড়িয়ে ৮৪তে নিয়ে যাওয়ার।

কিন্তু সম্প্রচার স্বত্বের অনীহার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। ক্রীড়া ভিত্তিক টিভি চ্যানেলগুলো জানিয়েছে, একই সময়ে আইপিএলসহ অন্যান্য ক্রীড়া ইভেন্ট থাকে। একটার পর একটা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ থাকে। আইসিসির ইভেন্ট থাকে। ২০২৫ সাল পর্যন্ত আইসিসি ফিউচার ট্যুর ও টুর্নামেন্ট সূচি থাকায় প্রস্তাবিত ৮৪ ম্যাচের টুর্নামেন্ট সম্ভব হয়নি। ২০২৭ সাল পর্যন্তও এটা সম্ভব হবে না।

তবে ২০২৮ সালের আসরে ৯৪ ম্যাচের আইপিএল ইভেন্ট মাঠে নামানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। যদিও কোন নতুন দল আনার পরিকল্পনা নেই তাদের। আইপিএলকে ১০ দলের টুর্নামেন্টেই রাখতে চায় কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে পরিকল্পনা হলো- গ্রুপ পর্বের মতো প্লে অফেও হোম এন্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে ম্যাচ আয়োজন করা। যাতে প্রতিটি দল হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়।

আইসিসির চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল বলেন, ‘অবশ্যই, এটা একটা সুযোগ। আমরা আইসিসি ও বিসিসিআই-এর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। যেহেতু ভক্তদের আগ্রহ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও আইসিসির ইভেন্ট থেকে সরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দিকে যাচ্ছে, এটা কাজে লাগানোর দারুণ সুযোগ আমাদের জন্য। আমরা গুরুত্ব সহকারে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছি। ক্রিকেটের প্রাণ ভক্ত। তাদের চাওয়ার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’

ধুমাল জানান, তারা আইপিএলের জন্য বড় একটা ফাঁকা সময় আইসিসির কাছে চান। ফ্রাঞ্চাইজির চাওয়া গ্রুপ পর্বের মতো প্লে অফেও হোম এন্ড অ্যাওয়ে ম্যাচ। সেক্ষেত্রে ৯৪ ম্যাচের টুর্নামেন্ট চাওয়া আইপিএল কর্তৃপক্ষের। অনেক খেলা থাকায় এখনই সেটা সম্ভব নয়। তবে সম্প্রচার মাধ্যম মনে করছে, আইপিএল মাঝপথে গিয়ে দর্শকের আগ্রহ হারায়। যে কারণে ম্যাচ ও সময় বাড়ালে এর আকর্ষণ ধরে রাখা নিয়ে সন্দিহান টিভি চ্যানেলগুলো।

আইপিএল শুরু হয় ২০০৮ সালে। তখন এটি ৪৪দিনের টুর্নামেন্ট ছিল এবং ম্যাচ ছিল ৫৯টি। ২০১১ সালে ১০ দলের টুর্নামেন্ট হয় ৫০ দিনে। ম্যাচ ছিল ৭৪টি। পরের দুই আসরে ছিল ৯ দল। ম্যাচ হয়েছিল ৭৬টি করে। ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৮ দলের টুর্নামেন্ট হয়েছে। ম্যাচ হয়েছে ৬০টি করে। টুর্নামেন্ট ৪৬ থেকে ৫২ দিনের মধ্যে রাখা হয়েছিল। ২০২২ থেকে ১০ দলের টুর্নামেন্টে আবারো ৭৪টি করে ম্যাচ খেলানো হচ্ছে। ৬০ থেকে ৬৪ দিনে গড়িয়েছে টুর্নামেন্ট।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিট রিজার্ভও ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
  • ভিটামিনসমৃদ্ধ ভোজ্যতেল পাওয়ায় বাধা খোলা ড্রাম
  • খাল-ফসলি জমির মাটি ইটভাটায়
  • আইপিএলে আরও ম্যাচ বাড়ানোর পরিকল্পনা