‘হাজারো চাঁদনি রাত তোমার হাত ধরে কাটাতে চাই’
Published: 20th, January 2025 GMT
গত বছরের জুনে আজমান নাসিরের সঙ্গে বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আনেন মডেল-অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। ৯ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে চমক দিয়েছিলেন চমক। সোমবার (২০ জানুয়ারি) চমকের স্বামীর জন্মদিন। বিয়ের পর প্রথম জন্মদিন তার।
বিশেষ এই দিনে স্বামীর প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন চমক। নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে ফেসবুককে বেছে নিয়েছেন। দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে স্বামীর হাত ধরে হাজার বছর কাটিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী।
স্বামীর সঙ্গে চমক
আরো পড়ুন:
বিয়ের ইঙ্গিত দিলেন তমালিকা!
বিতর্ক মাথায় নিয়েই বিগ বসের বিজয়ী করন
রুকাইয়া জাহান চমক লেখেন, “প্রিয় স্বামী, আজ তোমার জন্মদিন। এই পৃথিবীতে তোমার উপস্থিতি আমার জন্য আনন্দের, যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। শুধু তোমাকে বলতে চাই, চা হাতে হাজারো সূর্যাস্ত আমরা উপভোগ করতে চাই। হাজারো সকালের উষ্ণ আলিঙ্গনে মেতে থাকতে চাই। মধ্যরাতে আমাদের পাগলামি আর খুবই সাধারণ ও অর্থহীন বার্তা চালাচালি চলুক। হাজারো কফি ডেটে যেতে চাই।”
হাজারো চাঁদনি রাত স্বামীর হাত ধরে কাটানোর অভিপ্রায় ব্যক্ত করে চমক লেখেন, “কে তোমার ছবি পছন্দ করল, তা নিয়ে ঝগড়া চলুক। উদ্দেশ্যহীনভাবে গাড়ি চালিয়ে ঘুরে বেড়ানো। আমাদের পছন্দের গান শোনা। একসঙ্গে আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা। তোমার সঙ্গে মিলে অদ্ভুত সব রান্না করা। কারণ ছাড়াই তোমাকে বিরক্ত করা। হাজারো চাঁদনি রাত তোমার হাত ধরে কাটাতে চাই। এভাবেই আমার জীবনটা তোমার সঙ্গে কাটিয়ে দিতে চাই। তুমি জানো না আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি। অনেক অনেক অনেক শুভকামনা। শুভ জন্মদিন।”
২০১৭ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৭’ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানারআপ নির্বাচিত হন চমক। কিন্তু এ আসরে তথ্য গোপন করার অভিযোগ উঠেছিল চমকের বিরুদ্ধে। গুঞ্জন শোনা যায়, চমক বিবাহিত। ২০১৪ সালের নভেম্বরে বিয়ে করেছেন তিনি। তার স্বামীর নাম খান এইচ কবির। তাদের কয়েকটি ছবিও নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল।
চমক
পরবর্তীতে চমক দাবি করেছিলেন— ‘ছবির ছেলেটি তার প্রেমিক।’ এসব বিষয় নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন চমক। তবে অতীত ভুলে বিবাহিত জীবনে দারুণ সময় উদযাপন করছেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পশ্চিম তীরে ২০১৭ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ
অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণের কাজ অন্তত ২০১৭ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘ মহাসচিবের এক প্রতিবেদন থেকে এমনটা জানতে পেরেছে এএফপি। মূলত ২০১৭ সাল থেকে জাতিসংঘ এ ধরনের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আসছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে প্রায় ৪৭ হাজার ৩৯০টি আবাসন ইউনিটের পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়া ও এর অনুমোদন দেওয়া বা টেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে। এ সংখ্যা ২০২৪ সালের তুলনায় অনেক বেশি। গত বছর এ ধরনের আবাসন ইউনিটের সংখ্যা ছিল ২৬ হাজার ১৭০টির মতো।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এ সম্প্রসারণের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি নিয়মিত উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে, ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমিতে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে এবং একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন, গণতান্ত্রিক, ভৌগোলিকভাবে সংযুক্ত ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সম্ভাবনা হুমকির মুখে ফেলছে।’
আরও পড়ুনইসরায়েলিদের বাধায় নিজেদের জমিতে যেতে পারেন না ফিলিস্তিনিরা, বিপর্যয়ে জলপাইশিল্প০৪ ডিসেম্বর ২০২৫২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে পশ্চিম তীরে প্রতিবছর গড়ে ১২ হাজার ৮১৫টি ইসরায়েলি আবাসন ইউনিট যুক্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন গুতেরেস। তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, আগের বছরগুলোর তুলনায় বসতির সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে।
১৯৬৭ সালে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল ও পরে অঞ্চলটিকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। জেরুজালেমকে বাদ দিলে পশ্চিম তীরে বর্তমানে প্রায় ৫ লাখ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর বসবাস। সেই সঙ্গে সেখানে প্রায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনিও রয়েছেন।
গুতেরেস বলেন, এ ধরনের তৎপরতা অবৈধ ইসরায়েলি দখলদারিকে আরও দৃঢ়, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং ফিলিস্তিনি জনগণের নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেদের নেওয়ার অধিকার ক্ষুণ্ন করছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এর জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় তাণ্ডব শুরু করে ইসরায়েল। তখন থেকে পশ্চিম তীরেও সহিংসতা ছড়িয়েছে দেশটি।
আরও পড়ুনগাজার ‘হলুদ রেখা’ থেকে সরবে না সেনা, এটিই নতুন সীমান্ত: ইসরায়েলি বাহিনীর প্রধান০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের ভিত্তিতে এএফপির করা হিসাব অনুযায়ী, ওই সংঘাত শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনা বা বসতি স্থাপনকারীদের হাতে অন্তত ১ হাজার ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সশস্ত্র যোদ্ধারা যেমন আছেন, তেমন বেসামরিক মানুষেরাও আছেন।
একই সময় পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের হামলা বা ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে অন্তত ৪৪ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের সরকারি হিসাব অনুসারে এমন তথ্য জানা গেছে।