ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ
Published: 11th, July 2025 GMT
রাজধানীর পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে এই বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় প্রতিবাদকারীরা বলেন, ‘আমার সোনার বাংলায় খুনিদের ঠাঁই নাই’, "ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, "এক দুই তিন চার চাঁদাবাজ দেশ ছাড়’, "চাঁদাবাজের ঠিকানা এই বাংলা হবে না,’ "জনে জনে মানুষ মরে ইন্টেরিম কি করে?’ "লীগ গেছে যেই পথে দল যাবে সেই পথে’।
এ সময় সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “জুলাইয়ের পর থেকে আমরা দুইটি সংস্কার সবচেয়ে বেশি চেয়েছি। একটি মিডিয়া সংস্কার, অন্যটি প্রশাসনের সংস্কার। ৪৮ ঘণ্টা পর এই ঘটনা কেন আমাদের সামনে আসল? চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে যারা একজন ব্যবসায়ীকে হত্যা করে, ক্ষমতায় আসার পরে তাদের তাদের পথের কাঁটা আজকের জুলাই যোদ্ধারাই হবে।”
তিনি আরো বলেন, “যারা দলমত নির্বিশেষে সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন, সেই জুলাই যোদ্ধারাও তাদের হামলা থেকে নিস্তার পাবে না। ইন্টেরিম সরকারের কাছে বিচার চাইতে চাইতে আমরা নাজেহাল হয়ে গেছি। একটা দলের হাইকমান্ড থেকে এই ব্যাপারটা নিয়ে উল্টো ন্যারেটিভ দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”
আরেক সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, “আপনারা সবাই অবগত আছেন জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে কী পরিমাণ নৃশংসতার সাক্ষী এ দেশের মানুষ হয়েছে। আজকে যে হত্যাকাণ্ডের জন্য আমরা এখানে সমাবেত হয়েছি–আমি সেই হত্যাকারী যুবদলের নাম স্পষ্ট করে বলতে চাই। এ বাংলাদেশে আপনাকে দলের নাম ধরে সমালোচনা করা শিখতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “যদি সমালোচনা না করেন তবে প্রত্যেকে আবার হাসিনা হয়ে উঠবে, আওয়ামী লীগ হয়ে উঠবে। তাই এই বাংলাদেশে জুলাই যতদিন বেচে থাকবে ততদিন এ দেশে আবার কোনো আওয়ামী লীগ হয়ে উঠতে দেব না। সেটা বিএনপি হোক, জামায়াত হোক বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দল হোক– কোনোভাবেই এ দেশে আর কোনো সন্ত্রাসবাদ কায়েম হতে দেব না।”
সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, “ফ্যাসিবাদী আমলে আমরা যখনই আওয়াজ তুলতাম, তখনি আমাদের ট্যাগিং করা হতো। আমরা ব্যর্থ হয়েছিলাম ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে। আমরা আমাদের বয়স চালু রাখতে চাই। দেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদ কায়েম তৈরি হতে দেব না। জুলাই বিপ্লবের পর দেশে আর কোন চাঁদাবাজি মেনে নেওয়া যায় না। তারেক রহমান বিদেশে বসে কি খেলা দেখছেন? তার দল জুলাইয়ের পর দেশে খুনের সেঞ্চুরি করে ফেলছে। এই দায় তার নিতে হবে।”
ঢাকা/ফাহিম/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সততা জাতির অগ্রযাত্রার চালিকা শক্তি: সিনিয়র সচিব
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন, “একটি দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে হলে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে থাকতে হবে সততা, দায়িত্বশীলতা এবং দেশপ্রেম। এ তিনটি গুণ একজন মানুষের চরিত্র গঠনের মূল ভিত্তি এবং একটি জাতির অগ্রযাত্রার চালিকা শক্তি।”
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘অক্টোবর-২০২৫ এর দপ্তর প্রধানদের নিয়ে সমন্বয় সভা’য় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, “স্বচ্ছ, দক্ষ, আধুনিক ও টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং ভূমি সংক্রান্ত জনবান্ধব সেবা নিশ্চিত করা। বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করা। কৃষি জমি সুরক্ষা, পরিবেশ উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধন করা। অকৃষি জমির সুপরিকল্পিত ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস এবং ভূমি সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জনগোষ্ঠীর জন্য বাসোপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সর্বোত্র নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।”
ভূমি সংস্কার বোর্ডের মহাপরিচালক জানান, মাঠ পর্যায় ভূমি সংস্কার বোর্ডে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যসম্পাদনের সুবিধার্থে মোটরসাইকেল সরবরাহের নিমিত্তে ৫৩টি জেলা থেকে মোটর সাইকেলের চাহিদা পাওয়া গিয়েছে এখনও ১১টি জেলা বাকি আছে। মোটরসাইকেল সরবরাহের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে জানান সভাপতি। সভাপতি ভূমি ভবনে অবস্থিত সব দপ্তরের সমন্বয়ে একটি সমন্বিত লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার গুরুত্বারোপ করে প্রত্যেক দপ্তর/সংস্থার আলাদা আলাদা লাইব্রেরির পরিবর্তে একটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী স্থাপন করার গুরুত্বারোপ করেন। বিভিন্ন দপ্তরের লোকবল নিয়োগে স্বচ্ছতা যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদানের জন্য সাধুবাদ জানান।
এছাড়া ভূমি ভবনের বিভিন্ন কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং ভবনের ভিতরে ও বাহিরের সৌন্দর্য বর্ধন, নিরাপত্তা জোর দার করার নির্দেশনা দেন।
রাজউক পূর্বাচলের ১৭টি মৌজার মধ্যে ১৬টি মৌজায় এ প্রর্যন্ত ৫৭৭৬৬টি দাগের মধ্যে ৩৮৮৮১টি খতিয়ানের খানাপুরী বুঝরাত সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ৩২৭৬৫টি খতিয়ানের তসদিক সম্পন্ন হয়েছে। পাতিয়া মৌজায় কিস্তোয়ার সমাপ্ত এবং কেন্দুয়া মৌজায় কিস্তোয়ার চলমান রয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাকারী সংস্থা করে ৭ টি বিভাগীয় ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (এলএটিসি) অবকাঠামো নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এলএটিসি ৭ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ২৬০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান একেএম সালাহউদ্দিন নাগরী, ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব), ড. মাহমুদ হাসান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১), সাইদুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবরা।
ঢাকা/এএএম/এসবি