গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে দুই মাসে নিহত ৭৯৮
Published: 11th, July 2025 GMT
শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস (ওএইচসিএইচআর) জানিয়েছে, মে মাসের শেষ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন এবং অন্যান্য মানবিক কনভয় পরিচালিত বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে খাবার খুঁজতে গিয়ে কমপক্ষে ৭৯৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ওএইচসিএইচআরের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি এ তথ্য জানিয়েছেন।
মুখপাত্র বলেছেন, “৭ জুলাই পর্যন্ত আমরা ৭৯৮টি হত্যাকাণ্ড রেকর্ড করেছি, যার মধ্যে ৬১৫টি গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের আশেপাশে এবং ১৮৩টি সম্ভবত ত্রাণ বহরে যাওয়ার পথে ঘটেছে।”
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েল জিএইচএফকে সমর্থন করেছে এবং এই বেসরকারি সংস্থাটি চারটি খাদ্য বিতরণ অঞ্চল তদারকির জন্য আমেরিকান ভাড়াটে সেনা নিয়োগ করেছে।
গাজায় জিএইচএফ মে মাসের প্রথম দিকে কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের প্রায় প্রতিদিন গুলি করার জন্য কুখ্যাত হয়ে উঠেছে। খাদ্য খুঁজছেন এমন ফিলিস্তিনিদের জটিল নির্দেশাবলীর একটি সেট নেভিগেট করতে হয় এবং নির্দিষ্ট রুট মেনে চলতে হয়, পাশাপাশি খাদ্য কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছানোর জন্য দীর্ঘ দূরত্ব হেঁটে যেতে হয়। তবুও তারা নিরাপদ থাকবেন এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক: ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের খসড়া অনুমোদন
ঢাকায় তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের একটি মিশন স্থাপনের বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৩তম বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে বাংলাদেশে ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়’-এর মিশন স্থাপনসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ জুন ওই খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে তোলা হলে তাতে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ওই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক যে অফিস ওএইচসিএইচআর, সে অফিসের একটা মিশন শাখা বাংলাদেশে ওনারা খুলতে চাইছিলেন। এ লক্ষ্যে ওনারা আলোচনা করছিলেন। এ আলোচনার একটা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এর সমঝোতা স্মারক, সেটা উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে।’
আইন উপদেষ্টা ওই দিন বলেন, ‘ওএইচসিএইচআর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ওপর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। ওনাদের সঙ্গে আমাদের সরকারের অনেক দিন ধরে আলোচনা চলছিল। আলোচনার একটা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা স্মারক উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে। এটা কয়েকজন উপদেষ্টা মিলে আরেকটু পরীক্ষা করা হবে। এরপর চূড়ান্ত করে তা ফলকার টুর্কের কাছে পাঠানো হবে। ওনারা অনুমোদন করলে আশা করা যায় দ্রুতই বিষয়টি সই করা যাবে। এর ভিত্তিতে বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক একটা অফিস হবে।’
হেফাজতের উদ্বেগ
এদিকে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের মিশন স্থাপনের সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। গতকাল বুধবার সিলেটে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিলেট মহানগর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও পরিচিতি সভায় এই উদ্বেগের কথা জানান দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে কার্যালয় স্থাপনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করছি। বাংলাদেশে এ কার্যালয় স্থাপন দেশের মানুষ মেনে নেবে না। মেনে নেবে না হেফাজতে ইসলামও।’