শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উৎসব
Published: 11th, July 2025 GMT
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) দুই দিনব্যাপী আন্তবিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উৎসব শুরু হয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে উৎসবের উদ্বোধনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে শিক্ষা ভবন ‘এ’-তে গণিত অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে উৎসবের কার্যক্রম শুরু হয়। এ উৎসবের আয়োজন করেছে শাবিপ্রবির বিজ্ঞানভিত্তিক সংগঠন ‘সাস্ট সায়েন্স অ্যারেনা’।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিজ্ঞান চেতনা বিকশিত হওয়া মানে ভালোভাবে জীবনকে উপলব্ধি করা। শিক্ষার্থীরা এই অলিম্পিয়াড ও আইডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। এসব প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিকভাবে যোগ্য করে গড়ে তুলবে। তাঁদের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মো.
উৎসবের আয়োজকেরা জানান, উৎসবের প্রথম দিন গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে গণিত অলিম্পিয়াড, ফিজিক্স অলিম্পিয়াড, কেমিস্ট্রি অলিম্পিয়াড, তিন মিনিট আইডিয়া প্রেজেন্টেশন, কুইজ প্রতিযোগিতা ও সায়েন্স স্কোয়াড গেম। আজ শনিবার উৎসবে থাকছে লাইফ সায়েন্স অলিম্পিয়াড, পোস্টার প্রেজেন্টেশন ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাস্ট সায়েন্স অ্যারেনার সভাপতি সিরাজুল হক আবির বলেন, ‘দেশের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ উৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন। আমাদের এই উৎসবের মূল বার্তা হচ্ছে বিজ্ঞান চর্চাকে সব জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া।’
আইডিয়া প্রতিযোগিতায় নিজের প্রজেক্ট নিয়ে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছেন শিক্ষার্থী রাফসান রহমান। তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো একটি জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণ করে ভালো লাগছে। নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করছি। নতুন নতুন উদ্ভাবনের আইডিয়া সম্পর্কে জানার সুযোগ হচ্ছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অল ম প য় ড উৎসব র অন ষ ঠ আইড য়
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবারের মতো মসজিদ পরিদর্শনে গেলেন পোপ লিও
পোপ লিও চতুর্দশ নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো তুরস্কের একটি মসজিদ পরিদর্শন করেছেন। সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে জুতা খুলে তিনি মসজিদে প্রবেশ করেন। তবে সেখানে প্রার্থনা করেননি।
গতকাল শনিবার পোপ লিও ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক নীল মসজিদ (ব্লু মস্ক) বা সুলতান আহমেদ মসজিদে যান। সপ্তদশ শতাব্দীর অটোমান স্থাপত্যের এ অনন্য নিদর্শনের দেয়াল ও গম্বুজ ফিরোজা রঙের সিরামিক টাইলস দিয়ে সজ্জিত।
স্থানীয় মুসলিম নেতাদের সঙ্গে পোপ লিও মসজিদের আঙিনা দিয়ে হেঁটে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং জুতা খুলে পুরো মসজিদ ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুনঅভিবাসী পরিবারের সন্তান কে এই নতুন পোপ চতুর্দশ লিও, তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি কেমন০৯ মে ২০২৫মসজিদের মুয়াজ্জিন আশগিন তুনকা জানান, তিনি পোপকে প্রার্থনা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তুনকা বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল, পোপ এখানে প্রার্থনা করবেন। তাই আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তিনি প্রার্থনা করতে চান কি না। তবে তিনি বলেছিলেন, “না, আমি শুধু ঘুরে দেখব”।’
এ সফরের পর ভ্যাটিকান প্রেস অফিস একটি ভুল বিবৃতি পাঠিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, পোপ মসজিদে প্রার্থনা করেছেন এবং তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত ধর্মীয় সংস্থার প্রধান তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন। যদিও এর কোনোটিই ঘটেনি। ভ্যাটিকান পরে স্বীকার করে যে প্রার্থনার কথা উল্লেখ করা বিবৃতিটি ভুলবশত পাঠানো হয়েছিল।
পোপ লিও হলেন নীল মসজিদ পরিদর্শনকারী তৃতীয় পোপ। এর আগে ২০১৪ সালে পোপ ফ্রান্সিস ওই মসজিদে দুই মিনিট নীরবে প্রার্থনা করেছিলেন। তাঁর আগে ২০০৬ সালে পোপ বেনেডিক্ট ষোড়শ সেখানে কিছুক্ষণ প্রার্থনা করেছিলেন। এটিকে অনেকে প্রথম কোনো পোপের মসজিদে প্রার্থনা করার ঘটনা হিসেবে দেখেন।
আরও পড়ুনঅভিষেকে দরিদ্রদের পক্ষে সোচ্চার হলেন পোপ লিও১৮ মে ২০২৫প্রথম পোপ হিসেবে জন পল দ্বিতীয় ২০০১ সালে সিরিয়ার একটি মসজিদ পরিদর্শন করেছিলেন। ৬০ বছর ধরে ক্যাথলিক চার্চ মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সক্রিয় সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।
গতকাল বিকেলে পোপ লিও তুরস্কের স্থানীয় খ্রিষ্টান চার্চগুলোর নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। এরপর তিনি ইস্টার্ন অর্থোডক্স খ্রিষ্টানদের আধ্যাত্মিক নেতা প্যাট্রিয়ার্ক বার্থোলোমিউ প্রথমের সঙ্গে সেন্ট জর্জের প্যাট্রিয়ার্কাল চার্চে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে এক গণমিছিলে পোপ লিও অন্যান্য ধর্মের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ বন্ধন গড়ে তোলার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন।
আরও পড়ুনদয়া করে গাজায় যান: পোপ লিওর প্রতি ম্যাডোনার আহ্বান১৩ আগস্ট ২০২৫