বিশিষ্ট আলেম আল্লামা ইসহাক আল মাদানী আর নেই। (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)। সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় সিলেট নগরের মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন।

ইসহাক আল মাদানীর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও চার মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

স্বজনেরা জানান, আল্লামা ইসহাক আল মাদানী রবিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। সিলেট অঞ্চলের প্রখ্যাত এই আলেমে দ্বীনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৫টায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

এমপি লিটন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল কাদেরের মৃত্যু

টেকনাফের পাহাড়ে আবারো বন্যহাতির মৃত্যু

আল্লামা ইসহাক আল মাদানী মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি ভাষা ও সাহিত্য অনুষদে ১৯৮৩ সালে স্বর্ণপদপ্রাপ্ত। তিনি বাংলাদেশ থেকে ১ম ব্যাচের স্কলারশিপপ্রাপ্ত (১৯৭৮) কৃতী শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগ থেকে এমএ পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেন। 

আল্লামা ইসহাক আল মাদানী সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামী স্কলার হিসেবে প্রায় ৩৭ বছর (১৯৮৩-২০২০) বাংলাদেশ প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার (পাঠানটুলা, সিলেট) প্রতিষ্ঠাকালীন শায়খুল হাদীস হিসেবে দীর্ঘদিন জ্ঞানের আলো বিতরণ করেছেন। তৈরি করেছেন অসংখ্য আলেম, যারা দেশে-বিদেশে ইসলামের দ্যুতি ছড়াচ্ছেন।

মৃত্যুর খবর পেয়ে তার শিক্ষার্থীরা দূর-দুরান্ত থেকে সিলেটে ছুটে আসেন। 

ঢাকা/নুর/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন আল ল ম ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

নেতানিয়াহু অঞ্চলজুড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন: ইরানের প্রেসিডেন্টকে এরদোয়ান

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এরদোয়ান এ কথাগুলো বলেছেন।

এরদোয়ানের দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় হওয়া জাতিগত হত্যার ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সৌদি আরব, পাকিস্তান, জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।

শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলই এখন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তুরস্ক সরকারের যোগাযোগবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দপ্তরের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, এরদোয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সিসিকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলা গভীরভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করার যে মনোভাব নেতানিয়াহুর মধ্যে দেখা গেছে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির।

এরদোয়ান আরও সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ